আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

১))কাবিনে যদি শর্ত উল্লেখ করে অধিকার দেওয়া হয় তাহলে শর্ত পাওয়া না গেলে কি স্ত্রী তালাক নিলে তালাক হবে?

২))বনিবনা না হলে এই রকম শর্তে অধিকার দেওয়া আছে।বনিবনা না হওয়া বলতে কি বুঝায়?

৩)))ক:::স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক খুব ভালো।বোঝা পড়াও খুব ভালো।একে অন্যকে অনেক বেশি ভালোবাসে।স্বামী  স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালোবাসে, কেয়ারিং,সব হক আদায় করে স্ত্রীর।স্তী না চায়তেই তার সব চাহিদা পূরণ করে।বলতে গেলে এর থেকে  বেশি  ভালো একজন মানুষ আর হয়না।আর গায়ের চামড়া দিয়ে যদি জুতা সেলাই করে দেওয়া হয় তাহলেও এইরকম স্বামীর ঋণ শোধ করা যাবেনা।বনিবনা না হওয়ার প্রশ্নই আাসেনা।কিন্তু মাঝে মাঝে যদি স্বামী শাসন করে বা টুকটাক বাড়াবাড়ি হয় বা টুকটাক ঝগড়া হয় অতচ তাদের সম্পর্ক খুব ভালো এইটা কি বনিবনা না হওয়ার মধ্যে পড়বে?

আর এক্ষেত্রে যদি স্ত্রী  তালাক নেয় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?

৪))আর যদি স্ত্রী শুধু মাএ রাগ জিদ দেখানোর উদ্দেশ্যে তালাক নেয় একেএে ও কি তালাক হবে?

৫)যদি স্বামী কোন অধিকার না দেয় কিন্তু স্বামীর অজান্তে কাজী অধিকার দেয় তাহলে স্ত্রী তালাক নিলে কি তালাক হবে?আর সংসার করা যাবে?স্ত্রী কতবার তালাক নিলে আর সংসার করা যাবেনা যদি স্বামী অধিকার না দেয় অতচ কাজী দেয়?

৬)আর যদি কাজী স্বামীর অজান্তে  শর্ত উল্লেখ করে অধিকার দেয় যেমন বনিবনা না হওয়া কিন্তু বনিবনা না হওয়ার প্রশ্নই আসেনা শুধুমাত্র স্বামীকে রাগ জিদ দেখানোর উদ্দেশ্যে স্ত্রী তালাক নেয় একেএে ও কি তালাক হবে?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230531_013011_756.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

শর্ত পাওয়া না গেলে তালাক হবেনা।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

إذا وجد الشرط انحلت الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵، کذا في الہدایۃ / باب الأیمان في الطلاق ۲؍۳۵۸، البحر الرائق / باب التعلیق ۴؍۸ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে। 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাবিনে যদি শর্ত উল্লেখ করে অধিকার দেওয়া হয় তাহলে শর্ত পাওয়া না গেলে স্ত্রী তালাক নিলে তালাক হবেনা।

(০২)
স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা না হওয়া বলতে "পরস্পরে মিল না হওয়া,সারাক্ষণ ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকা,একজন আরেকজনকে সহ্য করতে না পারা,অসহ্যের দরুন সংসার করতে না চাওয়া বা একে অপরলে সহ্য করতে না পারার দরুন দূরে থাকা" এগুলো বুঝায়।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাঝে মাঝে যদি স্বামী শাসন করে বা টুকটাক বাড়াবাড়ি হয় বা টুকটাক ঝগড়া হয় অথচ তাদের সম্পর্ক খুব ভালো, এইটা বনিবনা না হওয়ার মধ্যে পড়বেনা।

আর এক্ষেত্রে যদি স্ত্রী তালাক নেয় তাহলে  তালাক হয়ে যাবেনা।

কেননা তাদের কাবিননামায় স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্তা হওয়ার জন্য শর্ত লেখা আছে, স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা না হওয়া।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাবিননামার শর্ত পাওয়া না যাওয়ায় স্ত্রী তো তালাকের অধিকারই পাইনি,তাই তার তালাক নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 

(০৫)
এক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্তই হবেনা।
তাই তার তালাক নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৬)
স্বামী সেটি জেনে শুনেই নিচে সাইন করেছে,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...