আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

উস্তাদ আমরা জানি যে একটা মেয়ের বিয়ের আগে কিংবা পরে যিনা/ব্যাবিচার (শারীরিক সম্পর্ক) করার  দ্বারা মেয়ের গর্ভে সন্তান আসলে সন্তান বড় হলে ওই মহিলা তওবা করার পরেও রজম এর শাস্তি তার মাফ হয় না ঐটা প্রাপ্য ই থাকে।

*1//*আমার প্রশ্ন হলো বিয়ের আগে যদি কোনো মেয়ে কোনো ছেলের সাথে প্রেমালাপ করে কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক না করে থাকে তাহলেও কি ওই মেয়ের উপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার হুকুম বর্তাবে? আর এই গুনাহ কি ছোট গুনাহের কাতারে পরে নাকি কবীরাহ গুনাহের কাতারে?

*2//*বিয়ের পরে যদি কোনো মেয়ে অন্য ছেলের সাথে গল্প গুজব বা ফ্রেন্ডশিপ সম্পর্ক জাস্ট কথা বার্তা হয়ে থাকে তাহলে এটাও কি পরকীয়ার অন্তর্ভুক্ত? এই মহিলাকে ও কি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার বিচার হবে? এই গুনাহ কি সগীরা গুনাহ নাকি কবীরাহ গুনাহের কাতারে পরে?

*3//*বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে ফ্রেন্ডশিপ বা রিলেশনশিপ করলে এর শাস্তি কি? এবং যদি তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয় তাহলে তাদের শাস্তি কি একই? নাকি আলাদা?

শায়খ প্রশ্ন গুলোর উত্তর স্পেসিফিক ভাবে জানাবেন ইন শা আল্লাহ তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إنْ شَهِدَ أَرْبَعَةٌ عَلَى امْرَأَةٍ بِالزِّنَا فَنَظَرَ إلَيْهَا النِّسَاءُ فَقُلْنَ هِيَ بِكْرٌ لَا حَدَّ عَلَيْهِمَا وَلَا عَلَى الشُّهُودِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَكَذَا إذَا قُلْنَ هِيَ رَتْقَاءُ أَوْ قَرْنَاءُ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ. 
যদি চারজন ব্যক্তি কোনো পুরুষের উপর যিনার সাক্ষ্য দেয়,অতপর বিজ্ঞ মহিলারা ঐ মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে, মেয়ের তো এখনো সতিচ্ছেদ বা যোনীচ্ছেদ হয়নি, বা মেয়ের যোনীপথ বন্ধ,জড়ায়ুর মুখ বন্ধ, তাহলে মেয়ের উপর হদ কায়েম হবে না।এবং সাক্ষীদের উপরও হদ কায়েম করা হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/১৫৩)

আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «ادرؤا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَخْرَجٌ فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّ الْإِمَامَ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعَفْوِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعُقُوبَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: قَدْ رُوِيَ عَنْهَا وَلم يرفع وَهُوَ أصح
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের যথাসম্ভব দণ্ডযোগ্য শাস্তি থেকে যদি সামান্যতম অব্যাহতির উপায় থাকে, তাহলে তাকে ছেড়ে দাও। কেননা শাসকের ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ভুল করা শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করার চেয়ে উত্তম। (মিশকাত-৩৫৭০,তিরমিযী ১৪২৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/53048

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনে কারীমে যিনার শাস্তি ১০০ টি বেত্রাঘাত বা মৃত্যুদণ্ড বলা হয়েছে, তখন সেই যিনা দ্বারা শারিরিক সম্পর্ককে বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া এই শারিরিক সম্পর্ক নিয়ে নিজের স্বীকারোক্তি বা চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতিত যিনা ব্যভিচারের শাস্তিকে প্রয়োগ করা যাবে না।

(১)
বিয়ের আগে যদি কোনো মেয়ে কোনো ছেলের সাথে প্রেমালাপ করে কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক না করে থাকে, তাহলে ঐ মেয়ের উপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার হুকুম বর্তাবে না।হ্যা প্রমালাপ করার এই গুনাহ কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। 

(২)বিয়ের পরে যদি কোনো মেয়ে অন্য ছেলের সাথে গল্প গুজব বা ফ্রেন্ডশিপ সম্পর্ক নিয়ে জাস্ট কথা বার্তা বলে থাকে, তাহলে এটাও হারাম। পরকীয়ার অন্তর্ভুক্ত না হলেও এটা হারামের অন্তর্ভুক্ত। এই মহিলাকে পাথর নিক্ষেপ করা হবে না। হ্যা এটা কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। 

(৩)বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে ফ্রেন্ডশিপ বা রিলেশনশিপ করলে এর শাস্তি সরকার বা অভিভাবক নির্ধারণ করবে। তবে ১০০ বেত্রাঘাত বা মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে কম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...