আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি এখন হজে এসেছি। পায়ে আঘাত পেয়ে আমার বাম পায়ের বুড়ো আঙুল এক্টু ফুলে গেসে। এখন আংগুলে চাপ লাগ্লে খুব সামান্য রস বের হয়। এখন অজুর পর রস বের হলে অজু ভেঙে যাবে কিনা? আমি গতকাল মাগরিবের নামাজের আগে অজু করে মাগরিব পড়ে তাওয়াফে যিয়ারাত শুরু করি এরপর ৬ বার চক্কর দিয়ে এশা পড়ে তাওয়াফ শেষ করে তাওয়াফে র নামাজ পড়ি। এর মাঝে আমার অজু ভাংগার অন্য কোনও কারণ ঘটেনি। কিন্তু আমার পা মুজায় যে আংগুল থেকে রস বের হয় ওখানে মটর দানা পরিমান দাগ হয়ে ছিলো যেটা আংগুলে চাপ লাগ্লেই বের হয়। এখন এ রস কখন বের হয়েছে আমি জানিনা কারন তাওয়াফে পায়ে চাপ লেগে যেকোনো সময় বের হতে পারে বা নামাজে ও চাপ লেগে বের হতে পারে এবং চাপ লাগলেই রস বের হয়।  এখন এ অবস্থায় আমার তাওয়াফ হয়েছে কিন? আমি যদি মাজুর হই সেক্ষেত্রে এক অজু তে মাগরিব  এশা পড়া ঠিক হয়েছে কিনা? কারন তাওয়াফে র মাঝেই আজান হয়ে যাওয়ায় আমাকে তখন নামাজ পড়তে হয়েসে।

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাওয়াফ করতে যেয়ে যদি মনে হয় যে, যখম থেকে  পানি বের হয়েছে , তাহলে অাবার অজু করে এসে তাওয়াফ করতে হবে।যদি এভাবে বারংবার তাওয়াফে বারংবার পানি বের হয়,কোনো তাওয়াফই যখম থেকে পানি বের হওয়া ব্যতিত আদায় করা সম্ভব না হয়,  তাহলে মা'যুর হিসেবে ধরে নিতে হবে। তখন এক অজু দ্বারা তাওয়াফ করা যাবে। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাওয়াফের সময় যখম বের হয়েছে না তাওয়াফ পরবর্তী নামাযের সময় পানি বের হয়েছে? যেহেতু এ সম্পর্কে নিশ্চিতি নেই, তাই সতর্কতামূলক আবার তাওয়াফ করে নিতে হবে। চারটি তাওয়াফের পূর্বে পানি বের হয়েছে মনে হলে নতুনকরে তাওয়াফ শুরু করে নেয়াই উত্তম। আর চারটি তাওয়াফ সম্পন্ন করার পর পানি বের হয়েছে মনে হলে তখন অবশিষ্ট তাওয়াফ আদায় করা যাবে।

في غنية الناسك 
"ولو خرج من الطواف إلی تجدید وضوء ثم عاد بنی لو کان ذلك بعد إتیان أکثره، …ویستحب الاستیناف في الطواف إذا کان ذلك قبل إتیان أکثره،…وصاحب العذر الدائم إذا طاف أربعة أشواط ثم خرج الوقت توضأ وبنی ولا شیٴ علیه، وکذا إذا طاف أقل منها إلا أن الإعادة حینئذ أفضل". ( قبیل باب السعي بین الصفا والمروة، ص:48) 

في الفتاوی الشامیة
"(وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة) بأن لا يجد في جميع وقتها زمناً يتوضأ ويصلي فيه خالياً عن الحدث (ولو حكماً)؛ لأن الانقطاع اليسير ملحق بالعدم (وهذا شرط) العذر (في حق الابتداء، وفي) حق (البقاء كفى وجوده في جزء من الوقت) ولو مرةً (وفي) حق الزوال يشترط (استيعاب الانقطاع) تمام الوقت (حقيقةً)؛ لأنه الانقطاع الكامل. (وحكمه الوضوء) لا غسل ثوبه ونحوه (لكل فرض) اللام للوقت كما في : ﴿لدلوك الشمس﴾ [الإسراء: 78]  (ثم يصلي) به (فيه فرضاً ونفلاً) فدخل الواجب بالأولى، (فإذا خرج الوقت بطل)". (ج:1، ص:305،  کتاب الطہارۃ، مطلب فی احکام المعذور، ط: سعید)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,920 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...