আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
................

-------___________________

......................-----____________________

--------------------________________--------------

-------------________________________-----------------..........................

.....................

.................

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://www.ifatwa.info/6683 নং ফাতওয়ায় বর্ণিত রয়েছে ,
শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع 
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)।(সুরা : নিসা, আয়াত-৩)

দ্বিতীয় বিয়ে করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
 আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক। 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6683

একাধিক স্ত্রীর মাঝে দুই বিষয়ে সমতা রক্ষা করা অতীব প্রয়োজন। স্ত্রীদের সঙ্গে রাতযাপন ও ভরণ-পোষণ। 

এ দুই অধিকার সব স্ত্রীর ক্ষেত্রে সমানভাবে স্বামীকে পালন করে যেতে হবে। কোন স্ত্রী সুন্দর বা অসুন্দর, আর কোনটি কুমারী বা বিধবা তা পার্থক্য করা যাবে না। 

কিন্তু কোনো স্ত্রীর প্রতি মনের ভালোবাসা বেশি হওয়া, আবার অন্য স্ত্রীর প্রতি কম হওয়া তা সমতার অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা, এটি মনের বিষয়, আর মনের ওপর কারও কোনো অধিকার নেই। একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে শুধু রাতযাপন ও খরচাপাতি এ দুই বিষয়ে সমতা ধর্তব্য। এটাই হলো একাধিক স্ত্রীর মধ্যে সমতা রক্ষার ইসলামি শরিয়তের বিধান। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যেহেতু স্পষ্ট ভাবে তার সমস্ত বেইনসাফি মেনে নেয়ার উপর সন্তুষ্টি চিত্তে রাজী,আপনি নিজেই চাচ্ছেন যে ইনসাফ না করার জন্য আপনার স্বামীর যেনো কোনো গুনাহ না হয়, তার মানে আপনি নিজেই তাকে এসবের ব্যপারে মন থেকে মাফ করে দিয়েছেন,এবং ভবিষ্যতেও মাফ করে দেয়ার নিমিত্তেই সংসার চালিয়ে যেতে চাচ্ছেন, সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার স্বামী আপনাকে তালাক না দিয়ে এভাবে তার আরেক স্ত্রী নিয়ে সংসার করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে তালাক দেয়া কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।

এভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিনি যদি আপনাকে তালাক দেন,তাহলে শরীয়ত সম্মত কারন ব্যাতিত তালাক দেয়ায় আপনার স্বামীর মারাত্মক গুনাহ হবে।

এমতাবস্থায় আপনি যদি গুনাহ থেকে মুক্ত থেকে ধৈর্য্য ধরে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে পারেন,আপনার পক্ষ থেকে যদি কোনো সমস্যা না হয়,ঈমান আমল সহকারে ভালোভাবে চলতে পারেন, সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরন মতে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখা ভালো হবে। 

মূল কথা হলো,আপনি যেনো গুনাহে জড়িয়ে না পড়েন।

আর যদি এভাবে সংসার চালিয়ে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশংকা হয়,সেক্ষেত্রে  তার কথামত বিচ্ছেদ করে ফেলে অন্যত্রে বিবাহ ভালো হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
এই যে আমি আমার সব দাবি ছেড়ে দিলাম শুধু সম্পর্কটা বাঁচাতে__ এটা কি একরোখামি/জেদ হলো? নাকি ধৈর্য্য ধারণ হলো।
আল্লাহ কি আমার ধৈর্য্যের জন্য উত্তম পুরষ্কার দিবেন নাকি আমার উপর অসন্তুষ্ট হচ্ছেন? 

জানাবেন প্লিজ....

জাযাকাল্লাহু খয়রন।
by (547,020 points)
এটি ধৈর্য্য ধারণ হলো। 
আপনি গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে অবশ্যই জাযা দিবেন,ইনশাআল্লাহ। 
by
আলহামদুলিল্লাহ।  আমার রব আমাকে সকল গুনাহ থেকে হেফাজত করুন।  আমিন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...