আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম 

 

১) কিভাবে বুঝা যাবে একজন অন্যের দ্বারা জুলুমের শিকার হইতেছে?


 

২) কিভাবে বুঝা যাবে একজন অন্যের প্রতি  জুলুম করতেছে? 

 

৩) কেউ জুলুমের শিকার হলে সে কি জালেমের সামনেই সশব্দে দুয়া করবে? নাকি জালেমের সামনে মনে মনে দুয়া করবে? নাকি পরে অন্যসময় জালেমের থেকে দূরে মনে মনে দুয়া করলেও হবে?  

 

৪) অনেক সময় দেখা যায় অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে কটুক্তি করে, ছোট করে, অপমান করে, মিথ্যা অপবাদ দেয় এগুলোকে কি জুলুম বলা যাবে?  

 

৫) শুধু আস্তাগফিরুল্লাহ পড়লে কি যেকোন গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া বোঝায় বা এভাবে পড়ার সময় মনে মনে কোন গুনাহের কথা চিন্তা করে পড়লে কি সে গুনাহের জন্য মাফ চাওয়া হয়? নাকি বাংলায় মাফ চাইতে হয়?

 

  

জাযাকাল্লাহু খাইরান 

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যখন কেউ কারো জান মাল ও ইজ্জতের উপর আঘাত করে, তখন সেটাকেই জুলুম নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

(২)
এটা অন্তর দ্বারা অনুভব করার বিষয়। কারো কোনো ব্যবহারে আপনার মন খারাপ হলে আপনি বুঝবেন যে, আপনার উপর জুলুম করা হচ্ছে।

(৩)
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻟﺒﺼﺮﻱ :
( ﻻ ﻳﺪﻉ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﻟﻴﻘﻞ : ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﻋﻨّﻲ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﺍﺳﺘﺨﺮﺝ ﺣﻘّﻲ ﻣﻨﻪ ) .ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔٍ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ( ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻥ ﻳﻌﺘﺪﻱ ﻋﻠﻴﻪ ) ﺍﻧﺘﻬﻰ . " ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ " ( 1/572 )
ইমাম হাসান বসরী রাহ বলেনঃমাযলুম যালিমের উপর কখনো বদদু'আ করবেনা,বরং সে বলবেঃহে আল্লাহ তার কাছে থেকে আমার হক্বকে ফিরিয়ে দাও,কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়,তিনি বলেনঃতার জন্য অনুমতি রয়েছে, সে যালিমের বিপক্ষে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত দু'আ করতে পারবে,(তাফসিরে ইবনে ক্বাসির, ১/৫৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ জুলুমের শিকার হলে সে জালেমের সামনেই স্বশব্দে দুয়া করতে পারবে।যদিও উত্তম হল ক্ষমা করে দেয়া। 

(৪)
কটুক্তি করা, ছোট করা, অপমান করা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, এগুলো সবই জুলুমের অন্তর্ভুক্ত।

(৫)
আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার দ্বারা যেকোন গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়া বোঝাবে বা অথবা এভাবে পড়ার সময় মনে মনে কোন গুনাহের কথা চিন্তা করে নিলে তাতেও হবে।বাংলাতে মাফ চাই বলা জরুরী নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...