ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
উনি ব্যতিত অন্য কাউকে দিয়ে দিবেন। যদি উনি ব্যতিত আর কোনো গরীব আপনি না পান, তাহলে ১০/১৫ দিন পর পর উনাকেই দিয়ে দিবেন।
(২)
জ্বী, এভাবে আপনার আম্মু ফকিরের পক্ষ থেকে গ্রহণ করলেও কাফফারা আদায় হবে।
(৩)
যদি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে কোনো ছেলে বলে আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনবার কবুল বলো, তারপর মেয়েও তিনবার কবুল বলেএবং ছেলেও তিনবার কবুল বলে।উপস্থিত সাক্ষী না থাকলে, বিয়ে হবে না। মুবাইল কলে বললে বিবাহ তো হবেই না। মুবাইল কলে বিয়ে হয় না।
(৪) আমার স্বামী আপনাদের একটা পোস্ট বের করে দেখাচ্ছিল।এক পর্যায়ে সে বলছে তুমি যখন ইচ্ছে তখন তালাক গ্রহন করতে পারবে। আর স্বামী বলতেছে আমি এটা বলি নায়।
তাহলে যখন ইচ্ছে তখন তালাক গ্রহনের অধিকার পাবেন না।
(৫)
তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখন স্বামী বলছে তোমার যা ইচ্ছে করো। (তার তালাকের অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না) । এতেকরে আপনি তালাকের অধিকার পাবেন না। কেননা তোমার যা ইচ্ছা করো, সেটা দ্বারা তালাক গ্রহণের অধিকার দেওয়া না দেওয়া উভয়টাই বুঝায়।
(৬) কাবিননামা লেখার সময় স্বামী কাছে ছিল না।স্বামীকে না জানিয়ে কাজী অধিকার লিখে দিলে স্ত্রী কখনো অধিকার পাইবে না।
(৭) যদি ইজাব কবুলের আগে বা ইজাব কবুলের পরে স্বামীর স্বাক্ষর নেয়া হয়ে যায় আর কাজি তাকে কাছে না পেয়ে অধিকার লিখে দেয়, তাহলে অধিকার পাওয়া হয় নাই।
(৮) কাবিননামায় ১৮ নং ছকে স্বামীর স্বাক্ষর দিতে হয়। কাজি যদি ওখানে স্বামীকে দিয়ে স্বাক্ষর করায়, স্বামী যদি বুঝেশুনে সাক্ষর করে, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে।স্বামী বুঝেশুনে স্বাক্ষর না করলে স্ত্রী কাযা'আন তালাকের অধিকার পেলেও দিয়ানাতান তালাকের অধিকার পাবে না।
(৯)কেউ কুফুরি কথা বললে সে কাফির হয়ে যাবে।