আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ওয়াসওয়াসা by (17 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমি ওয়াসওয়াসার রোগি কিনা জানিনা।
কারন আমি লজ্জার ভয়ে ডাক্তার দেখাই নি।

হুজুর আমার কথা গুলা কষ্ট করে পড়ে একটু বলবেন আমি ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত কিনা।

আমার আগে কখোনো ওয়াসওয়াসা ছিলো না। এই তালা** আর ইমানের ওয়াসওয়াসা ৬-৭ মাস আগে তৈরি হইছে এবং বর্তমানে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকি আমি সারাক্ষণ। কারনে অকারনে ওয়াসওয়াসা।

আজকে থেকে প্রায় ৬-৭ মাস আগে আমি তালা*** ফতোয়া দেখে আমার ভিতরে সেদিন থেকে তিব্র ওয়াসওয়াসা শুরু হয় যে, অতিতে কিছু বলেছি নাকি। আমার সেইদিন থেকে যে ওয়াসওয়াসা শুরু হয়। আমি প্রায় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিছিলাম। রাতে চিন্তায় প্রথম প্রথম ঘুম হইতো না। আমার কিছু সমস্যা আপনাকে লিখতেছি। আপনি পড়ে আমাকে একটু বলবেন আমি কি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত নাকি।

১। আমি সেদিন থেকে তালা***  কোন শব্দ শুনতেই পারি না। সেটা কেউ যদি মুখে ফতোয়া হিসেবে বলুক বা অন্য কোন কিছুতে। আমি সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। ইগনোর করার চেষ্টা করি।

২। মুভি বা সিনেমাতে ডিভোর্স এর কোন শব্দ শুনলে আমি ঐ মুভি আর সিনেমা অফ করে দেই। এবং চিন্তা করতে থাকি যে মনে মনে ওরকম শব্দ কখোনো বলেছিলাম নাকি।

৩। হুজুর আমার মনের মধ্যে সারাক্ষণ ডিভো***  এর শব্দ গুলা মনে আসতে থাকে। আমি চাই না মনে আসতে। তারপরও বার বার মনে চলে আসে। চেষ্টা করি রোজ যেনো কোনভাবে মনে না আসে, কিন্তু শয়তান বার বার মনের ভিতর শব্দ গুলা নিয়ে আসে।

৪। আমি  স্ত্রীর  সাথে কথা বলতে গেলে অনেক ভেবে চিন্তে কথা বলতে হয় কারন কথা বলতে গেলে ডিভো**** শব্দ গুলা মনের ভিতর চলে আসে। তখন চুপ হয়ে যাই ।

৫। কোন জায়গায় একা চুপ করে বসে থাকলে ডিভো*** শব্দ গুলা মনে হইতে থাকে। আমি তখন চিন্তা পড়ে যাই যে মনের কথা আবার উচ্চারণ হয়ে গেলো কিনা। আমি রেকর্ডার অন করে চেক করি যে আওয়াজ কি রেকর্ডে শুনা যায় নাকি। যদিও শুনা যায় না। তারপরও আমি এরকম করছি মোবাইলের রেকর্ডার দিয়ে। এ নিয়ে দুই তিনবার রেকর্ডার দিয়ে এরকম করেছি। কিন্তু কোন শব্দ শুনা যায় নি। মনের ভিতর সন্দেহ থেকে বার বার রেকর্ডার দিয়ে চেক করতে ইচ্ছে হয় রোজ, কিন্তু করি না। এ নিয়ে চন্তায় থাকি।

৬। আমি সবসময় সারাক্ষণ মনে মনে বলা কথা কানে শোনা যায় নাকি তার জন্য ঘরের ফ্যান অফ করে জিহ্বা ঠোট নেড়ে নেড়ে চেক করি যে কানে শোনার মতো বিন্দুমাত্র আওয়াজ গেছে নাকি।

৭। মনে ডিভো*** এর শব্দ শয়তান বার বার মনের ভিতর কথা উঠায়। আমি তখন মুখ আর জিহ্বা আটকে রাখি যাতে উচ্চারিত না হয়ে যায়।

৮।বন্ধুদের সাথে কথা বলতে গেলে আমি এখন আগের মতো ফ্রিলি কথা বলতে পারি না। অনেক বুঝে শুনে কথা বলি যে কি না কি বলি।

