বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় কিনা,এটি মতবিরোধ পূর্ণ একটি মাসয়ালা।
হানাফি মাযহাব মোতাবেক এক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী বালেগ বালেগাহ হলে বিবাহ শুদ্ধ হয়।
আর ইমাম শাফেয়ী রহঃ, আহলে হাদীসদের মতে অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
তাদের দলিল,
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদীসের মধ্যে রাসূল (সাঃ) বলেছেন :
: (( ﺃَﻳُّﻤَﺎ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﻧَﻜَﺤَﺖْ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺇِﺫْﻥِ ﻭَﻟِﻴِّﻬَﺎ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﺈِﻥْ ﺩَﺧَﻞَ ﺑِﻬَﺎ ﻓَﻠَﻬَﺎ ﺍﻟْﻤَﻬْﺮُ ﺑِﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﺤَﻞَّ ﻣِﻦْ ﻓَﺮْﺟِﻬَﺎ، ﻓَﺈِﻥْ ﺍﺷْﺘَﺠَﺮُﻭﺍ ﻓَﺎﻟﺴُّﻠْﻄَﺎﻥُ ﻭَﻟِﻲُ ﻣَﻦْ ﻟَﺎ ﻭَﻟِﻲَّ ﻟَﻪُ ))
''যে কোন নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। (এরূপ বিয়ে ঘটে গেলে আর বাতিল বিয়ের) স্বামী যদি তার সাথে মিলিত হয়ে যায় তাহলে সে তার (নারীর) গুপ্তাঙ্গ থেকে যা ভোগ করেছে এর বিনিময়ে মহিলা মাহ্র পাবে। তারা (অভিভাবকরা) যদি এ ব্যাপারে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তাহলে সুলতানই (শাসকই) তার অভিভাবক গণ্য হবে যার কোন অভিভাবক নেই।'' [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্ তে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﺎ ﺗُﺰَﻭِّﺝُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓَ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺰَﻭِّﺝُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻧَﻔْﺴَﻬَﺎ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻴَﺔَ ﻫِﻲَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺗُﺰَﻭِّﺝُ ﻧَﻔْﺴَﻬَﺎ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন : রসূল (সাঃ) বলেছেন : ''কোন নারী কোন নারীর বিয়ে দিবে না এবং নারী নিজে নিজের বিয়ে দিবে না। কারণ, ব্যভিচারী নারী নিজেই নিজের বিয়ে দেয়।'' [হাদীসটি ইবনু মাজাহ্ (১৮৮২) ও দারাকুতনী বর্ণনা করেছেন।
আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে,
ﻋَﻦْ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻟْﺄَﺷْﻌَﺮِﻱِّ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ :ﻟَﺎ ﻧِﻜَﺎﺡَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﻮَﻟِﻲٍّ
রসূল (সাঃ) বলেছেন : ''অভিভাবক ছাড়া কোন বিয়েই হবে না''। [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্, আহমাদ (১৯০২৪, ১৯২৪৭) বর্ণনা করেছেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২)
আপনাদের বিবাহ অভিবাবক ছাড়া না হয়ে থাকলে বরং অভিভাবকদের সম্মতিতেই আপনাদের বিবাহ হয়ে থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের সংসারে তালাক বা কোন সমস্যা হবেনা।
যেই মাযহাব মানছেন,প্রত্যেক মাসয়ালাতেই তাদের মত মানতে হবে।
নিজের সুবিধা মোতাবেক অন্যম মত মানলে কিয়ামতের ময়দানে আপনি দোষি হবেন।
(০৩)
সে ক্ষমা করে দিয়ে থাকলে ক্ষমা হয়েছে।
(০৪)
হ্যাঁ, এটিকে ঈমান নবায়ন বলে।