ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদিয়ার বিবিধ বিধি-বিধান বর্ণনা করতে যেয়ে
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে হাসান শাইবানী রাহ হাদিয়ার বিভিন্ন প্রকার উল্লেখ করে বলেন,
ﺃﻥ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﺃﺭﺑﻌﺔ ﺃﻗﺴﺎﻡ ﺑﺎﻋﺘﺒﺎﺭ ﺍﻟﻤُﻬﺪِﻱ ﻭﺍﻟﻤُﻬﺪَﻯ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﻫﻲ :
( 1 ) ﺣﻼﻝٌ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺎﻧﺒﻴﻦ ﻛﺎﻹﻫﺪﺍﺀ ﻟﻠﺘﻮﺩﺩ .
( 2 ) ﻭﺣﺮﺍﻡٌ ﻣﻨﻬﻤﺎ ﻛﺎﻹﻫﺪﺍﺀ ﻟﻴُﻌﻴﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﻇﻠﻢ .
( 3 ) ﻭﺣﺮﺍﻡٌ ﻋﻠﻰ ﺍﻵﺧﺬ ﻓﻘﻂ، ﻭﻫﻲ ﺃﻥ ﻳﻬﺪﻳﻪ ﻟﻴﻜﻒَّ ﻋﻨﻪ ﺍﻟﻈﻠﻢ .
( 4 ) ﺃﻥ ﻳﺪﻓﻌﻪ ﻟﺪﻓﻊ ﺍﻟﺨﻮﻑ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻬﺪﻱ ﺇﻟﻴﻪ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﺃﻭ ﻣﺎﻟﻪ ﺃﻭ ﻋﻴﺎﻟﻪ ﺃﻭ ﻋﺮﺿﻪ، ﻓﻬﺬﻩ ﺣﻼﻝٌ ﻟﻠﺪﺍﻓﻊ ﺣﺮﺍﻡٌ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺪﻓﻮﻉ ﺇﻟﻴﻪ، ﻓﺈﻥ ﺩﻓﻊ ﺍﻟﻀﺮﺭ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻭﺍﺟﺐٌ، ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺃﺧﺬ ﺍﻟﻤﺎﻝ ﻟﻴﻔﻌﻞ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ-
ﺍﻟﻤﻮﺳﻮﻋﺔﺍﻟﻔﻘﻬﻴﺔ ﺍﻟﻜﻮﻳﺘﻴﺔ 42/258
প্রেরক ও প্রাপক হিসেবে হাদিয়া চার প্রকার যথা-
(১)প্রেরক- প্রাপক উভয়ের জন্য হালাল।যেমন- মহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হাদিয়া যা সাধারণত প্রচলিত।
(২)প্রেরক-প্রাপক উভয়ের জন্য হারাম।যেমন-কারো উপর যুলুম করতে সঙ্গ দানের জন্য কাউকে হাদিয়া প্রদান।
(৩)শুধুমাত্র প্রাপকের জন্য হারাম।যেমন- কারো যুলুম থেকে নিষ্কৃতিলাভ হেতু তাকে হাদিয়া প্রদান।
(৪)নিজ জান-মাল,পরিবারবর্গ ও ইজ্জত-আব্রুকে হেফাজত করার উদ্যেশ্যে হাদিয়া প্রদাণ,প্রেরকের জন্য জায়েয।লক্ষণীয় যে,প্রেরকের জন্য হালাল হলেও প্রাপকের জন্য তা সম্পূর্ণই হারাম।
কারণ একজন মুসলমান থেকে ক্ষতিকে দূর করা অন্য মুসলমানের উপর ওয়াজিব।আর এ ওয়াজিব কাজ সম্পাদন করার জন্য বিনিময় গ্রহণ সর্বাবস্থায় নাজায়েয।
আরো জানতে ক্লিক করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করে দেন, এবং এদ্বারা অন্যর কোনো ক্ষতি করা না হয়, তাহলে ঘুষ দেয়ার রুখসত থাকলেও ঘুষ আদান প্রদাণ না করাই উত্তম।