ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/539
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল হয়েছে শুনে কেউ আপনার সামনে আলহামদুলিল্লাহ বললে, বা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলে, এক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে না বলেন যে "আমি দেখে দেখে লিখেছি, বা অসদুপায় অবলম্বন করে লিখেছি, তুমি এই ক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ বলো না"
এসব না বলে যদি তার কথা শুধু শুনেই যান, এতেকরে যদিও আপনার কুফর হবে না,তবে এমনটা না করাই আপনার উচিৎ।তাকে সত্য জানিয়ে দেয়া উচিৎ।আর পরীক্ষায় নকল করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
(২) কেউ একজন জানে যে, আপনি কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বন করেছেন তার পরেও যদি সে আপনার ফলাফল, বা পরীক্ষা ভালো হয়েছে শুনে খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ বলে বা আল্লাহর অনুগ্রহ প্রকাশ করে। তাহলে তার কুফরি হবে না।তবে আপনার উচিৎ তাওবাহ করা ও মহান রবের নিকট ক্ষমা চাওয়া।