আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১।ধরেন বউ যদি তার বাবারে বলে ওনি গো সাথে সংসার করা সম্ভব না (শশুর শাশুড়ী কে বুজাইছে..বলার পর হাসবেন এর কথা চিন্তা হইছে)।পোলা না হইলে সব বাদ দিয়া আইসা পরতাম।খাওয়া ভাল দেইখা থাকতে পারি না হলে থাকতে পারতাম না।ধরেন বউ অধিকার প্রাপ্ত। তাহলে এসব বাক্য বলাই কি কোন সমস্যা হবে?

২।হাসবেন্ড যদি বলে তুমি ছাইড়া দিলে দিতে পার কিন্তু আমি তুমারে কোন দিন ছাইড়া দিব না। এখানে ছাইড়া দিতে পার দারা সম্ভাবনা বুজাইছে মানে বউয়ের দিক থেকে ভবিষ্যতে এমন টা হতে পারে কিন্তু তার দিক থেকে হবে না।এখানে হাসবেন্ড অধিকার দেওয়া বুজাই নাই যে ছাইড়া দিব নি।বউ এমন করতে পারে সেই সম্ভাবনা বুজাইছে। এতে কি বউকে অধিকার দেওয়া বুজাবে।
ক।অধিকার বুজাইলেও সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে তাইনা হুজুর। প্লিজ বইলেন।

৩।বউয়ের থাকব না, যাব গা উত্তরে হাসবেন্ড যদি বলে না থাকলা, ভাল না লাগলে থাকিস না,যাগা,মন চাইলে যাগা।একবারে যাইক গা বা তালাকের নিয়তে বলে নাই এতে কি তালাক হবে।এগুলা বললে কি বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাই?এগুলা কি অধিকার দেওয়ার বাক্য। অধিকার বুজাইলেও কি সাময়িক?
৪।হাসবেন্ড যাগা দারা যদি বুজাই এখন যাইক আবার আসব নি।।মানে একবারে যাইতে বলে নাই তাইলে কি এতে কোন সমস্যা হবে?

৫।তালাকের নিয়ত, অধিকার দেওয়া, কয় বার কি বলছে তা যদি হাসবেন্ড যা বলে তাই মাইনা সংসার করলে কি সমস্যা হবে।যদি বউয়ের পুরপুরি মনে না থাকে।সে যা বইলা মনে করে তার মনে হয় হাসবেন্ড তাই বলছে। এসব বিষয় এ বউ হাসবেন্ড কে অনেক অনেক বার জিগ্যেস করছে।সে একেক সময় একেক রকম বলছে। এটাই ত সাভাবিক।কারন কথা ত প্রত্তেক বার হুবুহু এক রকম হবে না।তবে তার কথার জিস্ট একি।যেমন সে ছাড়ার কথা কখনো বলে নাই।ছাড়ার নিয়তে কখনো কিছু বলে নাই। জা বলছে শুধু অই সময় রাগ করে তার সাময়িক উত্তর ছিল।তালাকের নিয়েতে কিছু  বলে নাই।

ক।অধিকার দেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে বলছে একবার বলছি।আর বলছি কিনা মনে নাই।আর বাক্য কেমন ছিল মনে নাই।তারে সাময়িক অধিকার বাক্য বইলা স্থায়ী অধিকার বাক্য বইলা জিজ্ঞেস করাই সে স্থায়ী অধিকার বাক্য অসিকার করছে।সাময়িক বাক্য সিকার করছে।তাহলে তার কথার উপর ভিত্তি করে ১ বার সাময়িক অধিকার ধইরা সংসার করতে পারব কিনা? তাহলে ত এখন আমি অধিকার প্রাপ্ত না।আমার কথাই এখন আর কিছু হবেনা।

খ।তারে আর জিজ্ঞেস না করে সে শেষ বার জা বলছে তা ধরে সংসার করলে কি সমস্যা হবে?

