জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আসরের নামাজের ওয়াক্ত নিয়ে হানাফি মাযহাবের স্কলারপদের মাঝেই মতবিরোধ রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি উপরোক্ত নিয়মে আসরের নামাজ আদায় করেন,সেক্ষেত্রেও আপনার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
আহকামে জিন্দেগী পড়তে পারেন।
আর নারীরা আহকামে নিসা পড়তে পারেন।
উভয় বই মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর লেখা।
(০৩)
এক্ষেত্রে আল্লামা তাকী উসমানী সাহেব দাঃবাঃ এর ইসলাম ও আমাদের জীবন এর ০৮ নং খন্ড পড়তে পারেন।
উক্ত কিতাব সব মিলে ১৫ খন্ড,সব গুলো খন্ড পড়লে অনেক ভালো হবে।
(০৪)
এমন চিন্তা শরীয়তের চাহিদার খেলাফ।
তদুপরি স্বামীর হক পূর্ণ ভাবে আদায় করলে ও শরীয়ত সম্মত ওযরে বাচ্চা নিতে অনিহা প্রকাশ করলে এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
★বর্তমানে সন্তান গ্রহণের একটি নতুন প্রযুক্তির নাম ‘সারোগেসি’। সারোগেসিকে অনেকে গর্ভ ভাড়া দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) সংজ্ঞা অনুযায়ী সারোগেসি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একজন নারী কোনো এক যুগলের জন্য গর্ভধারণ করে। যারা চিকিৎসা বা শারীরিক কারণে গর্ভধারণ করতে অক্ষম। সারোগেসির মাধ্যমে শিশুর আইনি মা-বাবা হয় ওই যুগল।
(সংগৃহীত)
সারোগেট মায়ের অনেক আত্মীয়-স্বজন এই সন্তানের নিকট-আত্মীয় বলে বিবেচিত হবে। যাদের ও যাদের সন্তানদের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এই সন্তানের জন্য হারাম হবে। কিন্তু যেহেতু সারোগেট মা তার ভাড়া পাওয়ার পর সন্তানকে ভাড়াদাতাদের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ না-ও থাকতে পারে, তখন এই শিশু বড় হয়ে কিভাবে শনাক্ত করবে যে যার সঙ্গে তার বিয়ে হচ্ছে, সে ওই সারোগেট মায়ের সূত্রে তার কোনো হারাম আত্মীয় হয়ে যায় কি না? সারোগেট মায়েদের তো এমন আরো অনেক সন্তান থাকতে পারে, যারা পরস্পর ভাই-বোন হবে, তাদের মধ্যে বিয়ে বন্ধনও হারাম হবে; কিন্তু বড় হওয়ার পর এগুলো শনাক্ত করাও তো সম্ভব হবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এ পদ্ধতিটি একদমই না জায়েজ। কেননা এতে করে প্রজননে সংমিশ্রণ ঘটে। আর ব্যভিচারের মূল নিষিদ্ধতা এ কারণেই। এ ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা আছে-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-
عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِىِّ قَالَ قَامَ فِينَا خَطِيبًا قَالَ أَمَا إِنِّى لاَ أَقُولُ لَكُمْ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ « لاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْقِىَ مَاءَهُ زَرْعَ غَيْرِهِ (سنن ابى داود-كتاب النكاح، باب فِى وَطْءِ السَّبَايَ، رقم الحديث-2160)
অনুবাদ-হযরত রুয়াইফি বিন সাবিত আনসারী রাঃ একদা খুতবাদানকালে বলেন-আমি কি তোমাদের বলব না যা আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি হুনাইন যুদ্ধের দিন? তিনি বলেছেন-আল্লাহ ও আখেরাত বিশ্বাসী কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে তার পানি [বীর্য} দিয়ে অন্য কারো জমি [জরায়ু] প্রবাহিত করবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৬০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৯৯০, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৭৪৯, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৪৪৮২}
এ মিশ্রণ থেকে বাঁচার জন্যই বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার পর স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালনকে আবশ্যক করা হয়েছে। শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ লিখেন-
منها معرفة براءة رحمها من مائه ، لئلا تختلط الأنساب ، فان النسب أحد ما يتشاح به ، ويطلبه العقلاء ، وهو من خواص نوع الانسان ، ومما امتاز به من سائر الحيوان ، (ححة الله البالغة، كتاب النكاح، باب العدة-2/13)
অনুবাদ-ইদ্দত পালনের উপকারিতার মাঝে এটাও একটা যে, এর দ্বারা মহিলার জরায়ু পূর্ব স্বামীর উৎসগিরি [ডিম্বানু] থেকে মুক্ত হওয়া বুঝা যায়। যেন বংশে সংমিশ্রণ সৃষ্টি না হয়। কেননা বংশ এটি এমন বিষয় যার কামনা করা হয়। আর জ্ঞানীরা যার অনুসন্ধানী। যা মানুষের বিশেষত্ব। এর মাধ্যমে মানুষ অন্য প্রাণী থেকে বৈশিষ্টমন্ডিত। {হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা-২/১৩}
(০৫)
এমনটি করা নাজায়েজ নয়।
এক্ষেত্রে অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে।
তবে নিয়ত বিশুদ্ধ রাখতে হবে।
কোনো ভাবে রিযিকের চিন্তায় জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও আল্লাহর কাছে নিজের নিয়ত পরিশুদ্ধ রাখার জন্য দুআ করা যাবে।
(০৭)
না,এক্ষেত্রে ঈশার নামাজ আদায় হবেনা।
এক্ষেত্রে ওয়াক্ত আসার পর পুনরায় ঈশার নামাজ আদায় করতে হবে।