আসসালামু আলাইকুম,
ইদানিং যুব সমাজে একটা বিয়ে নিয়ে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়। আর তাহলো, পরিবারকে না জানিয়ে বন্ধু বান্ধবিকে সাক্ষী বানিয়ে শুধু মাত্র কবুল বলার মাধ্যমে বিয়ে করা। বর্তমানে এই ট্রেন্ডটি লক্ষ্য করা যায় তথাকথিত দ্বীনি ভাই বোনদের মাঝে। বিশেষ করে ছেলেদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। একটা কমিউনিটি (বিশেষ করে অনলাইন প্লাটফর্মে) তৈরী হয়েছে যেখানে সবাই নিজেদেরকে দ্বীনি বলে প্রচার করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই গ্রুপগুলোতে বেশ ভালো একটা অবস্থান তৈরী করে। এবং নিজেদের মধ্যে একটা বড় গ্রুপও তৈরী করে ফেলছে বর্তমানে। যেখানে দেখা যায়, বিশেষ করে ছেলেদের দিক থেকে মেয়েকে তারা বোঝায় যে, বিয়েতে ডকুমেন্ট রাখা জরুরী কিছু না এবং ইসলামে এটা বাধ্যতামূলকও না। স্বাক্ষী এবং মৌখিক ভাবে কবুল বললেই বিয়ে হয়ে যায়। অনেকে ইদানিং এভাবে বিয়েও করে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় এরা নানান ভাবে মেয়েটাকে প্রতারিত করে এবং মেয়েরা আর কোন ভাবেই আইনি কোন সহায়তা পায় না। কখনো কখনো এক বিয়ে থাকাকালীণ অবস্থায় গোপনে অন্য আরেকজনকে বিয়েও করে থাকে। যা উভয় স্ত্রীর কেউই জানেনা।
আমার জানার বিষয় হচ্ছে, এই যে সমাজে এরকম একটা কালচার তৈরী হয়েছে,
১। এক্ষেত্রে আলেমরা কী ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে?
২। দেশের আইনে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন থাকা আবশ্যক, এই আইন কী শরিয়াহ বিরোধী?
৩। কেউ যদি বলে থাকেন (যিনি আলেম নন) যে, আলেমদের বলা উচিত "বিয়ের ডকুমেন্ট করা বাধ্যতামূলক হওয়া" (বিয়ে বৈধ কিংবা অবৈধ হওয়া প্রশ্ন না) (যেহেতু একধরণের সামাজিক বিশৃংখলা ও প্রতারনা তৈরী হচ্ছে), এই কথা বলার কারনে সেই ব্যক্তিকি কোন দোষ করে ফেলেছেন কিংবা তার ভুল হয়েছে বা অন্যায় করে ফেলেছেন?