জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ يَجِيئُ الْقُرْاٰنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُ يَا رَبِّ حَلِّهِ فَيُلْبَسُ تَاجَ الْکَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ زِدْهُ فَيُلْبَسُ حُلَّةَ الْکَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ ارْضَ عَنْهُ فَيَرْضَی عَنْهُ فَيُقَالُ لَهُ اقْرَأْ وَارْقَ وَتُزَادُ بِکُلِّ اٰيَةٍ حَسَنَةً.
ترمذي، السنن، 5: 178، رقم: 2915، بيروت، لبنان: دار احياء التراث العربي
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন কিয়ামতের দিন কুরআন আসবে ও বলবে: হে আমার রব, তাকে পরিধান করাও, তাকে সম্মানের টুপি পড়ানো হবে। অতঃপর সে বলবে: হে আমার রব, তাকে বৃদ্ধি করে দাও, তাকে সম্মানের অলঙ্কার পড়ানো হবে, অতঃপর সে বলবে: হে আমার রব তার উপর সন্তুষ্ট হও, তিনি তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। অতঃপর তাকে বলা হবে: পড় ও উপড়ে চর এবং প্রত্যেক আয়াতের মোকাবিলায় একটি করে নেকি বর্ধিত করা হবে”।
,
হাফিযগণ জান্নাতের উঁচু মর্যাদার অধিকারী: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
্রيُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ: اِقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَاগ্ধ.
“কুরআনের ধারককে বলা হবে, ‘তুমি পড় ও চড় এবং তারতীলসহ পড়, যেভাবে তারতীলসহ দুনিয়াতে পড়তে। কারণ, তোমার মর্যাদা সর্বশেষ আয়াতের নিকট, যা তুমি পড়বে।”
তিরমিজি ২৯১৪,আবু দাউদ ১৪৬৪)
,
,
কুরআন মুখস্ত করে ভূলে গেলে শক্ত কথাও এসেছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِکٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اﷲِ عُرِضَتْ عَلَيَّ أُجُورُ أُمَّتِي حَتَّی الْقَذَاهُ يُخْرِجُهَا الرَّجُلُ مِنْ الْمَسْجِدِ وَعُرِضَتْ عَلَيَّ ذُنُوبُ أُمَّتِي فَلَمْ أَرَ ذَنْبًا أَعْظَمَ مِنْ سُورَةٍ مِنْ الْقُرْآنِ أَوْ آيَةٍ أُوتِيَهَا رَجُلٌ ثُمَّ نَسِيَهَا
أبي داود، السنن، 1: 126، رقم: 461، دار الفکر
ترمذي، السنن، 5: 178، رقم: 2916، بيروت، لبنان: دار احياء التراث العربي
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন আমার সামনে আমার উম্মতের গুনাহ সামনে নিয়ে আসা হলো,কুরআন অথবা তার কোনো সুরা মুখস্ত করার পর ভুলে যাওয়া ব্যাক্তির মতো বড় গুনাহগার আমি পাইনি।
,
(০২)
জিহাদে যাওয়ার জন্য কেউ যদি বিয়ে না করার নিয়ত করে তাহলে গুনাহ হবে।
এ সংক্রান্ত একটি হাদীস এসেছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
فعن أنس بن مالك رضي الله عنه قال : ( جَاءَ ثَلاثُ رَهطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ يَسأَلُونَ عَن عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ ، فَلَمَّا أُخبِرُوا كَأَنَّهُم تَقَالُّوهَا ، فَقَالًُوا أَينَ نَحنُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ ؟ قَد غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِن ذَنبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ، قَالَ أَحَدُهُم : أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي الَّليلَ أَبَدًا ، وَقَالَ آخَرُ : أَنَا أَصُومُ الدَّهرَ وَلا أُفطِرُ ، وَقَالَ آخَرُ : أَنَا أَعتَزِلُ النِّسَاءَ فَلا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : أَنتُمُ الَّذِينَ قلُتُم كَذَا وَكَذَا ؟ أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَخشَاكُم للَّهِ وَأَتقَاكُم لَه ، لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفطِرُ ، وَأُصَلِّي وَأَرقُدُ ، وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ ، فَمَن رَغِبَ عَن سُنَّتِي فَلَيسَ مِنِّي ) رواه البخاري (5063) ومسلم (1401)
সারমর্মঃ তিন সাহাবী রাসুল সাঃ এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য রাসুল সাঃ এর বাড়িতে আসলো।
এক জন বললো আমি সারাজীবন মহিলাদের থেকে দূরে থাকবো, কোনো দিন বিবাহ করবোনা,,,,,রাসুল সাঃ ধমক এর স্বরে বললো যে আমি তোমাদের থেকে আল্লাহকে বেশি ভয় কপ্রি,তারপরেও আমি রোযা রাখি,ইফতারও করি,নামাজ পড়ি,এবং ঘুমাই।
মহিলাদেরকে বিবাহও করি।
যে আমার সুন্নাত থেকে দূরে থাকে,ই'রাজ করবে,সে আমার দলভুক্ত নয়।