হাদিস শরিফে এসেছে,
قَالَ: الْبَيْهَقِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ فِي ذِكْرِ مَنْصُورِ بْنِ عَمَّارٍ، أَنَّهُ أُوتِيَ الْحِكْمَةَ وَقِيلَ: إِنَّ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ وَجَدَ رُقْعَةً فِي الطَّرِيقِ مَكْتُوبًا عَلَيْهَا بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَأَخَذَهَا فَلَمْ يَجِدْ لَهَا مَوْضِعًا فَأَكَلَهَا فَأُرِيَ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ قَائِلًا يَقُولُ لَهُ: قَدْ فَتَحَ اللهُ عَلَيْكَ بَابُ الْحِكْمَةِ بِاحْتِرَامِكَ لِتِلْكَ الرُّقْعَةِ، وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَكَلَّمُ بِالْحِكْمَةِ
(شعب الإيمان للبيهقى، فصل فى تعظيم المصحف، دار الكتب العلمية بيروت-2/545/ رقم-2662، مكتبة الرشد للنشر، رقم- 2416)
‘ইমাম বাইহাকি (রহ.) বলেন, আমাকে মানসুর ইবনে আম্মার; যাকে ইলম-হেকমত দান করা হয়েছে- তাঁর সম্পর্কে আবু আব্দুর রহমান আস সুলামি সংবাদ দিয়েছেন যে, এর কারণ হল, তিনি বিসমিল্লাহ…লিখিত একটি কাগজের টুকরা রাস্তায় পেয়েছিলেন। তারপর হেফাজত করার উপযুক্ত স্থান না পেয়ে খেয়ে ফেললেন। তারপর রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন, জনৈক কথক তাঁকে বলছেন, আল্লাহ তাআলা ঐ কাগজের টুকরাকে সম্মান করার কারণে তোমার জন্য ইলম-হেকমতের দরজা খুলে দিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে কথা বলতেন।’ [শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ২৪৩৩]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরবানীর গোশত হোক বা অন্য গোশত হোক, গোশতে আল্লাহর নাম লেখা আছে বলে আমরা মাঝেই বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি।
মূলত এটি আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন
এমতাবস্থায় সেই গোশত বরকতের নিয়তে খেয়ে ফেলতে হয়।
না খেয়ে তা সংরক্ষণ করা বা নষ্ট করে ফেলা উচিৎ নয়।
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ-
গোশতে আল্লাহর নাম থাকলে উক্ত গোস্ত ইত্যাদি খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। বরং বরকতের নিয়তে খুশি মনেই খাওয়া উচিত। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া-২৪/৭৬]