আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (8 points)
হযরত,
আমার গ্রামের বাড়িতে প্রতিটি এলাকায় আলাদা আলাদা সমাজ আছে। আমাদের সমাজে ৭৫ টি ঘর হয়েছে। আমরা যখন কুরবানী দেই সমাজের নিয়ম হলো অর্ধেক গোস্ত সামাজে দিতে হবে । বাকি অর্ধেক আমরা নিবো । যতজন কুরবানী করে তাদের সবার থেকে অর্ধেক গোস্ত একত্রিত করে সমস্ত গোস্ত ৭৫ টি ভাগ করে, মানে সমাজের সবার ঘরে গোস্ত বন্টন করে দেয়। যারা কুরবানী দেয় তারাও সেই গোস্ত খান।
আমার প্রশ্ন যারা কুরবানী দেন তারা কি এই গোস্ত খেতে পারবেন, জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে খাওয়া,এক ভাগ গরিব মিসকিন,আরেক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেয়া মুস্তাহাব।

তবে তিনভাগ না করে পুরো গোশত বা অধিকাংশ গোশত নিজে খাওয়াও জায়েজ আছে।
কেননা তিন ভাগ করা এটি আবশ্যকীয় বিধান নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، - وَهُوَ ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ - عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا "

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) [শব্দগুলোর আবূ বাকর ও ইবনু নুমায়র এর] ... ইবনু বুরায়দাহ (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বুরায়দাহ ইবনু হুসায়ব ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর বিয়ারাত করতে নিষেধ করতাম। (এখন অনুমতি দিচ্ছি) তোমরা কবর যিয়ারাত করতে পার। আমি ইতোপূর্বে তিনদিনের বেশী কুরবানী গোশত রাখার ব্যাপারে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম। এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা রাখতে পার। এছাড়া আমি তোমাদেরকে পানির পাত্রে নবীয তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পানির পাত্রে তা তৈরি করতে পার। তবে নেশার বস্তু (মাদকদ্রব্য) পান করো না।

(মুসলিম শরীফ ২১৫০.ইসলামী ফাউন্ডেশন ২১২৯, ইসলামীক সেন্টার ২১৩২)

ইমাম আহমাদ বলেন: আমাদের অভিমত হল আব্দুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) এর হাদিস: "সে নিজে এক তৃতীয়াংশ খাবে, এক তৃতীয়াংশ খাওয়াবে (যে চায়); আর এক তৃতীয়াংশ মিসকীনদেরকে দান করবে।" হাদিসটি আবু মুসা আল-ইসফাহানি "আল-ওয়াযায়িফ" নামক গ্রন্থে বর্ণনা করার পর বলেন: এটি হাসান হাদিস এবং ইবনে মাসউদ (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ) এর অভিমত। সাহাবীদের মধ্যে অন্য কেউ এ দুইজনের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন মর্মে জানা যায় না।[আল-মুগনী (৮/৬৩২)]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরবানী দাতা এক ভাগ নিজের জন্য,এক ভাগ গরিব মিসকিন দের জন্য,আরেক ভাগ আত্মীয়স্বজনদেরকে দেয়ার জন্য গোশত তিন ভাগ করতে পারেন।

এটি মুস্তাহাব,তবে তাহা কোনোভাবেই ওয়াজিব,আবশ্যকীয় নয়।
এমনটি না করলে কোনো গুনাহ হবেনা।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমাজে ভাগ দেয়ার নামে যেটি চালু আছে,সেটি আবশ্যকীয় কিছু নয়।
এক্ষেত্রে কেউ কাউকে গোশত দেয়ার উপর চাপ দিতে পারবেনা।

কেউ স্ব-ইচ্ছায় দিতে চাইলে দিতে পারে,চাপ দেয়া হলে এটি নাজায়েজ হবে।

গরিবদের গোশত দেয়ার নিমিত্তে সমাজে গরিবদের এক অংশ দেয়া যায়। যাহা শুধু গরিবদের মাঝেই বন্টন করে দেয়া বাঞ্চনীয়।

★এক্ষেত্রে সমাজ থেকে গোশত নেয়ার ক্ষেত্রে মাসয়ালা বিষয় হলো গরিবদের অংশ হতে সমাজে কিছু দিয়ে সেখান হতে গোশত নিয়ে আসা যদিও জায়েজ,তবে এটি কাম্য নয়। এটির পুরোটাই গরিবদের মাঝে বন্টন করা সবচেয়ে ভালো।

তবে উক্ত গোশতের মধ্যে কাহারো মান্নতের গোশত থাকা যাবেনা।
যদি এখানে মান্নতের পশুর গোশত থাকে,তাহলে তাহা ধনীর জন্য নেয়া জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
0 votes
1 answer 273 views
...