আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (68 points)
১. আমি একটি দোকান থেকে কিছু জুতা কিনি, এর ফলে তারা একটু কুপন দেয় যা ২৭ তারিখ ড্র হবে, ২০০০ টাকার জিনিস কিনলে এই কুপন দেয়,তারপর যারা যারা এই কুপনের উত্তর সঠিক গুলো দিয়ে বক্সে ফেলবে সেখান থেকে একজনকে দেওয়া হবে। এরা এই কেম্পেইনের জন্য পন্যর দাম বাড়িয়েছে কি না জানিনা, কারণ তারা ফিক্সড প্রাইজের দোকান। আর আমার ও প্রয়োজন ছিলো জুতা কিনি, এই লটারীতে কিছু জিতলে আমি কি তা ইউজ করতে পারবো?

২. আজকে একজন বললো এটাও জুয়া, আমি বললাম এটার জন্য তো কোনো টাকা দেই নি,সে বললো মানুষ লটারীর জন্য তো এখান থেকেই পন্য কিনবে,  আমি তাকে বলি, তো সমস্যা কি, এক্ষেত্রে সে তো টাকার বদলে পণ্য পেয়েই গেলো... এখন লটারীতে কিছু পেলে এটা তো তার অতিরিক্ত, না পেলেও ক্ষতি নাই,।  আমার বক্তব্য কি ঠিক?

৩. আমি একটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করি, সেখানে ছেলেরা একধরনের চিপস কিনে,যেখানে দামের তুলনায় চিপস খুবই কম কিন্তু একটা কাগজ থাকে,যা লটারী এবং এতে বিভিন্ন ছোট খাট জিনিস, মগ, প্লেট ইত্যাদি থাকে,  কেও পায় কেও ছোট জিনিস পায়, এদের এসব দেখে আমি মাঝে মাঝে বকাঝকা করি লটারী করা নিয়ে বলি যে এসব করবে না, তাদের এই কাজ কি বৈধ৷ লটারীর মধ্যে পরে?যেহেতু কিছু পণ্য আছে?

৪. পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে লিখেছি,জেনেও কেও যদি আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে ভেবে আলহামদুলিল্লাহ, মাশাল্লাহ বলে, বা এরুপ পরীক্ষার পরে কেও যদি বলে ইনশাআল্লাহ তোমার ফলাফল ভালো হবে, এতে কি ওই মানুষের কুফর হবে?

৫. অনেকে এই দেখাদেখি কে ভালো চোখে দেখে,যেমন সাহায্য করলো ভালো কাজ, তারাও যদি এই নিয়তে বলে আলহামদুলিল্লাহ বলে, এতে কি কুফর হবে?

৬. আমার বউ একদিন পরীক্ষার পরে বলে কেমন হলো, আমি বললাম যেখানে পারিনা দেখেছি, বাকি নিজে লেখেছি, সে আলহামদুলিল্লাহ বললো, আরো বললো যে আমি দোয়া করায় তা কবুল হয়েছে আর তোমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। এতে কি তার কুফর হবে?

৭. আমার পরীক্ষা শেষে জিগ্যেস করে কেমন  হলো, তো সে জানে আমি কিছুটা দেখে দেখে লিখি কিছু নিহপ এভাবে মিলিয়ে লিখি জানি তা অবৈধ কাজ কিন্তু আমার মনে থাকে না পড়া, যাই হোক এর পরেও পরীক্ষা ভালো হলে ফলাফল ভালো হলে আলহামদুলিল্লাহ বলে, ইনশাআল্লাহ ভালো রিজাল্ট হবে এসব বলে এতে কি কুফর হবে?
৮. আমি তাকে এইসব বিষয়ে বলি না যে, দেখো এসব অন্যায় করে পরীক্ষা দেই তুমি আলহামদুলিল্লাহ বলো না, আসলে এই বিষয়ে আলাপ করতে কেনো জানি সংকোচ কাজ করে, তাই বলি না,আমি যদি তার এই কাজ নিয়ে কিছু না বলি এতে কি কুফর হবে?

জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://www.ifatwa.info/57038 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

পণ্য ক্রেতাদেরকে পরবর্তীতে লটারীর মাধ্যমে পুরুস্কার বিতরণের আয়োজন কয়েক রকমের হতে পারে।
(প্রথমত)
হয়তো পুরুস্কারের আয়োজক একক মালিকানাধীন ব্যবস্যা প্রতিষ্টান হবে।যেখানে দোকানের  সব কিছুর মালিকানা এক ব্যক্তির হবে
অথবা কয়েকজনের অংশীদারিত্বে কোন ব্যসায়িক প্রতিষ্টান হবে।
(দ্বিতীয়ত)
কোন এক মার্কেটের পক্ষ্য থেকে পুরস্কারের আয়োজন করা হবে।যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মালিক তাদের পৃথক পৃথক ব্যবসা কার্য পরিচালনা করবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
যদি পুরুস্কারের আয়োজক প্রথম প্রকারের হয়।তাহলে স্বাভাবিক অবস্থায়  নাজায়েয বলেই গণ্য হবে।
কেননা এতে ক্বেমার(জুয়ার) হালকা সাদৃশ্যতা বিদ্যমান রয়েছে।
কিন্তু যেহেতু তাতে সহীহ ক্রয়-বিক্রয়ের সাদৃশ্যতাও বিদ্যমান রয়েছে,তাই তাকে বৈধতার আওতাভুক্ত ও করা যাবে তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে।
উক্ত পদ্ধতি জায়েয হতে হলে নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ অবশ্যই তাতে উপস্থিত থাকতে হবে।
★প্রথম শর্ত মূল্যর সাথে সম্পর্কিত।
★দ্বিতীয় শর্ত ক্রেতার সাথে সম্পর্কিত।
★তৃতীয় শর্ত বিক্রেতার সাথে সম্পর্কিত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1505

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
উপরোক্ত ব্যাখ্যানুসারে বলা যায় যে আপনি যেই জুতা ক্রয় করেছেন,তাতে যদি এই কুপনের দরুন মূল্য বাড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে এই লটারীতে কিছু জিতলে আপনি তা ইউজ করতে পারবেন।

মূল্য বাড়ানো হয়েছে কিনা,তাহা জানার জন্য অন্য দোকানে দেখতে পারেন,বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন।

(০২)
যদি এই কুপনের দরুন মূল্য বাড়ানো না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য ঠিক।

(০৩)
এক্ষেত্রে এটি বৈধ নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(৪-৫)
উপরোক্ত কোনো ক্ষেত্রেই কুফরি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...