আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
185 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.আমি পুরুষ টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ি। এখন স্যার হয়তো কোনো বিষয় পড়ানোর পর জানতে চান যে বিষয়টা বুঝেছি নাকি। কখনো আমাকে এককভাবে জিজ্ঞেস করেন,, কখনো ২-৩ জন বা সবাইকে উদ্দেশ্য করেন বলেন,,,তোমরা বুঝেছো। আমি না বুঝলেও উভয়ক্ষেত্রেই চুপ থাকি। কারণ যদি বলি বুঝি নি,,, তাহলে গায়রে মাহরামের সাথে অনেক কথা বলা লাগে। কোথায় বুঝি নি। কেন বুঝি নি ইত্যাদি ইত্যাদি।  আবার অনেক সময় না বুঝেও ভুল করে বুঝেছি বলে মাথা না নাড়িয়ে দিই। অনেক সময় আাংশিক বুঝি কিন্তু  স্যার জানতে চাইলে বলি বুঝেছি। আবার অনেক সময় না বুঝেও বলি বুঝেছি। কারণ যদি বলি বুঝি নি,,,তাহলে গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলা লাগবে। এক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে??? এইগুলো কি মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত??  আমার কি করণীয়??  এতদিন এইভাবে বলে এসেছি,,তাহলে কি এখন তওবা করা লাগবে??

২.মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। এই কথাটা কি ইসলাম সমর্থন করে?? অর্থাৎ কেউ আমার কাছে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইল। এক্ষেত্রে আমি যদি উত্তর না দিয়ে চুপ থাকি,,
  তাহলে কি সম্মতি প্রকাশ করা হবে?? আর এখানে যদি সম্মতি প্রকাশ মিথ্যা  হয় বব  মিথ্যা কে বোঝাই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?? অর্থাৎ এমন ক্ষেত্রে আমি কি উত্তর না দিয়ে চুপ থাকতে পারি??অর্থাৎ কেউ যদি আমাকে বলে তুমি কি অমুক কাজটা করেছ এমন সময় আমি যদি চুপ থাকি তাহলে কি সম্মতি প্রকাশ হয়??


আমি পুরুষ শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ি।এখন সমস্যা হচ্ছে স্যার মুখে মুখে পড়া ধরে,, প্রতিদিন সেই পড়াটা দেওয়া থাকে।  স্যার অনেক সময় নির্দিষ্ট করে আমাকে পড়া ধরে। অনেক সময়  সবাইকে উদ্দেশ্য করে ধরে কে কোনটা বলতে পারে। এখন আমি কি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব স্বাধীনতা মতো.??নাকি  কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবো কিছু দেবো না?? এছাড়া যদি কোন কিছু বুঝতে না পারি তাহলে কি তার কাছ থেকে জানতে চাইতে পারবো?? আমি বলতে  চাইছি আমি কিভাবে তার কতটুকু তার সঙ্গে কথা বলতে পারব?? নাকি আমি কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপ থাকব??? এবং কোন কিছু বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করব না???

৪.দুনিয়াবি কোনো উপকার পাওয়ার জন্য যদি আমি এমন কোনো ভিডিও দেখি যাতে নাজায়েজ কিছু নেই, সেক্ষেত্রে সেটা দেখা আমার জন্য জায়েজ হবে কি যদিও ওই চ্যানেল এডসেন্স থেকে আয় করে?  এক্ষেত্রে আমি যদি ভিডিও দেখি তাহলে এক্ষেত্রে তাকে হারাম ইনকামের দিকে সাহায্য করা হয়??

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১)ফিতনার অাশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২)যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩)মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪)মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
(৫)এছাড়া ফিতনামুক্ত পরিবেশ গড়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4193

ছাত্রী পড়ানো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1542

প্রথম কথা হল,
আপনি প্রথমে একজন বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মেয়ে শিক্ষিকার খোঁজ নিবেন।যদি পেয়ে যান তাহলে এটাই আপনাদের জন্য কল্যাণকর হবে। আপনার অন্তর শয়তানের ধোকা থেকে নিরাপদে থাকবে। তবে যদি বিজ্ঞ কোনো শিক্ষিকার খোঁজ না পান,তাহলে আপনি ততক্ষণই পড়তে পারবেন,যতক্ষণ অন্তরে কোনো ফিতনার উদ্রেক হবে না। যখন সামান্যতম ফিতনার উদ্রেক হবে,সাথে সাথেই এমন শিক্ষা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিবেন। আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/4638


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পাশে যদি মাহরাম কেউ না থাকেন, এবং আপনি যদি পুরুষ শিক্ষকের কাছে পড়েন, তাহলে অযথা কথা না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আপনি যদি না বুঝেও বলেন বুঝেছেন, তাহলে সেটা রুখসত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।

(২)
সাধারণত মৌণতা সম্মতির লক্ষণ। 
 لا شك أن السكوت السلبي لا يكون دليلا على الرضا أو عدمه، ولذلك تقضي القاعدة الفقهية على أنه: لا يسند لساكت قول، ولكن السكوت في معرض الحاجة بيان، وذلك إذا صاحبته قرائن وظروف بحيث خلعت عليه ثوب الدلالة على الرضا. انتهى.
এতে কোনো সন্দেহ নাই যে, না বাচক স্থানে মৌণতা সন্তুষ্টির বা অসন্তুষ্টির উপর প্রমাণ বহন করে না। যেমন নিশ্চুপ ব্যক্তিকে বক্তা হিসেবে সাব্যস্ত করা যায় না। তবে প্রয়োজনের মুহূর্তে নিশ্চুপ থাকাটা বয়ান তথা কথা বলার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে যখন তার সাথে বিভিন্ন ইশরা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা-২২/২৩৭)


(৩)
যতটুকু কথা বলার প্রয়োজন,ততটুকু কথা আপনি রুক্ষভাষায় বলতে পারবেন।

(৪)
প্রাণীর দৃশ্য রয়েছে, বিশেষকরে নারীদৃশ্য বা মিউজিক রয়েছে, এমন কোনো ভিডিও আপনি দেখতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...