আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু 'আলাইকুম

উস্তায

আমি চেনা পরিচিত অনেকেই বলছেন বা বলেন বা যারা দ্বীনের দাঈ (যারা কওমি/আলিয়া মাদ্রাসার স্টুডেন্ট ছিলেন) - পর্দাশীল যারা জেনারেল স্টুডেন্ট, ভবিষ্যতে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার বা উচ্চশিক্ষিত হয়ে এমন কিছুতে জড়াতে চায়/নিজেদের আয়ের সোর্স তৈরি করতে চায় (যা অবশ্যই হালাল) কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে তাদের পর্দা‌লঙ্ঘন করার মতো সম্ভাবনা রাখে, ফ্রি মিক্সিং এ জড়ানো লাগতে পারে, নন-মাহরাম পুরূষদের সাথে কথা বলাও লাগতে পারে ইত্যাদি এমন কাজ যা উম্মুল মু'মিনিনদের জীবনাদর্শ, আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সাঃ) এর আদেশ-নিষেধের সাথে সাংঘর্ষিক , সাহাবায়ে কেরামেল আদর্শের প্রতি সাংঘর্ষিক
যে নারীরা দ্বীন মেনে চলতে চায়, তাদের জন্য জেনারেলে পড়াশোনা করে বা ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার বা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার কারণে পর্দা‌‌র সাথে চলা ইত্যাদি কঠিন বা উপর্যুক্ত কারণ দেখা দেয়...
এমতাবস্থায় যেসব নারীরা দ্বীন পালন করতে চায়, তাদের জন্য জেনারেলে উচ্চশিক্ষিত হয়ে, পর্দার সাথে চলা খুব কঠিন, তাদের উচিত মাদ্রাসায় পড়া
তাহলে, একটা গণ্ডির মধ্যে থাকতে পারবে, যেখানে দ্বীন মেনে চলতে পারবে...

কিন্তু, উস্তায
অনেকের পরিবার তো ইসলামিক মাইন্ডের না , কিন্তু ঐসব বোন তো বহু বছর যাবত প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছেন
স্কুল-কলেজের গণ্ডি পার হয়ে ভার্সিটিতে/মেডিকেল কলেজ/ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যাচ্ছেন
তাদের জন্য পর্দা রক্ষা করে চলা কঠিন হয়ে যায় ,তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছেন । এমন অনেকের ইচ্ছা দ্বীন‌‌ নিয়ে জীবন চলানোর সাথে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষিত হওয়া
কিন্তু, নিজ পরিবার বা স্বামী ও তার পরিবারের অনিচ্ছায় তা করতে পারছেন না । মাদ্রাসায় পড়া অপছন্দ করেন , এমনটাও না ।‌কিন্তু জেনারেলে চান উচ্চশিক্ষিত হতে + সাথে যথাসম্ভব দ্বীনি ব্যাপারে জ্ঞানার্জন করতে । তবে স্বামী/তার পরিবার যদি মনে করেন সন্তানাদি বা পরিবারকে সময় না দেয়া , সংসার না সামলানো , চরিত্রের ঠিক না থাকা , অবাধ মেলামেশা , তালাক্ব হওয়ার ভীতি ইত্যাদি কারণে যদি উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নাকোচ করা হয়, এমতাবস্থায় কি কোনো মাসআলা আছে?

(হয়তো , গুছিয়ে কিছুই বলতে পারিনি, এর জন্য দুঃখিত)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/38201/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-

“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)

ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
أتأذن لي أن آتي أبوي

“(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।” (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
স্ত্রীর জন্য জরুরি হল, বিশেষ কোনো কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্বামীর নিকট অনুমতি নেয়া। স্বামী অনুমতি দিলে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে এবং নিজেকে ফিতনা থেকে হেফাযতে রেখে স্ত্রী বাইরে যেতে পারে। দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে অবশ্যই তার পিতা, ভাই ইত্যাদি মাহরাম পুরুষের সাথে যাবে। কিন্তু স্বামী যদি তাকে যেতে নিষেধ করে তাহলে স্ত্রীর জন্য তা লঙ্ঘন করা বৈধ নয়। অন্যথায় সে স্বামীর ‘অবাধ্য’ হিসেবে গণ্য হবে এবং গুনাহগার হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ঐ মহিলার স্বামী/নিজ বাবা যদি মনে করেন সন্তানাদি বা পরিবারকে সময় না দেয়া , সংসার না সামলানো , চরিত্রের ঠিক না থাকা , অবাধ মেলামেশা , তালাক্ব হওয়ার ভীতি ইত্যাদি কারণে যদি উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নাকোচ করা হয়, এমতাবস্থায় ঐ মহিলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা জায়ে হবেনা। 

কেননা এক্ষেত্রে স্বামী/নিজ বাবার বৈধ আদেশ অমান্য করা হয়,যাহা জায়েজ নেই।

হ্যাঁ এক্ষেত্রে তার স্বামী যদি তাকে সন্তুষ্টি চিত্তে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়,সেক্ষেত্রে ফিতনার আশংকা না থাকলে ফ্রি-মিক্সিং পরিবেশে লেখাপড়া করার ক্ষেত্রে শরীয়তের যেসব শর্ত আছে,সেসব শর্ত মেনে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...