আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

দয়া করে উত্তর দিবেন ইনশা আল্লাহ

আমি গত পরশু একটা প্রশ্ন করেছিলাম
"আমি প্রায় ১ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ, মাঝে মাঝে ঠিক থাকি আবার হঠাৎ করেই সমস্যা হয়, সাইকিয়াট্রিস্ট ও দেখানো হয়েছে।

অসুস্থ হ‌ওয়ার পর আমার সমস্যা আমি হঠাৎ ই রেগে যাই, আমার মনের মতো কিছু না হলেই খুব জিদ উঠে, তখন নিজেকে আঘাত করতে ইচ্ছে করে, যত জীদ ওঠে তত মনে হয় নিজেকে খুব খারাপ ভাবে আঘাত করে করে শেষ করে ফেলি ঐ মুহুর্তে আমার হাত পা অবশ হয়ে আসে, দম বন্ধ হয়ে আসে, হাত পা বেঁকে আসে, প্রচন্ড কষ্ট হয় তখন অন্যদের উপর আরো রাগ হয় কেন আমার কথা না শুনে আমাকে কষ্ট দেয়। আমি তখন হাত কাটি, মাথার চুল ছিড়ি, মাথায় আঘাত করি মনে হয় যেকোন মুহুর্তে নিজেকে হত্যা করবো নিজেই ।

গত পরশু আমার স্বামীর উপর একটা বিষয়ে রাগ হয়, এক পর্যায়ে আমার অন্যদিনের মতো জিদ চলে আসে আমি মেসেজে ডিভোর্স চাই, এভাবে আমি জিদ করতে করতে অসুস্থ হয়ে যাই, আমার মাথায় প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছিলো তাই তাকে বারবার বলি যে আমি ডিভোর্স চাইলাম দিলে নাহ আমার মাথায় খুব কষ্ট হচ্ছে আমি এখন নিজেকে শেষ করে ফেলবো, তুমি জানো আমি জিদ করা সহ্য করতে পারি না, তুমি স্বার্থপর এভাবে তাকে জোর করতে থাকি, আমি যেহেতু মানসিক ভাবে অসুস্থ তাই তখন সে খুব ভয় পেয়ে যায় এবং আমার জোরাজুরি তে বাধ্য হয়ে মেসেজে লিখে যে " আচ্ছা দিলাম" কিন্তু তার কোন রকম নিয়ত ছিল না শুধু আমাকে বাঁচানোর জন্য বলেছে, আর সে জানতো না যে এভাবে বললেও তালাক হতে পারে।
এভাবে আমি তাকে দিয়ে ৩ বার লিখিয়ে নিয়েছি সে এক‌ই কথা লিখেছে "আচ্ছা দিলাম।"

সে আমাকে বাঁচাতে আমাকে কেন তালাক দিলে না

আমার মাথায় সমস্যা হচ্ছে আমি এখন নিজেকে শেষ করে ফেলবো এমন কথার উত্তরে আমাকে এমনি বুঝ দিতে বাধ্য হয়ে "আচ্ছা দিলাম" লিখেছিলো, মুখে উচ্চারণ করে নি, এমন কি"আচ্ছা তালাক দিলাম" এটাও লেখেনি শুধু লিখেছে আচ্ছা দিলাম এবং তার কোন রকম নিয়ত ছিলো না, আমি জোর করায় সে আমি কিছু করে ফেলবো এই ভয়ে লিখেছে।"

এ প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ইমদাদুল হক শায়েখ বলেছেন আমার উপর ৩ তালাক পতিত হয়েছে।

কিন্তু আমি আজকে হানাফী মাযহাবের ই কয়েকটি ফাতওয়া তে দেখলাম বলা হয়েছে জোর করে মুখে তালাক উচ্চারণ না করলে শুধু লেখিয়ে নেওয়ার দ্বারা তালাক হয় না।

তাহলে আমি যেহেতু ভয় দেখিয়ে, জোর করে "আচ্ছা দিলাম" মেসেজ লিখিয়ে নিয়েছি তাহলে আমাদের তালাকের মাস‌আলা কি এক‌ই থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জোর করার পরিপেক্ষিতে মুখে তালাক উচ্চারণ না করলে শুধু লেখিয়ে নেওয়ার দ্বারা তালাক হয় না। এটা তখন যখন স্বামীকে হত্যার বা অঙ্গ কর্তের হুমকি দেয়া হবে।তখন উপরের বিধান কার্যকর হবে।

যদি প্রাণনাশের হুমকি দেয়া না হয়, তাহলে কিন্তু তখন মুখের উচ্ছারণ ব্যতিত লিখিত তালাক দ্বারাও তালাক পতিত হবে।

"الإكراه (هو لغة حمل الإنسان على) شيء يكرهه وشرعا (فعل يوجد من المكره فيحدث في المحل معنى يصير به مدفوعا إلى الفعل الذي طلب منه) وهو نوعان تام وهو الملجئ بتلف نفس أو عضو أو ضرب مبرح وإلا فناقص وهو غير الملجئ. (وشرطه) أربعة أمور: (قدرة المكره على إيقاع ما هدد به سلطانا أو لصا) أو نحوه (و) الثاني (خوف المكره) بالفتح (إيقاعه) أي إيقاع ما هدد به (في الحال) بغلبة ظنه ليصير ملجأ (و) الثالث: (كون الشيء المكره به متلفا نفسا أو عضوا أو موجبا غما يعدم الرضا) وهذا أدنى مراتبه وهو يختلف باختلاف الأشخاص فإن الأشراف يغمون بكلام خشن، والأراذل ربما لا يغمون إلا بالضرب المبرح ابن كمال (و) الرابع: (كون المكره ممتنعا عما أكره عليه قبله) إما (لحقه) كبيع ماله (أو لحق) شخص (آخر) كإتلاف مال الغير (أو لحق الشرع) كشرب الخمر والزنا۔۔۔۔ وفيه بعد اسطر(وصح نكاحه وطلاقه وعتقه) لو بالقول لا بالفعل كشراء قريبه ابن كمال."
(كتاب الاكراه،6/128/129،ط:سعید)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...