ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ )
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১)ফিতনার অাশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২)যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩)মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪)মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
প্রথম কথা হল,
আপনি প্রথমে একজন বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মেয়ে শিক্ষিকার খোঁজ নিবেন।যদি পেয়ে যান তাহলে এটাই আপনাদের জন্য কল্যাণকর হবে। আপনার অন্তর শয়তানের ধোকা থেকে নিরাপদে থাকবে। তবে যদি বিজ্ঞ কোনো শিক্ষিকার খোঁজ না পান,তাহলে আপনি ততক্ষণই পড়তে পারবেন,যতক্ষণ অন্তরে কোনো ফিতনার উদ্রেক হবে না। যখন সামান্যতম ফিতনার উদ্রেক হবে,সাথে সাথেই এমন শিক্ষা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিবেন। আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/4638
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পাশে যদি মাহরাম কেউ না থাকেন, এবং আপনি যদি পুরুষ শিক্ষকের কাছে পড়েন, তাহলে অযথা কথা না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আপনি যদি না বুঝেও বলেন বুঝেছেন, তাহলে সেটা রুখসত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।
(২)
সাধারণত মৌণতা সম্মতির লক্ষণ।
لا شك أن السكوت السلبي لا يكون دليلا على الرضا أو عدمه، ولذلك تقضي القاعدة الفقهية على أنه: لا يسند لساكت قول، ولكن السكوت في معرض الحاجة بيان، وذلك إذا صاحبته قرائن وظروف بحيث خلعت عليه ثوب الدلالة على الرضا. انتهى.
এতে কোনো সন্দেহ নাই যে, না বাচক স্থানে মৌণতা সন্তুষ্টির বা অসন্তুষ্টির উপর প্রমাণ বহন করে না। যেমন নিশ্চুপ ব্যক্তিকে বক্তা হিসেবে সাব্যস্ত করা যায় না। তবে প্রয়োজনের মুহূর্তে নিশ্চুপ থাকাটা বয়ান তথা কথা বলার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে যখন তার সাথে বিভিন্ন ইশরা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা-২২/২৩৭)
(৩)
যতটুকু কথা বলার প্রয়োজন,ততটুকু কথা আপনি রুক্ষভাষায় বলতে পারবেন।
(৪)
প্রাণীর দৃশ্য রয়েছে, বিশেষকরে নারীদৃশ্য বা মিউজিক রয়েছে, এমন কোনো ভিডিও আপনি দেখতে পারবেন না।