আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (40 points)

আসসালামু আ'লাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

একজন মহিলা আমার পরিবারের কাছে কিছু জিনিস বিক্রি করেন। উনার মেয়ে পুলিশ৷ তাই উনি অনেক কিছু জিনিস সরকার থেকে পান। যেমন- আটা,ডাল ইত্যাদি। আবার যে মহিলা জিনিস বিক্রি করেন উনারও টিসিবি কার্ড করা। উনি উনার টিসিবি থেকে পাওয়া জিনিস এবং মেয়ে পুলিশ হিসেবে যে জিনিস গুলো পান তা বিক্রি করেন। সগুলো না কিছু খান কিছু বিক্রি করেন। তিনি শুধু আমার পরিবারের কাছে নয় বরং অনেকের কাছে বিক্রি করেন। বিক্রির কারণ বলেন, উনার মেয়ে পুলিশ হিসেবে যে বেতন পান তা উনার শাশুড়ি নিয়ে নেন। উনার বাচ্চা পাউডার দুধ খান। এই দুধ গুলো একটু দামী হওয়ায় প্রতি মাসে টাকার প্রয়োজন হয়। তাই উনি খাবার গুলো বিক্রি করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান। আর উনার মা কেন বিক্রি করেন তা উনি বলেননি।
· যে জিনিস গুলো আমার পরিবার ক্রয় করেছেন তন্মধ্যে আটাতে লিখা "পুলিশের জন্য" এবং তেলে লিখা " শুধুমাত্র টি সি বি কর্তৃক বিক্রয়ের জন্য"।
প্রশ্ন ১। উস্তাদ বেচাকেনা কি পুরোপুরি শুদ্ধ হয়েছে? আমরা তো পুলিশ নই। আমরা যে আটা খাবো এটা কি ঠিক হবে?
২। উস্তাদ তেল ক্রয়-বিক্রয় কি শুদ্ধ হয়েছে? যেহেতু এখানে স্পষ্ট বলা আছে যে, শুধুমাত্র টি সি বি কর্তৃক বিক্রয়ের জন্য।
৩। খেয়াল করে দেখলাম মহিলা এগুলো ব্যবসার মত করে ক্রয়-বিক্রয় করছেন। উনি বলেন মাল গুলো উনারাও খান আবার লাভে বিক্রিও করেন৷ উনি যে এগুলো দিনের পর দিন বেচাকেনা করছেন। বেচাকেনা গুলো কি শুদ্ধ হচ্ছে? এবং এটা কি জায়েজ? সরকার থেকে স্বল্প মূল্যে জিনিস এনে লাভ সহ বেচাকেনা করা?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230710_103831_230.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন প্রতিটি নাগরিকের জন্য মান্য করা আবশ্যক-যতক্ষণ না তা শরিয়া বিরোধী হয়। 
শরীয়াহ বিরোধী আইন না হলে বিনা ওযরে তাহা না মানলে গুনাহগার হতে হবে।

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, 
রাষ্ট্রীয় আইন অনুসরণ না করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, জান-মালের ক্ষতি এবং নানা দুর্ভোগে পতিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মানুষের নিরাপত্তা, কল্যাণ সাধন এবং বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব-যা শরিয়তের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কেউ যদি এসব আইন লঙ্ঘন করে তাহলে সে নিজেকে নানা বিপদাপদ, শাস্তি ও লাঞ্ছনার মধ্যে নিক্ষেপ করবে-যা ইসলামে নিষেধ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جُنْدُبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَنْبَغِي لِلْمُؤْمِنِ أَنْ يُذِلَّ نَفْسَهُ " . قَالُوا وَكَيْفَ يُذِلُّ نَفْسَهُ . قَالَ " يَتَعَرَّضُ مِنَ الْبَلاَءِ لِمَا لاَ يُطِيقُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
হুযাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  কোন মু'মিন ব্যক্তির জন্য নিজেকে অপমানিত করাটা শোভনীয় নয়। সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, সে নিজেকে কিভাবে অপমানিত করে? তিনি বললেনঃ এমন কঠিন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া যার সামর্থ্য তার নেই।

সহীহ,তিরমিযী ২২৫৪, ইবনু মাজাহ ৪০১৬, আহমাদ ২৩৪৪৪, সহীহাহ্ ৬১৩।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

শাইখ বিন বায রাহ. বলেন,

أن القوانين إذا كانت لا تخالف الشرع فلا بأس بها، النظم تسمى بالقوانين وتسمى بالنظم، فكل قانون ونظام ينفع المسلمين ولا يخالف شريعة الله لا بأس به، من المرور أو في القضاء أو في أي الدوائر الحكومية أو في أي مكان.

“আইন-কানুন যদি শরিয়ত বিরোধী না হয় তাহলে তাতে কোনও সমস্যা নাই। শৃঙ্খলাকে আইন বলা হয়। সুতরাং যে সকল আইন-শৃঙ্খলা মুসলিমদের উপকার করে ও আল্লাহর আইন লঙ্ঘন করে না তাতে কোনও সমস্যা নাই। যেমন: ট্রাফিক, বিচার বিভাগ, সরকারি অফিস বা অন্য যে কোন স্থানে হোক না কেন।” 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আটা-তে লেখা আছে "পুলিশের জন্য" এবং তৈলে লেখা আছে " শুধুমাত্র টি সি বি কর্তৃক বিক্রয়ের জন্য"

সুতরাং উক্ত মহিলার জন্য এসব পন্য বিক্রয় করা সরকারী আইনের খেলাফ হওয়ায় নাজায়েজ।

তবে বিক্রয়ের পর তাহা তাহা আপনারা খেতে পারবেন,এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
এক্ষেত্রে তাদের থেকে ক্রয়ের পর সেই পন্যে আপনাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে।

(০৩)
তার জন্য এভাবে বিক্রয় করা নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...