শরীয়তের বিধান হলো সরকারী চাকুরী জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪)
,
সুতরাং কাস্টমস ইত্যাদি সেক্টরে চাকরি করা জায়েজ আছে।
,
তবে বকেয়া কর আদায়ের সময় যদি সুদ সহ উঠাতে হয়। তাহলে উক্ত কাজ করা বৈধ নয়। কেননা এতে সুদের মত হারাম কাজে সরকারকে সহযোগিতা করা হয়। অথচ সুদ হারাম এবং ভয়াবহ কবিরা গুনাহ।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّـهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ- فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِّنَ اللَّـهِ وَرَسُولِهِ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ
“হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ইমানদার হয়ে থাক। অত:পর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।”
(সূরা বাকারা: ২৭৮-২৭৯)
এ ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদের সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে অভিসম্পাত করেছেন। জাবের রা. হতে বর্ণিত,
أنه لعن آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال: هم سواء
“সুদ গ্রহীতা, সুদ দাতা, সুদের লেখক এবং সাক্ষীদ্বয়কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তারা সকলেই সমান (গুনাহগার)।”
(সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৯৯৫, শামেলা)
আর ইসলামে হারাম কাজে সহযোগিতা করা নিষেধ।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
“পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।” (সূরা মায়িদাহ: ২)
সুতরাং যথাসাধ্য দ্রুত এই চাকরি থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।
,
তব এক্ষেত্রে যদি সূদ বা সংশ্লিষ্ট সকল কাজ থেকে বেঁচে থাকা যায়, তাহলে এই সেক্টরেও চাকুরী করা জায়েজ আছে।
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের হয়ে ট্যাক্স আদায় করার চাকুরী জায়েয।
সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকবেন।নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।
আরো জানুনঃ