আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়খ । আমার কিছু প্রশ্ন আছে। উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন ইনশা আল্লাহ

আলহামদুলিল্লাহ ইতিকাফে বসার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু এবার ইতিকাফে একটি ঘটনা ঘটে । এখন আমি জানি না আমার  ঐদিনের রোজা/ ইতিকাফ সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা?
ঘটনাটি হলো: সেহরি খেয়ে আমি ফজর নামাজ জামাতে শেষ করি । এরপর ইশরাকের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। নামাজ শেষে শোয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার সময় হটাত পেট গুলিয়ে উঠে এবং অটোমেটিক পেট থেকে কিছু তরল পদার্থ মুখে চলে আসে এবং আপনাআপনি পেটে চলে যায়। এখানে আমার কোনো একফোঁটাও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যেমন আমরা হার্টবিট কন্ট্রোল করতে পারি না এখানেও তেমন আমি কিচুই কন্ট্রোল করতে পারি নাই, মুখে তরল পদার্থ চলে আসে এবং 1 সেকেন্ডের আগেই টা চলে যায় হয়তো ।

এখন কি আমার রোজা আছে? এবং আমার সুন্নত এতেকাফ হয়েছে?????

2) ভ্রমণের সময় নামাজের সময় গাড়িতে থাকা লাগে। যদি গাড়ি না থামায় তাইলে কি গাড়িতে সিটে বসেই নামাজ আদায় করতে পারবো?

3) দীর্ঘদিন একটা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আল্লাহর ভয়ে আমি 2 বছর আগে ছেড়ে দেই।বলেছিলাম অপেক্ষা করতে, বিয়ে করে নিব। কিন্তু গত 6 মাস ধরে মেয়েকে আমার অনেক মনে পড়তেছে। ওর বেপর্দা ছবি দেয়া, ছেলে বন্ধুদের সাথে খেতে যাওয়া, বা এরকম কিছু( যেটা খুবই নরমাল যারা ইসলাম মেনে চলে না) আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারতেছি না  । সারাক্ষণ আমার ওর কথা মনে পড়ে। এ থেকে উত্তরণের উপায় কি? আমি চাই না আমার ওকে মনে পড়ুক, আমি আল্লাহর জন্যই  ছেড়ে দিয়েছিলাম। ইদানিং নামাজ এও অত মনোযোগ নাই। আমি আশঙ্কা করতেছি আমার থেকে হিদায়েতের নুর হারিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় করণীয় কি?
এই মেয়েকে ভুলার জন্য কোনো রুকীয়া করা যাবে কি?

4) একটা লোককে  2000 টাকা ধার দিলাম। কিন্তু উনাকে  বললাম আমি আপনাকে 20 লিটার তেলের দামের সমপরিমাণ টাকা ধার দিলাম( ধরে নেই 20 লিটার তেলের দাম 2000 টাকা) শর্ত হলো: উনি যখন আমাকে এই টাকা ফেরত দিবে তখন 20 লিটার তেলের সমপরিমাণ টাকাই ফেরত দিবে। যদি 20 লিটার এর দাম 1500 হয় তাইলে 1500 দিবে, আবার 2500 হলে 2500 ই দিবে।

এটা কি সুদের অন্তর্ভুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হটাৎ পেট গুলিয়ে উঠে অটোমেটিক পেট থেকে কিছু তরল পদার্থ মুখে চলে আসা এবং নিমিষেই আবার গলার ভিতর চলে যাওয়ার কারণে রোযায় কোনো সমস্যা হবে না।

اذا قاء أو استقاء ملء الفم أو دونه عاد بنفسه أو أعاد أو خرج فلا فطر على الأصح، إلا فى الإعادة، والاستقاء بملء بشرط ملء الفم (الفتاوى الهندية-1/204، الفتاوى التاتارخانية-3/375، الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-3/392)
(وَإِنْ ذَرَعَهُ الْقَيْءُ وَخَرَجَ) وَلَمْ يَعُدْ (لَا يُفْطِرُ مُطْلَقًا) مَلَأَ أَوْ لَا (فَإِنْ عَادَ) بِلَا صُنْعِهِ (وَ) لَوْ (هُوَ مِلْءُ الْفَمِ مَعَ تَذَكُّرِهِ لِلصَّوْمِ لَا يَفْسُدُ) خِلَافًا لِلثَّانِي (وَإِنْ أَعَادَهُ) أَوْ قَدْرُ حِمَّصَةٍ مِنْهُ فَأَكْثَرَ حَدَّادِيٌّ (أَفْطَرَ إجْمَاعًا) وَلَا كَفَّارَةَ (إنْ مَلَأَ الْفَمَ وَإِلَّا لَا) هُوَ الْمُخْتَارُ………. (قَوْلُهُ: لَا يُفْسِدُ) أَيْ عِنْدَ مُحَمَّدٍ وَهُوَ الصَّحِيحُ لِعَدَمِ وُجُودِ الصُّنْعِ وَلِعَدَمِ وُجُودِ صُورَةِ الْفِطْرِ، (رد المحتار-3/392، كرتاشى-2/414
والله اعلم بالصواب
(২)
গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/573

(৩)
পারিবারিকভাবে আপনি তাকে বিয়ে করে নেন।অথবা অন্যকোথাও বিয়ে করে নেন।দেখবেন আস্তে আস্তে ঐ বিষয়টা মন থেকে চলে গেছে।

(৪)
আপনার বর্ণিত পদ্ধতি সুদের অন্তর্ভুক্ত।
হ্যা, আপনি যদি তাকে টাকা না দিয়ে পন্য দেন, অর্থাৎ তার কাছে বাকীতে বেশ মূল্যে পন্য বিক্রি করেন।তাহলে তখন এটা সুদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 167 views
0 votes
1 answer 137 views
0 votes
1 answer 168 views
...