ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إنْ شَهِدَ أَرْبَعَةٌ عَلَى امْرَأَةٍ بِالزِّنَا فَنَظَرَ إلَيْهَا النِّسَاءُ فَقُلْنَ هِيَ بِكْرٌ لَا حَدَّ عَلَيْهِمَا وَلَا عَلَى الشُّهُودِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَكَذَا إذَا قُلْنَ هِيَ رَتْقَاءُ أَوْ قَرْنَاءُ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.
যদি চারজন ব্যক্তি কোনো পুরুষের উপর যিনার সাক্ষ্য দেয়,অতপর বিজ্ঞ মহিলারা ঐ মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে, মেয়ের তো এখনো সতিচ্ছেদ বা যোনীচ্ছেদ হয়নি, বা মেয়ের যোনীপথ বন্ধ,জড়ায়ুর মুখ বন্ধ, তাহলে মেয়ের উপর হদ কায়েম হবে না।এবং সাক্ষীদের উপরও হদ কায়েম করা হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/১৫৩)
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «ادرؤا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَخْرَجٌ فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّ الْإِمَامَ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعَفْوِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعُقُوبَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: قَدْ رُوِيَ عَنْهَا وَلم يرفع وَهُوَ أصح
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের যথাসম্ভব দণ্ডযোগ্য শাস্তি থেকে যদি সামান্যতম অব্যাহতির উপায় থাকে, তাহলে তাকে ছেড়ে দাও। কেননা শাসকের ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ভুল করা শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করার চেয়ে উত্তম। (মিশকাত-৩৫৭০,তিরমিযী ১৪২৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনে কারীমে যিনার শাস্তি ১০০ টি বেত্রাঘাত বা মৃত্যুদণ্ড বলা হয়েছে, তখন সেই যিনা দ্বারা শারিরিক সম্পর্ককে বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া এই শারিরিক সম্পর্ক নিয়ে নিজের স্বীকারোক্তি বা চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতিত যিনা ব্যভিচারের শাস্তিকে প্রয়োগ করা যাবে না।
(১)
বিয়ের আগে যদি কোনো মেয়ে কোনো ছেলের সাথে প্রেমালাপ করে কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক না করে থাকে, তাহলে ঐ মেয়ের উপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার হুকুম বর্তাবে না।হ্যা প্রমালাপ করার এই গুনাহ কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
(২)বিয়ের পরে যদি কোনো মেয়ে অন্য ছেলের সাথে গল্প গুজব বা ফ্রেন্ডশিপ সম্পর্ক নিয়ে জাস্ট কথা বার্তা বলে থাকে, তাহলে এটাও হারাম। পরকীয়ার অন্তর্ভুক্ত না হলেও এটা হারামের অন্তর্ভুক্ত। এই মহিলাকে পাথর নিক্ষেপ করা হবে না। হ্যা এটা কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
(৩)বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে ফ্রেন্ডশিপ বা রিলেশনশিপ করলে এর শাস্তি সরকার বা অভিভাবক নির্ধারণ করবে। তবে ১০০ বেত্রাঘাত বা মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে কম হবে।