বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কারো উপর কুরবানি ওয়াজিব থাকলে, এবং কুরবানির দিন সমূহে নগদ টাকা পয়সা না থাকলে,ঋণ করে কুরবানি করলে সেই কুরবানি আদায় হবে। তবে যদি কারো উপর কুরবানি ওয়াজিব না থাকে, এবং ঐ ব্যক্তি ঋণ করে নফল কুরবানি করেন, তাহলে সেটাও আদায় হবে।তবে কুরবানি ওয়াজিব না থাকারর দরুণ ঋণ করে কুরবানি করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
فتوی(د): 26=26/1/1431
کسی شخص پر اگر قربانی واجب ہے اور نقد پیسے کا انتظام نہ ہو تو قرض لے کر قربانی کرلے بعد میں ادا کردے۔ اور اگر واجب نہیں بھی ہے لیکن وہ نفلی قربانی کرنا چاہتا ہے اور نقد روپئے موجود نہیں ہیں تو بعد میں ادا کرنے کا انتظام ہونے کی صورت میں قرض لے کر قربانی کرنے میں حرج نہیں ہے، اگر آسانی سے قرض دینے والا مل جائے اور اپنے پاس بعد میں ادا کرنے کی وسعت ہو۔ ورنہ وسعت نہ ہونے کی صورت میں مقروض ہونا ٹھیک نہیں، پھر قربانی کے لیے قرض نہ لے