জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে উক্ত টাকা আপনার কাছে আমানত।
আর আমানতের টাকা উক্ত ব্যাক্তির অনুমতি ব্যাতিত ব্যবহার করা তার খিয়ানত করার শামিল।
আর আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ
{إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ إِنَّ اللهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا}
‘‘আমানত তার হকদারকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন। আর যখনি তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যে উপদেশ দেন তা কত উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সব শুনেন, সব দেখেন।’’ (আন-নিসা (৪) : ৫৮)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيْ سُهَيْلٍ نَافِعِ بْنِ مَالِكِ بْنِ أَبِيْ عَامِرٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি- বলতে গেলে মিথ্যা বলে, আমানত রাখলে খিয়ানত করে, আর ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। (বুখারী ৩৩,২৬৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫০৩)
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُوْ جَمْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ زَهْدَمَ بْنَ مُضَرِّبٍ قَالَ سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْرُكُمْ قَرْنِيْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ قَالَ عِمْرَانُ لَا أَدْرِيْ أَذَكَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ قَرْنَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ بَعْدَكُمْ قَوْمًا يَخُونُوْنَ وَلَا يُؤْتَمَنُوْنَ وَيَشْهَدُوْنَ وَلَا يُسْتَشْهَدُوْنَ وَيَنْذِرُوْنَ وَلَا يَفُوْنَ وَيَظْهَرُ فِيْهِمْ السِّمَنُ
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমার যুগের লোকেরাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। অতঃপর তাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা, অতঃপর তাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা। ‘ইমরান (রাঃ) বলেন, আমি বলতে পারছি না, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (তাঁর যুগের) পরে দুই যুগের কথা বলেছিলেন, বা তিন যুগের কথা। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের পর এমন লোকেরা আসবে, যারা খিয়ানত করবে, আমানত রক্ষা করবে না। সাক্ষ্য দিতে না ডাকলেও তারা সাক্ষ্য দিবে। তারা মান্নত করবে কিন্তু তা পূর্ণ করবে না। তাদের মধ্যে মেদওয়ালাদের প্রকাশ ঘটবে। (বুখারী ৩৬৫০, ৬৪২৮, ৬৬৯৫, মুসলিম ৪৪/৫২ হাঃ ২৫৩৫, আহমাদ ১৯৮৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৭৫)
★তবে যদি সে অনুমতি দেয়,তাহলে আপনার জন্য উক্ত টাকা ব্যবহার করা জায়েজ হবে।
তবে এক্ষেত্রে উক্ত টাকা হারিয়ে গেলে,ক্ষতি হলে আপনাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
,
আর যদি সমাজে এই নিয়ম প্রচলন থাকে যে সাধারণ ভাবে লোকেরা উক্ত টাকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েই থাকে,যেমন প্রচলিত ব্যংক গুলো।
,
সুতরাং সমাজে যদি এমন টাকা ব্যবহারের প্রচলন থাকে,তাহলে মালিকের অনুমতি ব্যাতিতও সেটি ব্যবহার করা জায়েজ হবে।
তবে মালিক যদি সেটা ব্যবহার করা থেকে নিষেধ করে দেয়,তাহলে উক্ত টাকা ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
,
مجلة الأحكام العدلية (1 / 146):(المادة 772) الإذن دلالة كالإذن صراحة. بيد أنه عند وجود النهي صراحة لا اعتبار بالإذن دلالة.
সারমর্মঃ ইঙ্গিতে অনুমতি দেওয়া স্পষ্ট অনুমতির নামান্তর।