জবাবঃ-
(১)বুক,পেট,পিঠ,২উরুর লোম কাটা বৈধ।
(২)
কেউ অস্পষ্ট,ভুল উচ্চারণে সালাম দিয়ে থাকলে যেমনঃসালামুলাইকুম,স্লামালাইকুম ইত্যাদি।এহেন ক্ষেত্রে উত্তর প্রদান আবশ্যক নয়।
(৩)
ডাচ বাংলা স্টুডেন্ট একাউন্ট এ জমা টাকার উপর সুদ আসে আবার সুদ এর ১০% ট্যাক্স হিসাবে কেটে নেয়।যেমনঃ যদি ২০০ টাকা সুদ আসে তাহলে ২০ টাকা ট্যাক্স কেটে রাখবে।
সুদের দায়থেকে মুক্তির জন্য এক্ষেত্রে কি ২০০ টাকায় দান করে দিবেন সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া।
কেননা ট্যাক্স আদায় করা আপনার উপর আলাদা ভাবে ওয়াজিব।
আয়করের বিধান আমরা শরীয়তের নিম্নোক্ত উৎসসমূহ ও প্রমাণাদি থেকে এভাবে বুঝতে পারি,
যেমনঃ
আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯
কর প্রদাণের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সহায়তা করা নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাপকতায় শামিল রয়েছে।
{وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإثْمِ وَالْعُدْوَانِ}
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।
সূরা মায়েদা-০২
সরকারকে সাহায্য করা বা সাহায্য করার মনোবাঞ্ছানা থাকা- পূর্ববর্তী উম্মতদের মধ্যেও বিদ্যমান ছিলো।
যেমনঃসুপ্রসিদ্ধ বাদশা 'যুলকারনাইন'কে তার প্রজারা বলেছিল......
সেই কথোপকথন সূরা ক্বাহাফ এ সবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে।
আল্লাহর তা'আলার বাণী থেকেই সেই কথোপকথন শুনুন......
প্রজারা যুলকারনাইনকে বলেছিল.......
حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِن دُونِهِمَا قَوْمًا لَّا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا★قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَى أَن تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا★قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا★
তরজমাঃ-
অবশেষে যখন তিনি দুই পর্বত প্রচীরের মধ্যস্থলে পৌছলেন, তখন তিনি সেখানে এক জাতিকে পেলেন, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না।
তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু "কর'' ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।
তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।
সূরা ক্বাহাফ;৯৩-৯৫
"বাদশা তাদের মনোবাঞ্ছা কে অবৈধ আখ্যা দেননি।বরং তিনি বললেন,আপাতত তোমাদের থেকে সম্পদ নেয়ার কোনো প্রয়োজন আমার নেই।আল্লাহ আমাকে যে সম্পদ দিয়েছেন, তাই আমার জন্য যথেষ্ট। তবে এখন আমার শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে,তাই তোমরা শ্রমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হও।
উল্লেখ্য যে,
যুলকারনাইন ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশা।যাকে আল্লাহ তা'আলা অনেক অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন।
উপরোক্ত আয়াতে خرجاً শব্দ দ্বারা প্রতিরক্ষা খরছ হিসেবে সরকারী খাযানায় মাল প্রদাণের কথা ই প্রজারা ব্যক্ত করেছে।
ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন,
عن ابن عباس : أجرا عظيما ، يعني أنهم أرادوا أن يجمعوا له من بينهم مالا يعطونه إياه ، حتى يجعل بينهم وبينهم سدا
আয়াতে خرجاً দ্বারা উদ্দেশ্য হলঃ বড় প্রতিদান।
তথা তারা যুলকারনাইন কে উপহার দেয়ার জন্য পরস্পর মাল জমা করার ইচ্ছা পোষন করেছিল।যাতে করে যুলকারনাইন তাদের জন্য ইয়াজুজ-মাজুজ থেকে প্রতিরক্ষা বাধ নির্মাণ করে দেন।
জানাকথা যে,
পূর্ববর্তী শরীয়তের কোনো আলোচনা নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত শরীয়তের কোথাও আলোচিত হলে সেটা আমাদের জন্যও পালনীয় বিধান।