আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

আসসালামুয়ালাইকুম,

আমি কিছুদিন আগে এবং ১.৫ বছর আগে হয়তো এইখানে পোস্ট করেছিলাম আমাকে যাদু করা হয়েছে। কিছু আগে যে বলেছিলাম যাদু করা হয়ছে তার পরে আমি এখন হজুরের কাছে যাই এবং ২-৩ দিনের মধ্যেই আলহামদুল্লিলাহ ভালো হয়ে যাই। কিন্তু আমি এখন হজুরের দেয়া পড়া পানি, গুর এইবসব ব্যাবহার করছি এবং সাথে সাথে আপদের বলে দেওয়া পন্থাও অনুসরন করার চেষ্টা করতেছি। কিন্তু গত পরশুদিন আমাদের টাকা আটকে রাখায় আমার বড় চাচার সাথে ঝগড়া হয় এবং রাগের মাথায় বলে দেই আমাকে যাদু করা হয়েছে। জাদুর ধরন অনুজায়ই আসেপাশের মানুষই করেছে বুঝা যাচ্ছে যা অনেকের সাথে কথা বলে এবং একাধিক কবিরাজ, হজুরের কাশ থেকে বুঝেছি। এখন সবাই জানার পরে আমার বড় চাচা এবং তার ছোট ছেলেকে আমাদের ঘরের চিপা গলিতে আমার ছোট ভাই (১১ বছরের) দেখতে পায় কিছু করতে। এর পর থেকেই আমার আবার আগের মতো অবস্থা হয়ে যায়। এখন মনে হচ্ছে আগের থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে আমার। এই বার বার যাদু করা আমার বেক্তিগত এবং পড়ালেখাতে অনেক বেশি ও পারিবারিক রোজগারে অনেক সমস্যা করছে। এখন এর থেকে বাঁচার উপায় কি? একটা বইতে পরেছিলাম বারবার যাদু করলে, বেশি বাড়বারি করলে আল্লাহর কাছে বিচার দিলে এবং অভিশাপ দিতে। আর যে আমাকে বার বার যাদু করছে তাকে কিভাবে চিনবো বা স্বপ্নে কি আল্লাহর আদেশে দেখা যাবে? আমার বাড়ি থেকেও তেমন সাপোর্ট দেয় না। আমি কলেজে পরতেছি। আগে কিছু টাকা ইনকাম করতাম এখন এই উপায় ও নাই। কি থেকে কি করবো বুঝতেছিনা। যাকে যাদু করা হয় সেই বুঝে। কিন্তু এক সময় তোহ বয়স হতে হতে গাছও মরে যায়। আমিও তেমন ভাবে দারাতে পারছিনা। আল্লাহর উপর ভরসা আছে কিন্তু অনেক কষ্ট লাগে আমার বর্তমান পরিস্থিতিতে!!! 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা মাযলুমকে যালিমের উপর দুনিয়াতে এমন সাহয্য প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন,যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে রেখেছেন,এবং যা যুলুম ও সীমালঙ্ঘন সম্বলিত প্রার্থনা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)

ইবনে ক্বাসির রাহ তার তদীয় তাফসীর গ্রন্থের১/৫৭২পৃষ্টায় উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ
" ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱٍ ﻓﻲ ﺍﻵﻳﺔ : ﻳﻘﻮﻝ : ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺃﺣﺪٌ ﻋﻠﻰ ﺃﺣﺪٍ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻈﻠﻮﻣًﺎ ، ﻓﺈﻧّﻪ ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻭﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ : ( ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻇُﻠِﻢَ ) ، ﻭﺇﻥ ﺻﺒﺮ ﻓﻬﻮ ﺧﻴﺮٌ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ইবনে আব্বাস রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ মাযলুম ব্যতীত কেউ কারো উপর বদদো'আ করতে আল্লাহ পচন্দ করেননা।তবে সর্বাবস্থায় ধর্য্য ধারণই উত্তম হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে যদি বারবার জাদু করা হয়, তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে জাদুকরের জন্য বিচার কামনা করতে পারবেন। তবে যেহেতু নির্দিষ্ট নয়, তাই নির্দিষ্ট করে কারো জন্য বিচার চাইতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...