গ।।হাসবেন্ড কে আমি বইলা বইলা জিজ্ঞেস করছি যে তুমি কি এই এই ভাবে বলছে নাকি অই ভাবে বলছ।এই নিয়ত ছিল নাকি অই নিয়ত ছিল।সে শুধু হা বা না করছে।আর জেটা মনে নাই সেটা বলছে যে মনে নাই।আর যেটা মনে আছে সেটা বলছে যে এইভাবে বলছি।আমার প্রশ্ন করা কি ঠিক হইছে এভাবে তার উত্তর  শুনে কি সংসার করতে পারব? নাকি তারে নিজে নিজে বলতে বলব।সেত তালাকের এসব ধারা উপধারা জানে না।

৬। ধরেন হাসবেন্ড যাগা বলাই বউ যদি গেলাম গা বইলা ঘর থেকে বার হই কিন্তু তার ননদ তারে তাদের বাসায় নিছে।বউয়ের মনে হইছে থাকমুই না এনে একবারে জামু গা।মুখেও বলতে পারে।উপরের প্রশ্ন অনুযায়ী ত বউ এখন অধিকার প্রাপ্ত না।ধরেন অধিকার আছে কিন্তু তখনই তালাকের কথা মনে করে এগুলা বলে নাই।তাইলে কি তালাক হবে।

৭।মায়ের উকিল বাপের ভাইয়ের ছেলের সাথে কি হুরমত হই?

৮।মেয়ের হায়েয হইছে বুধবার। মেয়ের পক্ষ থেকে ছেলের কাসে তালাক চাইছে সোমবার।মেয়ের সাধারণত ৩,৪ দিন ব্লিডিং থাকে।ছেলে সোমবার বলছে।কিন্তু মেয়ের এখন সন্দেহ হচ্ছে যে তখন কি তার হায়েয শেষ হইছিল। সাদা স্রাব খেয়াল করে দেখে নাই।তাহলে কি আবার ছেলের কাছ থেকে তালাক নিতে হবে নাকি অইটাই কারজকর হবে?

৯।বিয়ের আগে একটা মেয়ের কিছু ছেলের সাথে উঠা বসা ছিল।মজা কইরা বললেও বিয়ে হই এই মাসালা জানার পর তার সন্দেহ হচ্ছে যে এমন কিছু হইছে নাকি।কিন্তু কার সাথে হইছে তা সে জানে না।তাই সে যদি সন্দেহ দূর করার জন্য তাদের থেকে  একি মাসে তা...নেই।এবং হাসবেন্ড এর সাথে সাভাবিক থাকতে (পাপ ধরে)৩ মাস পর (ইদ্দদ ধরে)আবার হাসবেন্ড কে বিয়ে করে তাইলে কি তা বৈধ হবে।

১০।ধরেন বউ যদি বলে আমি সিদ্ধান্ত নিছি আমি আর যাব না।তুমি বাসাই বইলা দিও।হাসবেন্ড যদি বলে তাই নাকি।তুমি বল গা।বউ অই কথা দারা নিজের উপর অইটা বলে নাই।হাসবেন্ড শুইনা কি বলে এইটা বুজতে চাইছে। বা সংসার করবে না এমন টা বুজাই ছে তাইলে কি এতে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এসব বাক্য বলার দ্বারা কোন সমস্যা হবেনা।

(২)
এতেকরে বউকে অধিকার দেওয়া বুজাবে না।


(৩)
এতে তালাক হবেনা।এগুলা বললে বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাবে না। এগুলা অধিকার দেওয়ার বাক্য নয়। কেননা এখানে অধিকার দেওয়া কোনো বাক্য নয়।

(৪)
এতে কোন সমস্যা হবে না।

(৫)
এসব মনের ওয়াসওয়াসা।এদ্বারা কিছুই হবে না।


(৬)
এতেকরে তালাক হবে।

(৭)মায়ের উকিল বাপের ভাইয়ের ছেলের সাথে হুরমত হবে না।

(৮) প্রশ্নটি অষ্পষ্ট। দয়াকরে সরাসরি কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।

(৯) সন্দেহ দ্বারা বিবাহও হবে না।এবং তালাকও হবে না।

(১০) কাল্পনিক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...