আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
দয়া করে উত্তর দিবেন ইনশা আল্লাহ
আমি গত পরশু একটা প্রশ্ন করেছিলাম
"আমি প্রায় ১ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ, মাঝে মাঝে ঠিক থাকি আবার হঠাৎ করেই সমস্যা হয়, সাইকিয়াট্রিস্ট ও দেখানো হয়েছে।
অসুস্থ হ‌ওয়ার পর আমার সমস্যা আমি হঠাৎ ই রেগে যাই, আমার মনের মতো কিছু না হলেই খুব জিদ উঠে, তখন নিজেকে আঘাত করতে ইচ্ছে করে, যত জীদ ওঠে তত মনে হয় নিজেকে খুব খারাপ ভাবে আঘাত করে করে শেষ করে ফেলি ঐ মুহুর্তে আমার হাত পা অবশ হয়ে আসে, দম বন্ধ হয়ে আসে, হাত পা বেঁকে আসে, প্রচন্ড কষ্ট হয় তখন অন্যদের উপর আরো রাগ হয় কেন আমার কথা না শুনে আমাকে কষ্ট দেয়। আমি তখন হাত কাটি, মাথার চুল ছিড়ি, মাথায় আঘাত করি মনে হয় যেকোন মুহুর্তে নিজেকে হত্যা করবো নিজেই ।
গত পরশু আমার স্বামীর উপর একটা বিষয়ে রাগ হয়, এক পর্যায়ে আমার অন্যদিনের মতো জিদ চলে আসে আমি মেসেজে ডিভোর্স চাই, এভাবে আমি জিদ করতে করতে অসুস্থ হয়ে যাই, আমার মাথায় প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছিলো তাই তাকে বারবার বলি যে আমি ডিভোর্স চাইলাম দিলে নাহ আমার মাথায় খুব কষ্ট হচ্ছে আমি এখন নিজেকে শেষ করে ফেলবো, তুমি জানো আমি জিদ করা সহ্য করতে পারি না, তুমি স্বার্থপর এভাবে তাকে জোর করতে থাকি, আমি যেহেতু মানসিক ভাবে অসুস্থ তাই তখন সে খুব ভয় পেয়ে যায় এবং আমার জোরাজুরি তে বাধ্য হয়ে মেসেজে লিখে যে " আচ্ছা দিলাম" কিন্তু তার কোন রকম নিয়ত ছিল না শুধু আমাকে বাঁচানোর জন্য বলেছে, আর সে জানতো না যে এভাবে বললেও তালাক হতে পারে।
এভাবে আমি তাকে দিয়ে ৩ বার লিখিয়ে নিয়েছি সে এক‌ই কথা লিখেছে "আচ্ছা দিলাম।"
সে আমাকে বাঁচাতে আমাকে কেন তালাক দিলে না
আমার মাথায় সমস্যা হচ্ছে আমি এখন নিজেকে শেষ করে ফেলবো এমন কথার উত্তরে আমাকে এমনি বুঝ দিতে বাধ্য হয়ে "আচ্ছা দিলাম" লিখেছিলো, মুখে উচ্চারণ করে নি, এমন কি"আচ্ছা তালাক দিলাম" এটাও লেখেনি শুধু লিখেছে আচ্ছা দিলাম এবং তার কোন রকম নিয়ত ছিলো না, আমি জোর করায় সে আমি কিছু করে ফেলবো এই ভয়ে লিখেছে।"
এ প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ইমদাদুল হক শায়েখ বলেছেন আমার উপর ৩ তালাক পতিত হয়েছে।
কিন্তু আমি আজকে হানাফী মাযহাবের ই কয়েকটি ফাতওয়া তে দেখলাম বলা হয়েছে জোর করে মুখে তালাক উচ্চারণ না করলে শুধু লেখিয়ে নেওয়ার দ্বারা তালাক হয় না।
তাহলে আমি যেহেতু ভয় দেখিয়ে, জোর করে "আচ্ছা দিলাম" মেসেজ লিখিয়ে নিয়েছি তাহলে আমাদের তালাকের মাস‌আলা কি এক‌ই থাকবে?