আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ

আমি অনলাইনে ই কমার্স  কোম্পানিতে প্রোডাক্ট সেল করি। সেখানে তাদের সিস্টেম ছিল কোন প্রাইস পরিবর্তন হলে সেটা কিছুখনের জন্য ডিস্কাউন্ট আকারে দেখাতো অর্থাৎ কাস্টমার পুরোনো দামে কিনলেও সেলার নতুন দাম পাবে। এটা তাদের কাস্টমারের জন্য একটি সুবিধা। আমি এই সুজোগটি বুঝতে পেরে দাম বেশি বারিয়ে সেল করতাম। যার ফলে দেখা যেত কোম্পানির লস হচ্ছে। কারন কোম্পানি তাদের পক্ষ থেকে এই ডিস্কাউন্ট বহন করত।

এরকম কয়েকবার করার পর তারা আমার টাকা আটকে দেয়। ১-২ মাস আমার একাউন্ট রিভিও করে তারপর টাকা দেয় আমাকে তাদের লস হলেও। তবে তাদের সুজোগ ছিল টাকা না দেওয়ার কিন্তু তারা দিয়েছে যখন আমি তাদের কাছে সরি বলেছি।

এখন মনে হচ্ছে টাকাটা হারাম হবে। তাই আমি ওদের সব বলেছি এবং টাকাও ফেরত দিতে চেয়েছি কিন্তু তারা বলেছে টাকা ব্যাক নেওয়ার কোন সুজোগ নেই।  এটা তাদের সিস্টেম যে টাকা একবার দিবে সেটা আর নিবে না।

একই ভাবে কাজ করার জন্য আমার  অন্য একটি একাউন্টের টাকা দেয় নি তারা। অর্থাৎ ভুল হলে তাদের ইচ্ছে হলে টাকা দিবে এবং না হলে দিবে না। যেহেতু তাদের কাছে সম্পুর্ন পাওয়ার থাকার পরেও আমাকে টাকাটা দিয়েছে ১-২ মাস রিভিও করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝে, এটা স্পস্ট তারা ইচ্ছে করেই দিয়েছে। তাহলে এখন আমার ভুলটা কি মাফ হবে এবং এই টাকা কি আমার জন্য হালাল হবে?

নোট: বড় বড় কোম্পানি কখনো ভুল হলে সরাসরি বলে না। স্পেসিফিক কোন সলিউশন দিবে না। উপরের যে তথ্য দিয়েছি তা সম্পুর্ন তাদের নিওম পরে এবং তাদের সাথে কথা বলে যা বুঝতে পেরেছি তা।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যেহেতু তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন,আর তাদের কাছে সম্পুর্ন পাওয়ার থাকার পরেও তারা আপনাকে টাকাটা দিয়েছে ১-২ মাস রিভিও করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝে।
আপনি টাকাটা ফেরতও দিতে চেয়েছেন,কিন্তু তারা তাহা গ্রহন করেনি।

★সুতরাং এক্ষেত্রে এই টাকা আপনার জন্য হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...