আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
১-নফল নামাযে কি সিজদায়ে যেয়ে  দুনিয়াবি কিছু চাওয়া যাবে??যেমন-ফিতনা থেকে বাঁচতে বিয়ের জন্য প্রার্থনা করা।

২-নফল নামাযে কি সিজদায় বাংলায় দোয়া করা যাবে??

৩-কুরআনে পা লাগলেে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নফল নামাযের সেজদা বা অন্যান্য তাসবীহাতের রুকুনে কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত দু'আ অথবা তার সমার্থক আরবী দু'আ করা যাবে।
আখেরাতের জন্য দু'আ করতে হবে।
যেমনঃ-হে আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দাও। দুনিয়াবি দু'আ করা যাবেনা।
যেমনঃ- হে আল্লাহ আমাকে এক লক্ষ টাকা দাও।
অর্থ্যাৎ নফল নামাযে অতিরিক্ত দু'আ পড়া যাবে এতে কোনো সমস্যা নাই।এবং তা সুন্নাতে মুআক্কাদার খেলাফ হবে না।
তবে ফরয নামাযে অতিরিক্ত দু'আ না পড়াই উত্তম।বরং এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দু'আ -ই পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদা।
যদিও অন্যান্য/অতিরিক্ত দু'আ সুন্নাত,তবে সুন্নাতে যায়েদা,সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়।
অর্থ্যাৎ সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত কিন্তু সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়।

যেহেতু ফরয নামায জামাতে পড়াটাই আসল এবং ওয়াজিব।তাই এক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট তাসবীহাত ব্যতীত অন্যান্য দু'আ সমূহ পড়া হয়,তাহলে নামায বেশ দীর্ঘ হয়ে যাবে,এজন্য দু'আ না পড়াই উত্তম। তবে নফল নামাযি ব্যক্তি (জামাত ব্যতীত) 
বা মুনফারিদ (একলা নামাযি)এর জন্য নির্দিষ্ট তাসবীহাত ব্যতীত কোরআন-হাদীসে বর্ণিত পরকালীন দু'আ করতে পারবেন।

পরকালিন দু'আ না দুনিয়াবি দু'আ এ সম্পর্কে আরো স্পষ্ট করে ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখানে উল্লেখ করা হয় যে, 
فالحاصل انه دعا في الصلوة بما جاء في الصلوة أو في القرآن أو في الماثور لا تفسد صلاته ،وإن لم يكن في القرآن ولا في الماثور ولايستحيل سواله من العباد تفسد صلاته ،وإن كان يستحيل سواله من العباد لاتفسد صلاته ،(قاضي خان ،اولين ص;٦٨حافظ كتب خانه،كوئته)
মোটকথাঃ যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না।কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী!
যেহেতু ভালমানের দ্বীনদ্বার পাত্রী পাওয়া তাকদীরী বিষয়,ফিতনা থেকে বাচাও তাকদীরী বিষয়,যা বান্দার নিকট চাওয়া যায় না,তাই এ সব দু'আ নফল নামাযের রু'কু সিজদা ইত্যাদি দু'আর রুকুন সমূহে করা যাবে।তবে আরবী ভাষায়-ই করতে হবে।

(২)
ফরয নফল কোনো নামাযেই আরবী ব্যতীত অন্যান্য ভাষায় দু'আ করা যাবে না।তবে যদি কেউ নফল নামাযে দু'আর রুকুন সমূহে নিজ মাতৃভাষায় আখেরাতমূখী দু'আ করে নেয়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।

(৩)অসতর্কতাবশত কুরআনে পা' লেগে গেলে,আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে হবে।এর বেশী যেমন কেউ কেউ সদকাহ ইত্যাদির কথা বলে থাকেন,এসব করা লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...