আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
375 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

একটু কষ্ট করে আমার কথাগুলো পড়বেন।
আমি অনেক চিন্তায় আছি।

কয়েক মাস আগের কথা আমি তালা** মাসালা পড়ে সন্দেহ আর চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। আমি যখন জানতে পারলাম নির্জনে বসে স্বামি মুখে তালা** উচ্চারণ করলে তালা** হয়ে যায় তখন আরো চিন্তা আর সন্দেহ তৈরি হইছিলো।
আমি তখন বাসায় একা ছিলাম। তাই অতিতে কখোনো তালা*** শব্দ স্ত্রীকে  লিখে পাঠাইছিলাম নাকি বা উচ্চারণ করেছিলাম নাকি। ভবিষ্যৎ শব্দ দিবো বা দিলাম বলেছিলাম বা লিখেছিলাম নাকি এসব চিন্তা সন্দেহ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো।।

তাই আমি একা রুমের ভিতর তোমাকে তালা*** দিবো  বা দিলাম। দিবো/ দিলাম, দিবো/দিলাম, দিবো-দিলাম, দিবো আর দিলাম এরকম করে করে উচ্চারণ করতে ছিলাম শিউর হওয়ার জন্য যে অতিতে কখোনো এরকম শব্দ লিখেছিলাম বা উচ্চারণ করেছিলাম নাকি। সেটা কি ভবিষ্যৎকালিন শব্দ দিবো বলেছিলাম না দিলাম বলেছিলাম অতিতের কাহিনি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করে করে দেখতেছিলাম। মাথার ভিতর চিন্তা আর সন্দেহ থেকে আমি উচ্চারণ করে করে শিউর হইতে চাইছিলাম যে অতিতে কখোনো এসব শব্দ স্ত্রীকে লিখেছিলাম বা বলছিলাম নাকি।

তারপর আমি বাথরুমে গেছিলাম, বাথরুমে বসেও আমি একা উচ্চারণ করতে ছিলাম তোমাকে তালা*** দিবো বা দিলাম।এরকম করে তালা** দিবো না দিলাম  কখোনো অতিতে বলেছিলাম বা লিখে পাঠিয়েছিলাম নাকি, উচ্চারণ করে করে শিউর হইতে চাইছিলাম।

তারপর মনে হলো যে আমার একা একা রুমের ভিতর বা বাথরুমে ওরকম তোমাকে তালা*** দিলাম শব্দ গুলা উচ্চারণ করা উচিত হয়নি।

আমার এখানে তালা** কোন উদ্দেশ্যই ছিলো না।
শুধু মাসালা দেখে এই সন্দেহ আর চিন্তা তৈরি হয়েছিলো। তাই সন্দেহ আর চিন্তার বশত আমি মুখে  "দিবো" আর "দিলাম" উচ্চারণ করে করে শিউর হইতে চেয়েছিলাম যে অতিতে কখনো তালা*** দিবো না দিলাম শব্দ লিখেছিলাম বা বলেছিলাম নাকি।

হুজুর,  নির্জনে একা রুমে বা বাথরুমে ওরকম করে তালা** শব্দ গুলা উচ্চারন করার জন্য  এর জন্য কি কোন সমস্যা হবে?????

 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি। আপনি যে ওয়াসওয়াসার রোগে আক্রান্ত এ কথা অনায়াসে বলা যায়, সুতরাং আপনার বর্ণিত এ সকল কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...