আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

এক বোনের সাধারণত প্রতি ১০মি -৩০ মি এর মধ্যে সাদাস্রাব হয়। অজু/গোসলের পর সে টিসু দিয়ে রাখে যাতে কিছু বের না হয়। এখন প্রশ্ন:

১.শুনেছি:টিসু/তুলা দিয়ে রাখলে সেটা বের না করা পর্যন্ত অজু ভাঙ্গেনা, কারণ চাপা রাখলে স্রাব চামড়ার বাহিরে আসেনা। এটি সঠীক?
২.মাজুর গণ্য হতে 'সারা ওয়াক্ত পবিত্র সময় খোঁজা'র যে নিয়ম,সেটা কি একওয়াক্ত করলেই হয়? নাকি হার ওয়াক্ত?

৩.মাঝে মাঝে টিসু বের হয়নি, কিন্তু টিশুর বাহিরংশে যদি হালকা আদ্রতা অনুভব করে (সেটা হতে পারে 'ঘাম,ধোয়ার পানি বা স্রাবের তরলতা চুষে তৈরী আদ্রতা'।অসলেই কোনটা, বুঝার উপায় নেই) তাহলে কি ধরে নিবে - অজু ভেঙে গিয়েছে?
৪.নামাজের মাঝে টিশু ভেজা অনুভব হলে নামাজ ভেঙে যাচাই করবে? (মাঝে মাঝে দেখা যায় আসলে শুকনোই ছিল, সন্দেহের বশে নামাজ ভেঙেছে)

৫.নামাজের অনেক পরে যদি দেখে- স্রাব কাপড়ে লেগেছে, অথচ আগে না পরে লেগেছে জানেনা। তবে কি নামাজটা আবার আদায় করবে?

৬.কাপড় পাক করতে তৃতীয়বার সাধ্যমতো চিপার পরও যদি একটু পড় টপ টপ পানির ফোটা আসে, (যেমন সিনথেটিক কাপড়) তাহলে কি করা?

৭.কাপড়ের শুধু একাংশ নাপাক হলে সে অংশ ধোঁয়ার সময় পানি বেশ কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে।যতদূর পানি ছড়াবে ততদূর,এবং শরীর ও বাথরুমে যে ছিটে ফোঁটা লাগে সব তিনবার ধূবে?অল্প একটু নাপাকি ধুতে গিয়ে ছিটার কারনে সব নাপাক ধরে নিয়ে গোসলে প্রচুর সময় অপচয় হচ্ছে, দয়া করে বিস্তারিত পদ্ধতি বলবেন
৮.একটা 'হাল্কা/ পুরো ভিজা' কিছুতে যদি অল্প একজায়গায় নাপাকী লাগে তাহলে কি পুরো জিনিসটা নাপাক হবে?
শুনেছি:ফ্লোরে নাপাকি শুকিয়ে গেলে ওটা পাক, কারণ তরল পদার্থ শুকালে একেবারেই অস্তিপ্তহিন হয়ে যায়। ওখানে ভিজা পায়ে হেঁটে গেলে পা নাপাক হবে না? ওখানে সহ এক কাপড় দিয়ে পুরো ঘর একবার মুছলে সারা ঘর পাক থাক?

৯.একদিন বাহিরে নামায পরতে হয়েছিল,শরীর ধোঁয়ার সূযোগ না পেয়ে শুধু আশপাশ সহ মুছে নামায পড়েছে। এ নামায আবার দহরতে হবে?

১০.যদি স্রাবের সাথে কোন উত্তেজনা/আলামত ছাড়া মনি বের হয়ে থাকে।আর বুঝতে না পারে তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?

১১.যেহেতু ভালই স্রাব হয়,যদি নিজের অজান্তে কাপড় বা বসার স্থানে স্রাব লেগে থাকে আর বুঝতে না পারে। তাহলে কি আল্লাহ্ মাফ করবেন ?নাকি সন্দেহবশত সব পাক করতে হবে?

১২.তাকে মাদ্রাসায় অনেক সময় কুরআন শরীফ পড়তে হয়। এ সময় যদি তার কাপড় নাপাক হয়ে যায় তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন? উল্লেখ্য,সে হাফেজ হওয়ার কারণে বেশি বেশি না পড়লে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তখন বেশি গুনাহ হবে? নাকি কাপড় পাক না থাকার অজুহাতে কম তিলাওয়াত করলে গুনাহ হবে?

১৩.কোন জিনিশে নিশ্চিৎ নাপাক হাওয়ার আলামত দেখা না গেলে সেটা পাক ধরে নিতে পারবে?

