আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ওয়াসওয়াসা by (12 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমি গতদিন ইমান নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
https://ifatwa.info/77525/

আসলে হুজুর আমি গালি দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না! এবং গালি মনে মনে দিয়েছিলাম না মুখে উচ্চারণ করে সেটাও নিশ্চিত না।

তাই হুজুর আমার ভিতরে দুইটা সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা আছে,

প্রথম সন্দেহ হচ্ছে : আমি আল্লাহকে রাগ করে গালি  দিয়েছিলাম না গালি বাদে অন্য কোন শব্দ বলেছিলাম...!! মনের ভিতর ৫০/৫০ ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ!


দ্বিতীয় সন্দেহ হচ্ছে : আমি সবসময় মনে মনে কথা বলি বা ফিসফিস করে কথা বলি যখন একা থাকি।
এখানে মনে মনে বলেছিলাম না শব্দ করে বলেছিলাম এটাও নিশ্চিত না। আর মনে মনে বললে তো কিছু হয় না।
এখানেও আমার ৫০/৫০ চিন্তা আর সন্দেহ।

এখন হুজুর আমার ভিতর এই দুই প্রকারে ৫০/৫০ ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ রয়েছে।

এখন এই দুই রকমের সন্দেহ এর জন্য আমার ইমানের সমস্যা হবে?

এখন দুই রকমের ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহের জন্য বিয়ে রিনিউ করতে হবে?

 




প্রশ্ন ২ : হুজুর আমরা মানুষ ভুল করি মাঝেমধ্যে নিজের অজান্তে ভুলবশত আল্লাহকে কতো কথা বলে ফেলি ভুল করে। এখন ভুলবশত বলে ফেলে ইমান চলে গেলে বিয়েও রিনিউ করতে হবে। এত বার বার বিয়ে রিনিউ করতে হবে অনিচ্ছাকৃত ভুলবশত কিছু বলার জন্য।

হুজুর আমি YouTube এ  শায়েখ ডক্টর মোহাম্মদ মানজুরে ইলাইহির একটা লেকচার দেখলাম ভিডিও লিঙ্ক :

https://youtu.be/zUq0z8CGh1E

দেখলাম ডক্টর মনজুর ইলাইহি বলেছেন স্বামি স্ত্রীর মধ্যে কেউ একজন মুরতাদ হয়ে গেলে বিয়ে ভাঙে না। তিনি বলেছেন সাহাবায়ে কেরাম ইসলাম গ্রহনের পর বিয়ে রিনিউ করেননি। উনি আরো বলেছেন হঠাৎ কোন কুফরি বাক্যের কারনে,কোন নাস্তিক কথার কারনে যদি তার ভিতর কুফরি সাব্যস্ত হয়ে যায় এবং সে যদি সাথে সাথে তওবা করে নেন তাহলে বিয়ে রিনিউ করতে হবে না।

ওনার কথা গুলার জন্য আমার ভিতর থেকে সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা একটু কমে গিয়েছে।

শায়েখ এর কথা গুলা কি সঠিক?

আমি কি শায়েখ ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাইহির কথা অনুযায়ী আমল করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কুরআনের কোনো আয়াত,মহান আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ, হাদীস, ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
আপনার বিবাহ রিনিউ করতে হবেনা।

(০২)
স্বামী স্ত্রীর কেহ মুরতাদ হয়ে গেলে সাথে সাথে তওবা করে ঈমান আনলে বিবাহ রিনিউ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
ধন্যবাদ হুজুর। নিশ্চিন্ত হলাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...