আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ 

১.অমুসলিম শ্বশুর কি মেয়ের মাহরাম হবে? 

২.কেউ যদি নামাযে রুকু থেকে উঠার তাসবিহ سَمِعَ الله না পড়ে ভুলে سَمِيَ الله পড়ে ফেলে তাহলে কি তার নামায ভেঙ্গে যাবে? 

৩.কেউ চীন থেকে কোনো ইমপোর্টারের সাহায্যে জিনিস কিনে এবং তা হাতে পাওয়ার আগে কাস্টমার থেকে প্রি অর্ডার নেয়।তাহলে কি এই ব্যবসা বৈধ হবে? (যদি বলে দেয় না জিনিস ভালো না লাগলে ফেরত দিতে পারবে)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
শ্বশুর মুসলিম হোক বা অমুসলিম,পুত্র বধুর জন্য শশুড় চিরস্থায়ী মাহরাম। শশুড়ের হিজাব পড়া লাগবে না।তবে ফিতনার আশংকা থাকলে শশুড়ের সামনে না যাওয়াই উত্তম এবং একাকি কোথাও অবস্থান না করাই উত্তম।
"(ومن محرمه) هي من لايحل له نكاحها أبداً بنسب أو سبب ولو بزنا (إلى الرأس والوجه والصدر والساق والعضد إن أمن شهوته) وشهوتها أيضاً ذكره في الهداية، فمن قصره على الأول فقد قصر ابن كمال (فصل فی النظر والمس ، جلد 6 ص:367، ط: دار الفکر بیروت)

و في الفتاوي الهندية 
"وأما نظره إلى ذوات محارمه فنقول: يباح له أن ينظر منها إلى موضع زينتها الظاهرة والباطنة- 
(الباب الثامن فيما يحل للرجل النظر إليه وما لا يحل له، جلد 5، ص:328، ط:دار الفکر بیروت)

(২)
নামাযে ফরয ও ওয়াজিব কেরাত ব্যতিত অন্যান্য যিকির আযকারে বিরাট কোনো পরিবর্তন না হলে, নামায ফাসিদ হবে না।সুতরাং سَمِيَ الله পড়লে নামায ফাসিদ হবে না।

سئل زين المشائخ البقالي عن من قال في ركوعه "سبحان ربي العظوم" قال لاتفسد، وقيل له:لو قال"سبحان ربي العذيم"؟ قال: لاتفسد. (الفتاوى التاتارخانية، كتاب الصلوة، الفصل الثاني، مسائل زلة القاري، ج:2، ص:88)


(৩)
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পন্য হস্তগত হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা যাবে না।
সুতরাং চীন থেকে কোনো ইমপোর্টারের সাহায্যে জিনিস ক্রয় করলে সেটা হাতে পাওয়ার পূর্বে কাস্টমার থেকে প্রি অর্ডার নেয়া যাবে না। অার্থাৎ এভাবে ব্যবসা করা বৈধ হবে না। হ্যা, বিক্রয়ের ওয়াদা করা যেতে পারে। এভাবে যে, এখন ওয়াদা করবেন, এবং যখন মাল হাতে পৌছাবে,তখন বিক্রয় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...