আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর

১।যাদের সাথে হুরমত হই তাদের ক্ষেত্রে
ক।মেয়েদের স্তন দেখার দারা কি হুরমত হবে??
খ।অনিচ্ছাকৃত ভাবে ছেলেদের লিংগে চোখ পরলে চোখ সরানোর পর যদি খারাপ চিন্তা করে উত্তেজনা হই তাইলে কি হুরমত হবে?

গ।শর্তে বলা আছে কাম ভাবের সহিত স্পর্শ করতে হবে।এখন ২ জনের কেও যদি খারাপ উদ্দেশ্য বা কাম ভাব নিয়ে স্পর্শ না করে স্পর্শ থাকা অবস্থায় যদি খারাপ চিন্তা আসে তাইলে কি হুরমত হবে???
উপোরোক্ত বরননা অনুযায়ী  মেয়েদের দিক থেকে উত্তেজনা পাওয়া যাই না।কিন্তু ছেলেদের ত উত্তেজনা হওয়া সম্ভব। এখন বাবা বা শশুর কে তাদের উত্তেজনা হইছিল নাকি হই নাই এসব জিজ্ঞেস না করে সংসার করলে কি সমস্যা হবে।??তাদের এসব কোন ভাবে বইলা বুজানো সম্ভব না।এসব বেপারে তাদের সাথে আলোচনা করা সম্ভব না।আর তাছাড়া তাদের আচরণ আমার কাছে সাভাবিক লাগে।এখান থেকে একবার বলেছিল যে তাদের জিজ্ঞেস না করে সংসার করলে কোনো সমস্যা হবে না।

২।ধরেন হাসবেন্ড ও বউয়ের মধ্যে তা.. ক বিষয় এ কোন কথা হই নাই এসব চিন্তা আসেই নাই।আত্নীয় নিয়ে জগরা হইছ।। তখন হাসবেন্ড বলছে জাগা।বউ ধরেন অধিকার প্রাপ্ত। কিন্তু সে সময় বউ হাসবেন্ড কেউ জানে না যে বউয়ের অধিকার আছে। হাসবেন্ড এর কোন কথায় অধিকার পাইছে।এখন মাসালা জানার পর জানছে এভাবে বললে অধিকার দেওয়া বুজাই। ত বউ তখন গেলাম গা থাকমু না বলে ঘর থেকে বার হইছে।রাগে সে ভাল মন্দ কিছু চিন্তা করে নাই।ঘর থেকে নামার পর তার মনে হইছে এভাবে কেন বার হইলাম কই জাব এখন।রুমেও ত জাওয়া যাবে না লজ্জা আছে না।আর জিদ থাকব না।হাসবেন্ড এর কাছে সরম পামু।বাসার রাস্তা দিয়া জাওয়ার সময় অনেক কিছু বলছে রাগে যেমন একবারে জামু গা থাকমু না এনে।আবার ভাবছে কেও আইসা জোর কইরা নেয় না কেন।তখন চাচাতো ননদ এসে তাদের বাসাই নিয়া গেসে।তাদের বাসা আর হাসবেন্ড  এর বাসা পাশাপাশি। কিছু ক্ষন পর হাসবেন্ড এর বাসায় আইসা পরছে। এখন বউ যা যা বলছে তা... ক এর চিন্তা করে করে বলে নাই।মানে নিজের উপর নেওয়ার নিয়তে বলে নাই।শুধু রাগে বলছে।এখন এতে কি কোন সমস্যা হবে?যা উত্তর আসবে তা হওয়ার কারণ বলে.....দিলে কোন... কনফিউশান থাকত না।

