আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আমার কিছু নিকট আত্মীয় আছেন, যারা সর্বদা আমাদের খারাপ চায় কিংবা আমাদের ভালো তাদের সহ্য হয় না, আমার বড় বোনের বিয়ের সময় তারা অনেক ঈর্ষা প্রদর্শন করেন, তো তাদের নিয়ত ছিল তাদের মেয়েকে ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়া বড়লোক দেখে বিয়ে দেওয়া, যেটা তারা করেন ও, কিন্তু এখন তাদের মেয়ের শ্বশুর বাড়ির তরফ থেকে নানান আর্থিক আবদার করতে দেখা যাচ্ছে, মূলত তারা অনেক বড়াই করেছে যে তাদের জামাই এমন ওমন, কিন্তু এখন ঠিক ই শ্বশুর বাড়ির লোকেরা অনেক কিছু চায়, এমন কথা শুনে আমি বলে উঠি "ঠিকই আছে যে যেমন পায় ও তেমন, বেশি বড়াই করতো দেখেই এমন হয়েছে" এই কথা শুনে আমার কাছের একজন আপত্তি করেন যে আমি কেনো তাদের ব্যাপারে এমন বলেছি, এমন না যে আমি তাদের খারাপ চাই,কিন্তু আমি এই কথা এইজন্য বলেছি যে আমার মনে হয়েছে এটাই আল্লাহর ইনসাফ, এখানে কি আমি এমন মনে করার জন্য গুনাহগার, নাকি একজন মুমিন হিসেবে আমার মনে করো প্রতি এধরনের চিন্তা আসা ঠিক না,

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، - يَعْنِي ابْنَ قَيْسٍ - عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ مَوْلَى عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَحَاسَدُوا وَلاَ تَنَاجَشُوا وَلاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَلاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا . الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ وَلاَ يَحْقِرُهُ . التَّقْوَى هَا هُنَا " . وَيُشِيرُ إِلَى صَدْرِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ " بِحَسْبِ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ دَمُهُ وَمَالُهُ وَعِرْضُهُ " .

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কানাব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরে হিংসা পোষণ করো না, পরস্পর ধোঁকাবাজী করো না, পরস্পর বিদেষ পোষন করো না। একে অপরের (ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে) পশ্চাতে শত্রুতা করো না এবং একের বেচাকেনার উপর অন্যে বেচা-কেনার চেষ্টা করবে না। তোমরা আল্লাহর বান্দা রূপে ভাই ভাই হয়ে থাক।

এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে অপদস্থ করবে না এবং হেয় করবে না। তাকওয়া এইখানে, এই কথা বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সীনার প্রতি ইশারা করলেন তিনবার। একজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার ভাইকে হেয় করে। কোন মুসলিমের উপর (প্রত্যেক) মুসলিমের সবকিছু জান-মাল ও ইজ্জত-আবরু হারাম।
(মুসলিম ৬৩০ ইফাঃ)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার জন্য উক্ত কথা বলা জায়েজ হয়নি।
এটি হিংসা/অন্যকে হেয় করার অন্তর্ভুক্ত। 

মানুষ হিসেবে এমন চিন্তা আসলেও মুমিন হিসেবে তাহা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে,ফ্রেশ মনে চলতে হবে।

একজন মুমিন হিসেবে মনে কাহারো প্রতি এধরনের চিন্তা আসা ঠিক নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...