আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
আস সালামু আলাইকুম শায়েখ।  একটা মাসআলা জানার খুবই দরকার।  4ই জুন সকাল ৬ টাই নোয়াখালী টু ঢাকা বিমানবন্দর ট্রেন স্টেশন এর উদ্দেশ্য আমরা রওনা হয় । 5:55দিকে স্টেশন এ আসলে আমরা দেখি ট্রেন দাড়িয়ে আছে।  তখন দেখলাম স্টেশন এর সার্ভার নাকি বন্ধ টিকিট হচ্ছেনা।  পরে ট্রেন এর লোক আমাদের বলে ৫০০ টাকা দিলে তারা আমাদের সিট দিবে।
পরে আমরা সিটে বসার পরে ট্রেন ছেড়ে দেয়।  তখন তারা বলে তারা বিমান বন্দর স্টেশন এর গেইট পার করে দিবে।
পরে আমরা টিকিট চাইলে তারা দেয় কিন্তুু সেটা ব্রাক্ষনবাড়িয়া থেকে ঢাকা  ১৪৫ টাকার টিকিট কিন্তুু আমাদের আসল ভাড়া ছিলো 518 টাকা।  এছাড়া আমরা যে ট্রেনে ভ্রমণ করছি সেটার টিকিট দেয়নি অন্য ট্রেনের দিয়েছে কিন্তুু ডেট ঠিক ছিলো।
পরে ট্রেনের টিকিট চেক করার সময় আমাদের গুলো সাইন ও মেরেছে কিছু বলেনি । শুধু যে ব্যাক্তি সাইন করতেছিলো সেই ব্যাক্তি বলছিলো যে চেয়ারকোচ এর টিকিট কেটে Ac বগিতে বসে কেন এই কথা বলেছে আমাদেদ যিনি দিয়েছে সেই ব্যাক্তিকে ।

১) আমার প্রশ্ন হলো আমাদের ৪ জনের এটা জীবনে প্রথম ভ্রমণ কারও কারও দ্বিতীয় বার । আমরা আসলে এভাবে অভ্যস্ত নয়।  এখন আমার কেনো জানি মনে হচছে স্পষ্ট হারাম কাজ করেছি।  এখন আমি কিভাবে এই কাফফারা আদায় করবো।
2) 518 টাকা আসল ভাড়া ছিলো 145 টাকার টিকিট হাতে পেয়েছিলাম ৩৭৩ টাকা সরাসরি খাতে কিভাবে আমি এই টাকা দিয়ে দেবো যদি বলতেন।
৩) আমরা তো পুরো টাকা দিয়েই ভ্রমণ করছি। কোনো টাকা কম দেয়নি ট্রেন এর কর্মকর্তা রা আমাদের ঠকিয়েছে। তাহলে আমাদের কি সাদাকা করতে হবে।
৪) আপনাদের ফাওয়াতে দেখলাম যে সিট বিহিন টিকিট কিনে ছিড়ে ফেল্লে সেটা সরকারি খাতে যাবে।  এখন সিট বিহিন টিকিট কি আসলে পাওয়া যায়। এই বিষয়ে আমার সঠিক ধারনা নেই।  যদি না পাওয়া যায় তাহলে অন্য পদ্ধতি কি এই জনগনের হক ফেরত দেওয়া ।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনাদের কোনো কাজের মাঝে ধোকা দেয়ার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মূলত ট্রেনের লোকেরাই আপনাদের থেকে ১৪৫ টাকার টিকিট দিয়েছে,পরে ট্রেনের টিকিট চেক করার সময় আপনাদের গুলো সাইন ও মেরেছে,আপনাদের কিছু বলেনি ।

সুতরাং এদিক থেকে আপনাদের আর কোনো টাকা দিতে হবেনা। কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

তবে এক্ষেত্রে আপনারা যদি উক্ত ট্রেনের Ac বগিতে বসে থাকেন,যাহা সাইন কারীর কথায় বুঝা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বাকি ৩৭৩ টাকা সতর্কতামূলক সরকারি খাতে জমা দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে ৩৭৩ টাকা সমমূল্যের ট্রেনের টিকিট কেটে ভ্রমন না করে তাহা ছিড়ে ফেলতে পারেন।

সরকারের তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার আর অনেক মাধ্যম রয়েছে।
আপনি ডাকটিকেট ক্রয় করে সেটাকে কোনো কাজে না লাগিয়ে নষ্ট করে দিতে পারেন। বা সোনালি  ব্যংকে জমা দিতে পারেন।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...