আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

১.ধরুন কেউ রোজা ভেঙ্গে ফেলেছে,সে এখন অনুতপ্ত।সে তওবা করেছে ও পরবর্তীতে রোজাটি কাযা করা ও কাফফারা দেওয়ার নিয়ত করেছে। কিন্তু এরপর তাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে সে রোজা রেখেছে কিনা, তাহলে সে গুনাহ কি গোপন করার জন্য তাওরিয়াহ করে বলে যে, সে রোজা রেখেছে, কিন্তু ভেঙ্গে ফেলেছে এটা অস্বীকার করেনি শুধু গোপন করেছে।্।  রোজা রেখেছে বলতে সে বুঝিয়েছে যে,সে সাহরী করার পর  ওরোজা ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত সময়কে বুঝিয়েছে ও রোযা ভাঙ্গার কথাটি গোপন করেছে।

২.ধরুন ১ নং প্রশ্নের একই ব্যাক্তিকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে,সে রোজা ভেঙ্গে ফেলেছে কিনা , তাহলে সে ব্যাক্তি যদি গুণাহ গোপন করার জন্য কি তাওরিয়াহ করে যদি বলে রোজা ভাঙ্গিনি কিন্তু মনে মনে বলে আগের দিনের রোজা ভাঙ্গেনি ‌। তাহলে কি গুণাহ হবে?

৩.নাকের শর্দি কেউ যদি গিলে ফেলে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে?

৪.কারো রোজা এমনভাবে ভেঙ্গে গিয়েছে কিন্তু তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হয়নি।সে কি এরপর পানাহার করতে পারবে?

৫.‌https://www.ifatwa.info/71466 এই প্রশ্নের ৬ নং উত্তরে বলেছেন নামাজে তাসবিহ -দোয়া,আয়াত পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ নেই। কিন্তু কেউ যদি পুনরাবৃত্তি করে ফেলে তাহলে তার কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে নাকি শুধু গুণাহ হবে?

৬.কোন কিছুর গন্ধ শুকলে বা নাকে গন্ধ আসলে রোজা ভেঙ্গে যাবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এতে মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।

(০২)
হ্যাঁ, এতে তার মিথ্যা গুনাহ হবে।

(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো কফ গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হবে না। কেননা উহা মুখের সাধারণ থুথুর অন্তর্গত। মুখের মধ্যে সাধারণ পানি যাকে থুথু বলা হয় তা দ্বারা রোযা নষ্ট হয় না।
সুতরাং কফ গিলে ফেলার দ্বারাও রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে রিয়াযুল উলুম ৩/৩০৩.
আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল
৩/৪০৩)

 এমনকি যদি থুথু মুখের মধ্যে একত্রিত করে গিলে ফেলে তাতেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
তবে অনেকেই বলেছেন যে অনেক থুথু,কফ জমিয়ে গিলে ফেললে রোযা মাকরুহ হয়ে যাবে।
  
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-
ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.
তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নাকের শর্দি কেউ যদি গিলে ফেলে, তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৪)
তার জন্য রোযাদারদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন মূলক বাকি দিন পানাহার থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।
তবে এটি আবশ্যকীয় নয়।
(এক্ষেত্রে কোনোভাবেই রোযাদার দের সামনে পানাহার করা যাবেনা।)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে সুরা ফাতেহা বা ১ম বৈঠকের ক্ষেত্রে অধিকাংশ অংশ পুনরায় পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।

অন্যান্য ক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।

(০৬)
না,এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া নাকে নেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 104 views
...