ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যখন কেউ কারো জান মাল ও ইজ্জতের উপর আঘাত করে, তখন সেটাকেই জুলুম নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
(২)
এটা অন্তর দ্বারা অনুভব করার বিষয়। কারো কোনো ব্যবহারে আপনার মন খারাপ হলে আপনি বুঝবেন যে, আপনার উপর জুলুম করা হচ্ছে।
(৩)
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻟﺒﺼﺮﻱ :
( ﻻ ﻳﺪﻉ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﻟﻴﻘﻞ : ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﻋﻨّﻲ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﺍﺳﺘﺨﺮﺝ ﺣﻘّﻲ ﻣﻨﻪ ) .ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔٍ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ( ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻥ ﻳﻌﺘﺪﻱ ﻋﻠﻴﻪ ) ﺍﻧﺘﻬﻰ . " ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ " ( 1/572 )
ইমাম হাসান বসরী রাহ বলেনঃমাযলুম যালিমের উপর কখনো বদদু'আ করবেনা,বরং সে বলবেঃহে আল্লাহ তার কাছে থেকে আমার হক্বকে ফিরিয়ে দাও,কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়,তিনি বলেনঃতার জন্য অনুমতি রয়েছে, সে যালিমের বিপক্ষে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত দু'আ করতে পারবে,(তাফসিরে ইবনে ক্বাসির, ১/৫৭২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ জুলুমের শিকার হলে সে জালেমের সামনেই স্বশব্দে দুয়া করতে পারবে।যদিও উত্তম হল ক্ষমা করে দেয়া।
(৪)
কটুক্তি করা, ছোট করা, অপমান করা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, এগুলো সবই জুলুমের অন্তর্ভুক্ত।
(৫)
আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার দ্বারা যেকোন গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়া বোঝাবে বা অথবা এভাবে পড়ার সময় মনে মনে কোন গুনাহের কথা চিন্তা করে নিলে তাতেও হবে।বাংলাতে মাফ চাই বলা জরুরী নয়।