৩।এক ছেলে ও এক মেয়ের সম্পর্ক ছিল।৫,৬ বছর যাবত তাদের কোন যোগাযোগ নাই। মেয়ে এখন বিবাহিত। সে জানতে পারছে মজা কইরা ইযাব কবুল করলেও বিয়ে হয়ে যাই।তাই সে চিন্তা মুক্ত হয়ে সংসার করার জন্য অই ছেলের কাছে এক মেয়ে দিয়ে তা...ক চাওয়াইছে।কিন্তু ছেলে বলছে তার এসব মনে নাই। সে বলতে রাজি হচ্ছে না। সে এটাকে মেয়ের দুরবলতা মনে করে মজা করতেছে মানে প্রতিশোধ টাইপ। তাকে অনেক রিকুয়েষ্ট করা হইছে।কিন্তু বলে না এমন কি অধিকার ও দিচ্ছে না।তার মামাকেও রিকুয়েষ্ট করা হইছে যাতে ছেলেকে বলতে বলে কিন্তু তাও হচ্ছে না।পারিবারিক ভাবে বলবে তাও হচ্ছে না কারণ কোন প্রমান নাই।আবার চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না যে ইজাব কবুল হইছে নাকি হই নাই।যাদের সাক্ষি মনে হই তাদের সবাই কে জিজ্ঞেস করা যাচ্ছে না।মেয়ে ভাবছে ছেলে যদি বলে তাইলে ৩ মাস পর হাসবেন্ড কে পুনরায় ইযাব কবুল করে নিবে তাই আর সন্দেহ হবে না।চিন্তা আসবে না।কিন্তু তা ত সম্ভব হচ্ছে না।এখন এমত অবস্থায় কি করনিয়। কোন উপায় কি আসে হুজুর থাকলে বইলা দিন।কিভাবে সে সন্দেহ মুক্ত  বৈধ সংসার করবে।

৪।সাক্ষি হালকা মানুশিক রোগী মানে মাথায় হালকা সমস্যা থাকে তাইলে কি বিয়ে বৈধ হবে?

৫।মোবাইল এ বিয়ে এবং ২এর অধিক মেয়ে সাক্ষী র সামনে ছেলে সাক্ষি ছাড়া কি  বিয়ে বৈধ হয়?

৬।তা...ক এর বিষয় হাসবেন্ড যা বলে তাই মাইনা নেওয়া উচিত। বউয়ের যদি সঠিক মনে না থাকে।আমাদের জখন জগরা হইছে মাজে মাজে শাশুড়ী আর ননদ পাশের রুমে থাকছে বা রুমের কাছাকাছি থাকছে।হাসবেন্ড কিছু বিষয় বলতে পারে আবার কিছু বিষয় সঠিক বলতে পারে না আবার বলে মনে নাই।বা আদো বলছে কিনা।এখন তাদের জিজ্ঞেস করমু তারা এসব মাসালা জানে না।একবার পারিবারিক ভাবে এসব নিয়া জামেলা হইছে।আবার চিন্তা করি আমাদের ই সঠিক মনে নাই কিভাবে বলছে ওদের কিভাবে মনে থাকবে।যদি উল্টো পাল্টা বইলা দেয়।আর কথার একটু হেরফের হলে মাসালা পরিবর্তন হই।এখানে জিগ্যেস করাই উত্তর দিয়েছিল জিজ্ঞেস করার কোন প্রয়োজনীয়তা নাই।আবার যদি একটু বলতেন তাদের জিজ্ঞেস না করে সংসার করা যাবে কিনা বা এতে কি গুনাহ হবে কিনা।

৭।তা...কের মাসালা জানার জন্য অই শব্দ বা বাক্য লেখার সময় তা..কের চিন্তা আসলে কি কিছু হবে।

1 Answer

0 votes
by (564,330 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 

অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

২–

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

৩-
স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। 
আগে বা পরে উত্তেজিত হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
ক,
এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা। 

খ,
চোখ সরানোর পর যদি খারাপ চিন্তা করে উত্তেজনা হোন,তাইলে হুরমত হবেনা।

ঘ,
স্পর্শ থাকা অবস্থায় যদি উত্তেজনা আসে,আর উপরোক্ত সমস্ত শর্ত পাওয়া যায়,তাহলে হুরমত সাব্যস্ত হবে।
নতুবা নয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শশুরকে জিজ্ঞেস না করে সংসার করলে কোনো সমস্যা হবে না।

(০২)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এক্ষেত্রে মেয়ে তো নিশ্চিত নয় যে তাদের ইজাব কবুল হয়েছিলো?
নিশ্চিত না হলে অযথা সন্দেহের সুযোগ নেই।

তিনি নিশ্চিন্ত মনে এখনকার সংসার চালিয়ে যেতে পারেন।

(০৪)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে সে ও অপর সাক্ষী উভয়ে ইজাব কবুল শুনতে পারলে বিবাহ হয়ে যাবে।

(০৫)
এভাবে মোবাইলে বিয়েই সহীহ হয়না।

(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের জিজ্ঞেস না করে সংসার করা যাবে। এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...