আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম।

(১)

বান্দার হক্ব নষ্ট করা হলে সেক্ষেত্রে আমরা জানি যে আল্লাহ তা'আলা এই হক্ব এর জন্য মাফ করবেন না, যতক্ষণ না যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে সে নিজে মাফ করে দেয়।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,যদি কারো সম্মানহানী করা হয় গীবত করার মাধ্যমে বা মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার মাধ্যমে তাহলে কি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে ডিটেইলস এ বলতে হবে যে,এমন এমন কথা বলে গীবত করছি বা এই ধরনের কথা বলসি যেটা কিনা ক্লিয়ারলি মিথ্যা অপবাদ।আমি জানতে চাচ্ছিলাম,ব্যাখ্যা করে বুঝায়ে বলতে হবে?নাকি শুধু মাফ চেয়ে নিলেই হবে?

আর যদি সম্পদ হরণের মাধ্যমে হক্ব নষ্ট করা হয়।চুরি কিংবা ডাকাতি।

সে ক্ষেত্রে শুধু মাফ চেয়ে নিলেই হবে?নাকি সম্পদ ও ফিরিয়ে দিতে হবে।সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি যদি কোনো ক্ষতিপূরণ নেওয়া ছাড়া মাফ করে দেন এটা কি যথেষ্ট হবে?

(২)

অতীত জীবনের অনেক সময়ের নামায পড়া হয়নায় এমন কারো জন্য সেই সময়ের হিসেব টা কেমন হবে?যদি সে ওই নামাযের কাযা আদায় করে নিতে চায়?ঠিক কত সময় নামায পড়া হয়নি সেই সময়টা মনে নেই।কত ওয়াক্ত পড়া হয়েছে তা ও মনে নেই।তাহলে নির্দিষ্ট একটা সময় নির্ধারণ করে নিয়ে কত ওয়াক্ত হিসেবে পড়বে?৫ ওয়াক্ত ই কি পড়তে হবে?যদি জানা না থাকে যে সেই সময়ে ঠিক কোন কোন ওয়াক্তের নামায পড়া হয়েছিলো?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বান্দার হক্ব নষ্ট করা হলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তা'আলা এই হক্ব এর জন্য মাফ করবেন না, যতক্ষণ না যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে সে নিজে মাফ করে দিবে।

যার সম্মানহানী করা হয় গীবত করার মাধ্যমে বা মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার মাধ্যমে, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে ডিটেইলসে বলতে হবে না বরং ক্ষমা চেয়ে নিলেই হবে। আর যদি সম্পদ হরণের মাধ্যমে হক্ব নষ্ট করা হয়,যেমন চুরি বা ডাকাতি,তাহলে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাফ চাইলেই হবেনা বরং সম্পদকেও ফিরিয়ে দিতে হবে।


(২)
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609

জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।

তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে।https://www.ifatwa.info/1604


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 162 views
...