আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
১. আমি অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষায় আমার পাশের জনের দেখে দেখে লেখি,সেই পরীক্ষা গুলো দেওয়ার পরে /সেই পরীক্ষার রিজাল্ট বের হওয়ার পরে কেও যদি পরীক্ষা /ফলাফল ভাালো হয়েছে শুনে আমার সামনে আলহামদুলিল্লাহ বলে, বা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, এক্ষেত্রে আমি যদি তাকে না বলি যে "আমি দেখে দেখে লিখেছি, বা অসদুপায় অবলম্বন করে লিখেছি তুমি এই ক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ বলো না" এসব না বলে তার কথা যদি শুধু শুনি এতে কি আমার কুফর হবে? এতে কি কুফরের উপর সন্তুষ্টি বুঝায়?

২. একজন জানে যে আমি কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বন করেছি তার পরেও যদি সে আমার ফলাফল, বা পরীক্ষা ভালো হয়েছে শুনে খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ পরে বা আল্লাহর অনুগ্রহ প্রকাশ করে। সে হয়তো গুনাহের বিষয়ে আলহামদুলিল্লাহ প্রকাশ করছে তা খেয়াল করছে না।এমন কেও করলে কি তার কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (713,720 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল হয়েছে শুনে কেউ আপনার সামনে আলহামদুলিল্লাহ বললে, বা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলে, এক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে না বলেন যে "আমি দেখে দেখে লিখেছি, বা অসদুপায় অবলম্বন করে লিখেছি, তুমি এই ক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ বলো না" 

এসব না বলে যদি তার কথা শুধু শুনেই যান, এতেকরে যদিও আপনার কুফর হবে না,তবে এমনটা না করাই আপনার উচিৎ।তাকে সত্য জানিয়ে দেয়া উচিৎ।আর পরীক্ষায় নকল করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

(২) কেউ একজন জানে যে, আপনি কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বন করেছেন তার পরেও যদি সে আপনার ফলাফল, বা পরীক্ষা ভালো হয়েছে শুনে খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ বলে বা আল্লাহর অনুগ্রহ প্রকাশ করে। তাহলে তার কুফরি হবে না।তবে আপনার উচিৎ তাওবাহ করা ও মহান রবের নিকট ক্ষমা চাওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,720 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...