জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
পানি ব্যবহার করার আগে টিস্যু/কাপড় ব্যবহার সুন্নাহ। তবে এটি আবশ্যকীয় নয়।
সুতরাং পানি ব্যবহার করার পর এমনটি করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
(০২)
জী,এই দোয়া দুই সেজদার মাঝে বসে পড়া যাবে।
এটি হাদীস সম্মত আমল
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْعُودٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا كَامِلٌ أَبُو الْعَلَاءِ، حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي " . - حسن
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ সাজদার মাঝে এ দু‘আ পড়তেনঃ ‘‘আল্লাহুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়া ‘আফিনী, ওয়াহদিনী, ওয়ারযুক্বনী’’।
ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ দু’ সাজদার মাঝে কি বলবে, হাঃ ৮৯৮), তিরমিযী (অধ্যায়ঃ আবওয়াবুস সলাত, অনুঃ দু’ সাজদার মধ্যবর্তী সময়ে কি বলবে, হাঃ ২৮৪, ২৮৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি গরীব)।
(০৩)
হ্যাঁ, আপনি মাহরাম হিসেবে আপনার সেই ছোট ভাইকে নিয়ে যেতে পারবেন।
(০৪)
আপনি এক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে তাদের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবেন।
তবে অপ্রয়োজনীয় ও জীবন ঘনিষ্ঠ কথা বলবেননা।
(০৫)
নবীদের জীবনি মূলক বই পড়তে পারেন।
সীরাতে মুস্তফা সাঃ পড়তে পারেন।
আর রহিকুল মাখতুম পড়তে পারেন।
,
সাহাবাদের জীবনি পড়তে পারেন।
হায়াতুস সাহাবা,হেকায়ায়ে সাহাবা পড়তে পারেন।
(০৭)
এই ভাবে এক সাথে মুনাজাত করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, ফরজ নামাজের পর মুনাজাত কোনো আবশ্যকীয় বিষয় নয়।
এটি নামাজের কোনো অংশ নয়।
তাই একেবারে মুনাজাত না করলেও নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৮)
ওই জামার ওপরে খিমার পরলে যেহেতু হাত দৃশ্যমান হয় না,সুতরাং তাহলে নামাজ হবে।
(০৯)
ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে আর সুন্নাত নফলের প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মেলানো ওয়াজিব।
অন্যথায় সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.
আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফাজরেও এ রকম করতেন। (বুখারী ৭৭৬,৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নামাজে সুরা ফাতেহা ব্যাতিত কিরাআতের ওয়াজিব পরিমান হলো ছোট তিন আয়াত বা একটি বড় আয়াত।
একটি বড় আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যেটি তিনটি ছোট আয়াতের মতো হয়।
যেমন
ثُمَّ نَظَرَ․ ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ․ ثُمَّ اَدْبَرَ وَاسْتَکْبَرَ
পরিমান কোনো আয়াত হলে অর্থাৎ যেনো কমপক্ষে ৩০ হরফ বিশিষ্ট হয়।
অন্যথায় সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 458):
"(وضم) أقصر (سورة) كالكوثر أو ما قام مقامها، هو ثلاث آيات قصار، نحو {ثم نظر} [المدثر: 21] {ثم عبس وبسر} [المدثر: 22] {ثم أدبر واستكبر} [المدثر: 23] وكذا لو كانت الآية أو الآيتان تعدل ثلاثاً قصاراً، ذكره الحلبي (في الأوليين من الفرض) وهل يكره في الأخريين؟ المختار لا (و) في (جميع) ركعات (النفل) لأن كل شفع منه صلاة (و) كل (الوتر) احتياطاً.
(قوله: تعدل ثلاثاً قصاراً) أي مثل - {ثم نظر} [المدثر: 21]- إلخ وهي ثلاثون حرفاً، فلو قرأ آيةً طويلةً قدر ثلاثين حرفاً يكون قد أتى بقدر ثلاث آيات، لكن سيأتي في فصل يجهر الإمام: أن فرض القراءة آية وأن الآية عرفاً طائفة من القرآن مترجمة أقلها ستة أحرف ولو تقديراً كلم يلد إلا إذا كانت كلمةً فالأصح عدم الصحة اهـ ومقتضاه أنه لو قرأ آية طويلةً قدر ثمانية عشر حرفاً يكون قد أتى بقدر ثلاث آيات. وقد يقال: إن المشروع ثلاث آيات متوالية على النظم القرآني مثل {ثم نظر} [المدثر: 21] إلخ ولايوجد ثلاث متوالية أقصر منها، فالواجب إما هي أو ما يعدلها من غيرها لا ما يعدل ثلاثة أمثال أقصر آية وجدت في القرآن، ولذا قال: تعدل ثلاثاً قصاراً، ولم يقل: تعدل ثلاثة أمثال أقصر آية. على أن في بعض العبارات تعدل أقصر سورة، فليتأمل! وسنذكر في فصل الجهر زيادة في هذا البحث (قوله: ذكره الحلبي) أي في شرحه الكبير عن المنية. وعبارته: وإن قرأ ثلاث آيات قصاراً أو كانت الآية أو الآيتان تعدل ثلاث آيات قصار خرج عن حد الكراهة المذكورة يعني كراهة التحريم. قال الشارح في شرحه عن الملتقى: ولم أره لغيره وهو مهم فيه يسر عظيم لدفع كراهة التحريم. اهـ. قلت: قد صرح به في الدرر أيضاً حيث قال: وثلاث آيات قصار تقوم مقام السورة وكذا الآية الطويلة اهـ ومثله في الفيض وغيره. وفي التتارخانية: لوقرأ آية طويلة كآية الكرسي أو المداينة البعض في ركعة والبعض في ركعة اختلفوا فيه على قول أبي حنيفة، قيل: لايجوز؛ لأنه ما قرأ آيةً تامةً في كل ركعة، وعامتهم على أنه يجوز؛ لأن بعض هذه الآيات يزيد عن ثلاث قصار أو يعدلها فلاتكون قراءته أقل من ثلاث آيات اهـ وهذا يفيد أن بعض الآية كالآية في أنه إذا بلغ قدر ثلاث آيات قصار يكفي".
সারমর্মঃ
সুরা কাওছারের ন্যায় ছোট সুরা হলেও সুরা মিলাতে হবে।
ছোট আয়াত যেমন
ثُمَّ نَظَرَ․ ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ․ ثُمَّ اَدْبَرَ وَاسْتَکْبَرَ
,
এই ভাবে যদি কোনো বড় আয়াত এই তিনটি ছোট আয়াতের সমান হয়,তাহলেও নামাজের ওয়াজিব কিরাআত আদায় হয়ে যাবে।
,
কেহ যদি ৩০ হরফ বিশিষ্ট একটি লম্বা আয়াত তিলাওয়াত করে,তাহলে সেটির দ্বারা নামাজের ওয়াজিব কিরাআত আদায় হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ-
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সুরা নাবা সালাতে ৯ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করা যাবে।
আপনি সুরা নাবার সর্বনিম্ন ৩ আয়াতও তিলাওয়াত করতে পারবেন,এক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে।