আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
332 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ


আমি কোন মাজহাব অনুসরণ করতাম না, মোটামুটি আহলে হাদীসের আলোকেই আমল করি আমাকে কেউ আমার মাজহাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বলতাম জন্মগত সূত্রে তো আমাদের দেশের অধিকাংশ ই হানাফী, আমার বাবা মা হানাফী কিন্তু আমি অধিকাংশ আমল ই আহলে হাদীস মত অনুসারে করি কারণ আমার কাছে সেটা ই নিরাপদ মনে হয়েছে।

 আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক দ্বীনের জ্ঞান নাই, আমি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব থেকে মাস‌আলা জেনে জীবন যাপন করেছিলাম, সেখানের সব গ্রুপ গুলি আহলে হাদীসের ছিল আমি যখন নতুন নতুন কোন মাস‌আলা জানতে যাই তখন দুই দিকের যুক্তি দেখেও আমার মনে হয়েছে আহলে হাদীসের আলোকে আমল করা ই নিরাপদ অর্থাৎ আমি কোন একটি মাজহাব কে পুরোপুরি অনুসরণ করবো এমনটা মনে করতাম না আমার কাছে যা নিরাপদ মনে হতো আমি তাই করতাম এভাবে আমার দৈনন্দিন সব আমল আহলে হাদীসের আলোকেই করি। (শুধুমাত্র আসরের সালাতের ওয়াক্ত হানাফী মসজিদে আজান দিলে তারপর আদায় করতাম এ ভয়ে যে আগে যে ওয়াক্ত হয়েছে ধরা হয় তাতে যদি সত্যিই ঐ সময় ওয়াক্ত না হয় তাহলে তো আমার সালাত কাজা থেকে যাবে কিন্তু যদি হানাফী মসজিদে আজানের পর নামাজ আদায় করি তাহলে তো দুদিকেই ওয়াক্ত থাকে কোন আশংকা থাকে না।)


আমি একজনকে পছন্দ করি এবং বাড়িতে জানাই কিন্তু কুফু এর মিল না থাকায় এবং সেও বর্তমানে স্টুডেন্ট হ‌ওয়ায় আমার বাবা, মা সহ পরিবারের কেউ এ মুহূর্তে বিয়েতে রাজি হননি হয়তো তাদের কে জোর করে বাধ্য করলে বিয়ে দিয়ে দিত কিন্তু কুফু এর মিল না থাকায় আমার বাবা মা কষ্ট পেতো, আমার জন্য পরবর্তী দিন কঠিন হয়ে যেত তাই আমি কয়েকবার ইঙ্গিতে বিয়ের কথা বললেও তাদের অসন্তুষ্টি দেখে তাদের কে জোর করে আমাদের বিয়ের জন্য বাধ্য করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের গুনাহ হয়েই যাচ্ছিলো যদিও আমি মন থেকে পুরোপুরি এটা বিশ্বাস করতাম যে অভিবাবক ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না কিন্তু আমি শায়েখ আহমাদুল্লাহ এর একটি ভিডিও দেখেছিলাম তিনি বলেছেন কেউ যদি কোন একজন মুজতাহিদের ইজতিহাদের উপর ভিত্তি করে কোন কাজ করে তবে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে। এবং যেহেতু এ মুহূর্তে আমার জন্য বাড়ি থেকে বিয়ে করা কঠিন ছিল তাই আমি মনে করেছিলাম যে অভিবাবক ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না ঠিক ই কিন্তু আমার সিচুয়েশন তো আলাদা, বাড়ী তে বলার পর ও দিলো না, আবার পাপ ও হচ্ছে, তাছাড়া হানাফী মাযহাব মতে জায়েজ ও এটার উপর আমল করলে আল্লাহ আমার সিচুয়েশনের ভিত্তিতে কবুল করে নিতে পারেন আর না কবুল না হলেও পরবর্তীতে তো ফ্যামিলি থেকে বিয়ে করবোই ইনশাআল্লাহ।


এমন টা ভেবে আমরা গোপনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই কিন্তু অভিবাবক ছাড়া বিয়ে হয় না এ বিশ্বাসের দরুন আমি বিয়ের সময় ও বিয়ের ভারত্ব অনুভব করতে পারিনি বিয়ে হচ্ছে কি না এটা ই অনিশ্চিত ছিলাম এবং পরবর্তীতেও আমি আমার স্বামীর হক আদায় বা তার সাথে স্বামী স্ত্রী স্বরূপ আচরণ করতে গেলে বারবার মনে হচ্ছে যে বিয়ে ই তো হয়েছে কিনা আমি নিশ্চিত না।


আমি প্রচন্ড মানসিক অশান্তি অনুভব করছিলাম তাই বিয়ের ৩-৪ দিন পর ই ifatwa তে প্রশ্ন করি এবং মুফতি ওয়ালি উল্লাহ শায়েখ বলেন যে আমি হানাফী মাযহাবের অনুসারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হবে।


উত্তর পেতে দেরি দেখে আবার প্রশ্ন করেছিলাম সেটার উত্তরে মুফতি ইমদাদুল হক শায়েখ বলেন যেহেতু সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়েছে বিয়ে হয়ে গেছে। সেসময় লিংকে বিয়ের পক্ষে যুক্তি ও দেওয়া ছিল যেটা দেখে আমি সাময়িক স্বস্তি পাই কিন্তু আবার কিছু দিন পর থেকে প্রতি মুহূর্তে ই মনে হতে থাকে আমার জিনা এর পাপ হচ্ছে, যেহেতু আমার মন থেকে নিশ্চিত না হয়ে সন্দেহ নিয়ে বিয়ে করেছি তাই মনে হত অভিবাবক ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় নি।


বিয়ে নিয়ে এমন জটিলতা হ‌ওয়ায় আমার স্বামী বলেন এজন্য ই মাজহাব অনুসরণ করতে হয় এবং হানাফী মাযহাবের আলেম বেশি আমাদের দেশে তাই যেকোন ফাতওয়া পাওয়া তুলনামূলক সহজ। তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই তাহলে এখন থেকে নতুন কোন মাস‌আলা জানতে হলে হানাফী মাযহাব ই অনুসরণের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

কিন্তু আগে থেকেই নামাজের পদ্ধতি বা বাকি যেসব আহলে হাদীস মত অনুসরণ করেছি সেগুলো আগের মতো ই আমল করবো।


বেশ কয়েকদিন পর আবার একটা মেইল পাই যেখানে মুফতি ওয়ালী উল্লাহ শায়েখ বলেছেন আমি যেহেতু হানাফী মাযহাবের অনুসারী না তাই এভাবে বিয়ে শুদ্ধ হয় নি।


আর আমি শুনেছি এভাবে মাজহাব পরিবর্তন অর্থাৎ নিজের সুবিধা অনুযায়ী আমল করার মত যেটা জায়েজ না।(আমি অভিবাবক ছাড়া বিয়ে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু ইমাম আবু হানীফা রাহ তো অনুমোদন দিয়েছেন হয়তো আল্লাহ কবুল করে নিবেন ভেবে বিয়ে করা এটাও কি সুবিধা অনুযায়ী ই আমল করার মধ্যেই পরছে কি না)


এখন আমি সম্পূর্ণভাবে কনফিউজড হয়ে গেছি। দয়া করে আমার প্রশ্ন টা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবেন আমি কোন টা ধরে নিবো আমার বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে কি না?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নের ধরণ একেকবার একেক রকম হয়, যেজন্য কখনো আমরা বলি আপনি হানিফি আবার কখনো বলি আপনি গায়রে মুকাল্লিদ। এবং এজন্য কখনো আমরা বলি আপনার বিয়ে হয়েছে,আবার কখনো বলি বিয়ে হয়নি।
দয়াকরে আপনি এবং আপনার স্বামী মিলে একটি কাগজে লিখে সেই কাগজ নিয়ে সরাসরি আপনারা স্বামী স্ত্রী দুইজন কোনো দারুল ইফতায় চলে যাবেন। এবং সেখানে মুফতি সাহেবের কাছে মাস'আলা জিজ্ঞেস করে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
আপনাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...