আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
এক বোনের সাধারণত প্রতি ১০মি -৩০ মি এর মধ্যে সাদাস্রাব হয়। অজু/গোসলের পর সে টিসু দিয়ে রাখে যাতে কিছু বের না হয়। এখন প্রশ্ন:
১.শুনেছি:টিসু/তুলা দিয়ে রাখলে সেটা বের না করা পর্যন্ত অজু ভাঙ্গেনা, কারণ চাপা রাখলে স্রাব চামড়ার বাহিরে আসেনা। এটি সঠীক?
২.মাজুর গণ্য হতে 'সারা ওয়াক্ত পবিত্র সময় খোঁজা'র যে নিয়ম,সেটা কি একওয়াক্ত করলেই হয়? নাকি হার ওয়াক্ত?
৩.মাঝে মাঝে টিসু বের হয়নি, কিন্তু টিশুর বাহিরংশে যদি হালকা আদ্রতা অনুভব করে (সেটা হতে পারে 'ঘাম,ধোয়ার পানি বা স্রাবের তরলতা চুষে তৈরী আদ্রতা'।অসলেই কোনটা, বুঝার উপায় নেই) তাহলে কি ধরে নিবে - অজু ভেঙে গিয়েছে?
৪.নামাজের মাঝে টিশু ভেজা অনুভব হলে নামাজ ভেঙে যাচাই করবে? (মাঝে মাঝে দেখা যায় আসলে শুকনোই ছিল, সন্দেহের বশে নামাজ ভেঙেছে)
৫.নামাজের অনেক পরে যদি দেখে- স্রাব কাপড়ে লেগেছে, অথচ আগে না পরে লেগেছে জানেনা। তবে কি নামাজটা আবার আদায় করবে?
৬.কাপড় পাক করতে তৃতীয়বার সাধ্যমতো চিপার পরও যদি একটু পড় টপ টপ পানির ফোটা আসে, (যেমন সিনথেটিক কাপড়) তাহলে কি করা?
৭.কাপড়ের শুধু একাংশ নাপাক হলে সে অংশ ধোঁয়ার সময় পানি বেশ কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে।যতদূর পানি ছড়াবে ততদূর,এবং শরীর ও বাথরুমে যে ছিটে ফোঁটা লাগে সব তিনবার ধূবে?অল্প একটু নাপাকি ধুতে গিয়ে ছিটার কারনে সব নাপাক ধরে নিয়ে গোসলে প্রচুর সময় অপচয় হচ্ছে, দয়া করে বিস্তারিত পদ্ধতি বলবেন
৮.একটা 'হাল্কা/ পুরো ভিজা' কিছুতে যদি অল্প একজায়গায় নাপাকী লাগে তাহলে কি পুরো জিনিসটা নাপাক হবে?
শুনেছি:ফ্লোরে নাপাকি শুকিয়ে গেলে ওটা পাক, কারণ তরল পদার্থ শুকালে একেবারেই অস্তিপ্তহিন হয়ে যায়। ওখানে ভিজা পায়ে হেঁটে গেলে পা নাপাক হবে না? ওখানে সহ এক কাপড় দিয়ে পুরো ঘর একবার মুছলে সারা ঘর পাক থাক?
৯.একদিন বাহিরে নামায পরতে হয়েছিল,শরীর ধোঁয়ার সূযোগ না পেয়ে শুধু আশপাশ সহ মুছে নামায পড়েছে। এ নামায আবার দহরতে হবে?
১০.যদি স্রাবের সাথে কোন উত্তেজনা/আলামত ছাড়া মনি বের হয়ে থাকে।আর বুঝতে না পারে তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?
১১.যেহেতু ভালই স্রাব হয়,যদি নিজের অজান্তে কাপড় বা বসার স্থানে স্রাব লেগে থাকে আর বুঝতে না পারে। তাহলে কি আল্লাহ্ মাফ করবেন ?নাকি সন্দেহবশত সব পাক করতে হবে?
১২.তাকে মাদ্রাসায় অনেক সময় কুরআন শরীফ পড়তে হয়। এ সময় যদি তার কাপড় নাপাক হয়ে যায় তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন? উল্লেখ্য,সে হাফেজ হওয়ার কারণে বেশি বেশি না পড়লে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তখন বেশি গুনাহ হবে? নাকি কাপড় পাক না থাকার অজুহাতে কম তিলাওয়াত করলে গুনাহ হবে?
১৩.কোন জিনিশে নিশ্চিৎ নাপাক হাওয়ার আলামত দেখা না গেলে সেটা পাক ধরে নিতে পারবে?
১৪.নিচের website এ নিয়মিত সাদাস্রাব কে পাক বলা হয়েছে।উনারাও তো মুসলীম, সো উনাদের কথা ফলো করলে কি কোন অসুবিধা আছে? বরং অনেক সহজ হয়। বিষয়টি একটু দলীল সহ বুঝাবেন প্লিজ
https://islamqa.org/hanafi/askmufti/81833/ruling-on-vaginal-discharge/
আশা করি প্রতিটি point এর সঠিক উত্তর ও
মূলনীতি জানতে পারব। আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুক। আমিন।