৯। কারো সাথে কথা বলা শেষ হলে, আমি তার সাথে কি কি কথা বলেছি তা নিয়া ভাবতে থাকি যে সেখানে কোন কেনায়া বাক্য ছিলো নাকি। বা অন্য কোন শব্দ বলেছি নাকি।

১০। স্ত্রীকে বাসায় পৌছে দিলে । তারপর বাসে উঠাই দিলে যাওয়ার মতো শব্দ উচ্চারণ করা থেকে বিরত থাকি। স্ত্রীকে যদি বলি ঢাকা কোচিং করতে যাও। তখন তা নিয়া চিন্তা করতে থাকি যে কেনায়া বাক্য উচ্চারিত হলো নাকি।

১১।ইমানের ওয়াসওয়াসা এর জন্য আমি সবসময় ভেবে চিন্তে কথা বলি।

১২। ইমান যাতে নষ্ট না হয়ে যায় এ নিয়ে চিন্তায় থাকি।

১৩। কিছুদিন আগে হুরমাত নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছিলাম।
১৪। যিহার নিয়ে কয়েক মাস চিন্তায় ছিলাম।

১৫।যিহারের চিন্তায় স্ত্রীকে ভালো গুনের সাথে প্রশংসা করতে পারি না। প্রশংসা করলেও যিহার বিষয়ে চিন্তা করতে থাকি।

১৪। সারাক্ষণ হুজুর আমার মনের ভিতর উল্টো পাল্টা কথা হইতে থাকে। আমি চাই না মনে আসুক তারপরও মনে আসে। তারপর আমি চিন্তা করতে থাকি যে মনের ভিতর কথা মুখ দিয়ে বিন্দুমাত্র উচ্চারণ হয়ে কানে পৌছালো নাকি। এজন্য ওসব কথা মনে উঠলে দাত চেপে চুপচাপ হয়ে থাকি।


হুজুর, আমি তো খাই-দাই,পড়ি,সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ।শুধুমাত্র এই তালাকের ওয়াসওয়াসা আমাকে পাগল করে দিচ্ছে।অনেক সময় হুরমাত,যিহার, একেক সময় একেকটা নিয়া শুরু। একেকদিন একেকটা বিষয় নিয়া চিন্তা শুরু হয়। একদিন চিন্তা না থাকলে পড়ের দিন চিন্তা শুরু হয়।


আমিও কি তাহলে সেই ওয়াসওয়াসার রুগি যার বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে?

আমার জন্য কি শরীয়ত ছাড় দিয়েছে।???

শয়তান আমার মনের ভিতর সারাক্ষণ উল্টো পাল্টা ডিভো** শব্দ গুলা উঠায়। আমি কোন ভাবেই অনেক চেষ্টা করি যে মনের ভিতর ঐ সব কথা যেনো না আসে। তারপরও শয়তান মনে মনে সারাক্ষণ উঠায়।
শয়তানের ওয়াসওয়াসাতে যদি অনিচ্ছা বা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে,
মনের কথা  মুখে বিন্দুমাত্র উচ্চারণ হয়ে আমার কানে আসে তখন শরিয়ত কি আমাকে ছাড় দিবে???

যদিও আমি ডাক্তার দেখাইনি আমি জানিনা আমি ওয়াসওয়াসে আক্রান্ত নাকি !



হুজুর, উপরের সবগুলো কথা পড়ে আপনার কি মনে হয় আমি কি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত  ????? 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এটা ওয়াসওয়াসা ই। অচিরেই আাদের একটি কোর্স চালু হবে। সেখানে ভর্তি হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
ধন্যবাদ হুজুর আমি আপনার ওয়াসওয়াসা কোর্স টা Enroll করেছি। 

আমার ওয়াসওয়াসা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এখন ঘুমাতে গেলে,কথা বলতে গেলে, রাস্তায় হাটতে গেলে এমনকি বাইক চালানোর সময় ও শয়তান তালা*** কথা মনের ভিতর আনে সবসময়। আমার অনিচ্ছা সত্বেও মনের ভিতর শয়তান উঠায় সবসময়।আর আমি চিন্তায় পড়ে যাই যে কোন বিন্দুমাত্র শব্দ উচ্চারণ হয়ে আমার কানে পৌছালো নাকি। আর এই তালা*** ওয়াসওয়াসা রোজ হয় হুজুর।

হুজুর, আজকে আপনার কোর্স টা Enroll করেছি। দোয়া করবেন।
by (589,140 points)
দুআ রইলো আপনার জন্য। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...