১৪.নিচের website এ নিয়মিত সাদাস্রাব কে পাক বলা হয়েছে।উনারাও তো মুসলীম, সো উনাদের কথা ফলো করলে কি কোন অসুবিধা আছে? বরং অনেক সহজ হয়। বিষয়টি একটু দলীল সহ বুঝাবেন প্লিজ https://islamqa.org/hanafi/askmufti/81833/ruling-on-vaginal-discharge/

আশা করি প্রতিটি point এর সঠিক উত্তর ও

মূলনীতি জানতে পারব। আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুক। আমিন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১৪) মাসআলাঃ
ছিদ্রের বাহিরে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত না আসিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত হায়েয ধরা যাইবে না। অতএব, যদি কোন মেয়েলোক ছিদ্রের ভিতর রুই, তুলার গদ্দি রাখিয়া রক্তকে ছিদ্রের মধ্যেই বন্ধ করিয়া রাখিয়া থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত বাহিরে না আসিবে বা গন্দি টানিয়া বাহির না করিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত হায়েয ধরা হইবে না। যখন রক্তের চিহ্ন বাহিরের চামড়া পর্যন্ত আসিবে বা তুলা টানিয়া বাহির করিবে, তখন হইতে হায়েয হিসাব হইবে।

(১৫) মাসআলাঃ
কোন মেয়েলোক এশার নামায পড়িয়া পাক অবস্থায় ছিদ্রের ভিতর রুই, তুলার গদি রাখিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। সকালে ঘুম হইতে উঠিয়া যদি তূলার মধ্যে রক্তের চিহ্ণ দেখে, তবে যে সময় রক্তের চিহ্ণ দেখিবে, সেই সময় হইতেই হায়েয ধরা হইবে—ঘুমের সময় হইতে নহে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)টিসু/তুলা দিয়ে রাখলে সেটা বের না করা পর্যন্ত অজু ভাঙ্গেনা। কারণ চাপা রাখলে স্রাব চামড়ার বাহিরে আসেনা। এটা সঠিক।

(২)মাজুর গণ্য হতে 'সারা ওয়াক্ত পবিত্র সময় খোঁজা'র যে নিয়ম,সেটা এক ওয়াক্ত করলেই হবে। সকল ওয়াক্তে করতে হবে না।

(৩)মাঝে মাঝে টিসু বের হয়নি, কিন্তু টিশুর বাহিরংশে যদি হালকা আদ্রতা অনুভব করে (সেটা হতে পারে 'ঘাম,ধোয়ার পানি বা স্রাবের তরলতা চুষে তৈরী আদ্রতা'।অসলেই কোনটা, বুঝার উপায় নেই) তাহলে সতর্কতামূলক অজু করে নিতে হবে।

(৪)নামাজের মাঝে টিশু ভেজা অনুভব হলে নামাজ ভেঙে যাচাই করতে হবে।

(৫)নামাজের অনেক যদি দেখা যায় যে, স্রাব কাপড়ে লেগেছে, অথচ আগে না পরে লেগেছে জানা যায়না। তাহহলে নামাজকে আবার পড়তে হবে না।

(৬)কাপড় পাক করতে তৃতীয়বার সাধ্যমতো চিপার পরও যদি একটু পর পর টপ টপ করে পানির ফোটা আসে, (যেমন সিনথেটিক কাপড়) তাহলে সেই ফোটা নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে না।

(৭)কাপড়ের শুধু একাংশ নাপাক হলে সে অংশ ধোঁয়ার সময় পানি বেশ কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়লেও সব অংশকে ধৌত করতে হবে না।বরং নাপাকি লাগার স্থানকে ধৌত করে নিলেই হবে।

(৮)একটা 'হাল্কা/ পুরো ভিজা' কিছুতে যদি অল্প একজায়গায় নাপাকী লাগে তাহলে পুরো জিনিসটা নাপাক ধরে নেয়া যাবে না।

(৯) এ নামাযকে আবার দোহরতে হবে।

(১০)যদি স্রাবের সাথে কোন উত্তেজনা/আলামত ছাড়া মনি বের হয়ে থাকে।আর বুঝতে না পারে তাহলে আল্লাহ মাফ করবেন।

(১১)যদি নিজের অজান্তে কাপড় বা বসার স্থানে স্রাব লেগে থাকে আর বুঝতে না পারে। তাহলে অবশ্যই  আল্লাহ্ মাফ করবেন।

(১২) মাদ্রাসায় অনেক সময় কুরআন শরীফ পড়তে হয়। এ সময় যদি তার কাপড় নাপাক হয়ে যায়,তাহলে শুধুমাত্র অজু করে নামায পড়ে নিলেই হবে।

(১৩)কোন জিনিষে নিশ্চিত নাপাক হাওয়ার আলামত দেখা না গেলে, সেটাকে পাক হিসেবেই ধরে নিতে হবে।

(১৪) তারা কোনো মাযহাবের আলোকে ফাতাওয়া দেননা।আপনি যেই মাযহাবকে অনুসরণ করেন, সেই মাযহাবের ফাতাওয়াকে মানবেন। আমরা হানাফি ফিকহের আলোকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। আপনি একেক মাস'আলায় একেক মাযহাবকে ফলো করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...