বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩,মেশকাত ৩২৮৭)
حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ الْجَنْبِيِّ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أُتِيَ بِامْرَأَةٍ قَدْ زَنَتْ، فَأَمَرَ بِرَجْمِهَا، فَذَهَبُوا بِهَا لِيَرْجُمُوهَا، فَلَقِيَهُمْ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: مَا هَذِهِ؟ قَالُوا: زَنَتْ فَأَمَرَ عُمَرُ بِرَجْمِهَا، فَانْتَزَعَهَا عَلِيٌّ مِنْ أَيْدِيهِمْ وَرَدَّهُمْ، فَرَجَعُوا إِلَى عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَقَالَ: مَا رَدَّكُمْ؟ قَالُوا: رَدَّنَا عَلِيٌّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: مَا فَعَلَ هَذَا عَلِيٌّ إِلا لِشَيْءٍ قَدْ عَلِمَهُ، فَأَرْسَلَ إِلَى عَلِيٍّ فَجَاءَ وَهُوَ شِبْهُ الْمُغْضَبِ، فَقَالَ: مَا لَكَ رَدَدْتَ هَؤُلاءِ؟ قَالَ: أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبَرَ، وَعَنِ الْمُبْتَلَى حَتَّى يَعْقِلَ " قَالَ: بَلَى، قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَإِنَّ هَذِهِ مُبْتَلاةُ بَنِي فُلانٍ فَلَعَلَّهُ أَتَاهَا وَهُوَ بِهَا، فَقَالَ عُمَرُ: لَا أَدْرِي، قَالَ: وَأَنَا لَا أَدْرِي. فَلَمْ يَرْجُمْهَا
উমর (রাঃ) এর নিকট এক মহিলাকে আনা হলো। সে ব্যভিচার করেছিল। তিনি তাকে পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা তাকে পাথর মেরে হত্যা করার জন্য নিয়ে গেল। তাদের সাথে আলী (রাঃ) এর সাক্ষাত হলো। তিনি বললেন, এই মহিলার কী ব্যাপার? লোকেরা বললো, সে ব্যভিচার করেছে। উমর (রাঃ) তাকে পাথর মেরে হত্যা করার হুকুম দিয়েছেন। তৎক্ষণাত আলী (রাঃ) উক্ত মহিলাকে তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন এবং লোকদেরকে ফেরত পাঠালেন। লোকেরা উমর (রাঃ)-এর নিকট ফিরে গেল। উমার (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদেরকে কে ফিরালো? তারা বললো, আলী (রাঃ) আমাদেরকে ফিরালেন। উমর (রাঃ) বললেন, আলী (রাঃ) এ কাজ নিশ্চয়ই এমন কোন জিনিসের ভিত্তিতে করেছেন, যা তিনি জানতেন।
অতঃপর তিনি আলী (রাঃ)এর নিকট বার্তা পাঠালেন। আলী (রাঃ) কিছুটা রাগান্বিত অবস্থায় এলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি ওদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছ কেন? আলী (রাঃ) বললেন, আপনি কি শোনেননি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ দায়মুক্ত করেছেনঃ ঘুমন্ত ব্যক্তিকে, যতক্ষণ সে জাগ্ৰত না হয়, শিশুকে, যতক্ষণ সে প্রাপ্তবয়স্ক না হয়, অপ্রকৃতিস্থাকে, যতক্ষণ সুস্থ মস্তিষ্ক না হয়। উমার (রাঃ) বললেন, হাঁ, শুনেছি। আলী (রাঃ) বললেন, এ মহিলা অমুক গোত্রের অপ্রকৃতিস্থ মহিলা। হয়তো কোন পুরুষ তার কাছে এমন অবস্থায় এসেছে যখন সে অপ্রকৃতিস্থ ছিল। উমার (রাঃ) বললেন, আমি জানি না। আলী (রাঃ) বললেন, আমিও জানি না। অগত্যা উমর (রাঃ) তাকে আর পাথর মেরে হত্যা করলেন না।
(মুসনাদে আহমাদ ১৩২৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
যদি নাবালেগ অবস্থা উক্ত অপরাধ করে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনাকে কাফফারা দিতে হবেনা।
বালেগ অবস্থায় করে থাকলে এই পরিমাণ পাম্প দিতে কেমন টাকা লাগে,আনুমানিক হিসাব করে সেই টাকা সাইকেল মালিকদের ছওয়াবের নিয়তে গরিব মিসকিনদের দিয়ে দিবেন।
(০২)
তাদের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে নিবেন।
(০৩)
যারা কবরে চলে গিয়েছে, তাদের মাগফিরাত এর দোয়া করবেন।
যারা জীবিত আছে,তাদের থেকে মাফ চেয়ে নিবেন।
এক্ষেত্রে এভাবেও বলতে পারেনঃ-
জীবনে চলতে ফিরতে কত অন্যায় হয়ে থাকে,ভুল হয়ে থাকে,আপনি আমাকে মাফ করে দিয়েন।
যদি কোনো ব্যাক্তিকে খুজে পাওয়া না যায়,সেক্ষেত্রে তাদের তাদের মাগফিরাত এর দোয়া করবেন।
(০৪)
হ্যাঁ,মাফ চাইতে হবে।
আরো জানুনঃ-