জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
জানাজার নামাজে চারটি তাকবীর দিতে হয়। চার তাকবীরের কম হলে জানাজার নামাজ সহিহ হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن جابرِ بنِ عبدِ اللهِ رَضِيَ اللَّهُ عنهما: أنَّ رسولَ الله صلَّى الله عليه وسلَّم صلَّى على أَصْحمَةَ النجاشيِّ، فكبَّر عليه أربعًا
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) আসহামা নাজাশীর জানাজার নামাজ আদায় করলেন। তাতে তিনি চার তাকবীর দিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৩৩৪]
অপর বর্ণনায় আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَعَى النَّجَاشِيَّ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى، فَصَفَّ بِهِمْ وَكَبَّرَ أَرْبَعًا
‘নাজাশী যেদিন মারা যান সেদিন-ই আল্লাহর রাসূল (সা.) তাঁর মৃত্যুর খবর দেন এবং জানযার স্থানে গিয়ে লোকদের কাতারবন্দী করে চার তাকবীরে জানাজার নামাজ আদায় করলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২৪৫]
ফাতওয়ার কিতাবে এসেছে,
وصلاة الجنائز اربع تكبيرات ولو ترك واحدة منها لم تجز صلاته
”জানাযা নামাযে চার তাকবীর হল ফরজ। তাই এক তাকবীর কম হলে নামায হবে না।” (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৪)
ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
জানাযার নামাযের তাকবীর ছুটে গেলে করণীয় হল, ইমাম সালাম ফেরানোর পর খাটিয়া উঠানোর আগে মাসবুক তার ছুটে যাওয়া তাকবীরগুলো বলে নামায শেষ করবে। এক্ষেত্রে দুআ পড়া আবশ্যক নয়। অবশ্য যদি মৃতের খাটিয়া উঠানোর আগে আগে দুআ ও তাকবীর উভয়টি পড়ার সময় পাওয়া যাবে বলে মনে হয় তাহলে পড়বে। আর খাটিয়া উঠিয়ে ফেলার আশংকা থাকলে দুআ পড়বে না; বরং শুধু তাকবীরগুলো বলে নিবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
জানাজার নামাজে যদি কেউ মাসবুক হয় এবং ইমাম সাহেব কত নাম্বার তাকবীর দিয়েছে সেটা না বুঝতে পারলে তাহলে মাসবুক ব্যাক্তি ইমামের তাকবীরকে ১নং নাম্বার তাকবীর ধরে নিতে পারে।
এভাবে ইমামের সাথে জানাযা আদায় শেষ হলে অবশিষ্ট তাকবির গুলো একাকী আদায় করবে।
এক্ষেত্রে দুআ পড়া আবশ্যক নয়। অবশ্য যদি মৃতের খাটিয়া উঠানোর আগে আগে দুআ ও তাকবীর উভয়টি পড়ার সময় পাওয়া যাবে বলে মনে হয় তাহলে পড়বে। আর খাটিয়া উঠিয়ে ফেলার আশংকা থাকলে দুআ পড়বে না; বরং শুধু তাকবীরগুলো বলে নিবে।
(২.৩)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....
মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)
সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন!!