বর্তমান খেলাধুলাকে অনেকেই পেশা হিসেবে বানিয়ে নিয়েছে।
তাই যারা এই খেলা ধুলাকে পেশা হিসেবে বানিয়ে নিয়েছে,তাদের কাছে বা তাদের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট দের জন্য জার্সি, ইত্যাদি বানানো,বিক্রয় করা মাকরূহ হবে।
যেহেতু এর দ্বারা গোনাহের কাজের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। আর গোনাহের কাজের সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ।
তবে এসব জার্সি ইত্যাদি বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না। কারণ, এসব কাপড় বিক্রির দ্বারা মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে ব্যাবসা, খেলা নয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত "ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলার জার্সি কিংবা ঘরোয়া কোনো লিগের জার্সি বানিয়ে দিলে তা থেকে প্রাপ্য লাভ হালাল হবে।
পেশাজীবি খেলোয়াড় দের সহযোগিতা উদ্দেশ্য না করে, শুধু হালাল ব্যবসার নিয়তে গায়রে এগুলো বিক্রয় করলে গোনাহ হবে না। তবে এটি মাকরূহে তানজীহী হবে। তবে এর দ্বারা অর্জিত টাকা নিশ্চিতভাবেই জায়েজ হবে।
মনের মাঝে এর প্রতি ঘৃণা রেখে বিক্রি করবে।
বিক্রেতা এতে গোনাহগার হবেননা।
,
★★উল্লেখ্য পেশাজীবি খেলোয়াড় না হলে,এসব বস্তু বিক্রয় মাকরুহে তানিযিহিও হবেনা।
এটা কোনো সমস্যাকর নয়।
,
প্রকাশ থাকে যে এসব জার্সিতে অধিকাংশ সময়েই প্রাণীর ছবি থাকে,তাই সেই ছুরতে এটার বিক্রয় সর্বদায় মাকরুহ হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)