বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ
মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।
যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।
মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ-
أنت على حرام، والفتاوى أنه يقع به البائن، وإن لم ينو لغلبة الاستعمال فى هذه البلاد (تاتارخانية-4\448، رقم: 6637)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি স্ত্রীকে বলে,তুমি আমার উপর হারাম,তাহলে ফতোয়া হলো এর দ্বারা বায়েন তালাক পতিত হবে। যদিও তালাকের নিয়ত না করুক। আমাদের দেশে এর অধিক ব্যবহার থাকার দরুন।
لو قال لها: أنت على حرام، والحرام عنده طلاق وقع إن لم ينو (البحر الرائق، زكريا-3\523، كويته-3\300)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি আমার উপর হারাম,আর হারাম তার নিকটে তালাক,তাহলে এর দ্বারা তালাক পতিত হবে। যদিও তালাকের নিয়ত না করুক।
أفتى المتأخرون فى “انت على حرام” بأنه طلاق بائن للعرف بلا نية (رد المحتار، زكريا-4\466، كرتاشى-3\253)
সারমর্মঃ-
মুতায়াখখিরিনে উলামায়ে কেরামগন ফতোয়া দিয়েছেন যে কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি আমার উপর হারাম,তাহলে উরফ তথা সামাজিক প্রচলনের কারনে এর দ্বারা তালাক পতিত হবে। যদিও তালাকের নিয়ত না করুক।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
(০২)
এ কথা বলার দরুন তালাক হবেনা।
কেননা এটি একটি গালি,এটি তালাকের কোনো বাক্য নয়।
(০৩)
সন্দেহ হওয়ার কারনে তার নিজের উপর কোনো তালাক হবেনা।
(০৪)
এমতাবস্থায় কোনো তালাক হবেনা।
(০৫)
এমতাবস্থায় কোনো তালাক হবেনা।
(০৬)
এতটুকু লেখার সময় যদি নিজের তালাকের কথা স্মরন হয়, তাহলে তালাক হবেনা।
আর এ বাক্যটা তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি বলে গন্য হবেনা।
(০৭)
না,উক্ত প্রশ্নগুলি করার দরুন তালাক সংক্রান্ত আপনার নিজের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৮)
এটা তার জন্য তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি বলে গন্য হবেনা।