হুজুর ২০-২১ সালে দের বছর আমরা দুই দেশে ছিলাম বিয়ের পর।তখন আমি তালাকের মাসালা জানতাম না।না জানাতে অনেক সময় মান অভিমান করে স্বামীর কাছে কয়েকবার মেসেজে তালাক চেয়েছি কিন্তু মন থেকে না। কিন্তু আমার স্বামী ও এইসব মাসালা জানতোনা এরপরো ও কখনো আমাকে কোন কেনায়া বাক্য ও বলেনি।এখন মাসালা জানার পর থেকে আমি খুব অস্হির হয়ে যায় বলতে গেলে কোন কাজে মন দেওয়া এমনকি খাওয়াদাওয়া পর্যন্ত ঠিকঠাক করতে পারছিনা।এদিকে আমি ৮ মাসের গর্ভবতী।এই অবস্থায় এই রকম দুশ্চিন্তা আমার খুব খারাপ হচ্ছে।আমার মেসেঞ্জারে আমদের পুরনো চ্যাটগুলো নাই।স্বামীর মোবাইল এ পেয়ে আমি চেক করতে শুরু করি।টেনে টেনে ঘন্টার পর ঘন্টা মেসেজ গুলো স্ক্রোল করে পড়তে গেলে অনেক সময় লাগে হয় নেট ডিস্টার্ব নাহয় টাচ হয়ে কল চলে গেলে আবার শুরু থেকে স্ক্রোল করততে হয়,না হয় ওর কল এসে আবার শুরু থেকে পড়তে হয়, না হয় মোবাইল এর স্ক্রিন ওফ হয়ে আবার শুরু থেকে আসে। এদিকে আমার স্বামীর ও মোবাইল লাগলে ওকে দিয়ে দিতে হয় তখন আবার শুরু থেকে পড়তে হয়।ওকেও বলা যাবেনা আমি কি চেক করতেছি কারণ ও জানলে রেগে যাবে এই সময় আমি এইসব বিষয়ে ভাবতেছি। দুই দিন ধরে এতো চেষ্টার পরো আমি ২০২০ পর্যন্ত মেসেজ চেক করতে পারিনি।কারণ প্রতিবার আবার শুরু থেকে চেক করতে গেলে বলতে গেলে ৭-৮ ঘন্টায় ও শেষ হবেনা আবার কোন না কোন কারণে চ্যাট যা পড়ে আসছি সেগুলো চলে আাসে।বলতে গেলে একটা দু:সাধ্য ব্যাপার।নিজের মোবাইলে থাকলে কোন না কোন ভাবে সারাদিনে হলেও চেষ্টা করে যেতাম।এইদিকে বার বার ওর মোবাইল নিয়ে এইসব চেক করতে যায় যে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগতেছে আর আমার চোখ মুখে টেনশন দেখা যাচ্ছে সেজন্য ও আমার স্বামী বকা ঝকা করতেছে।ও জানেনা কেন আমি এইসব বার বার দেখতেছি।আজ সকালেেও ৩ ঘন্টা ধরে চেক করার পর হঠাত আবার যেগুলো পড়ে আসছি চ্যাট অতটুকুতে চলে আসে।আবার যেগুলো পড়ে আসছি সেগুলো সহ পড়তে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগবে তাও শেষ অবধি পোছাতে পারবো কিনা কোন গ্যারান্টি নেই।তখন আমি বিরক্ত হয়ে ওর মোবাইল থেকে কনভারসেশন ডিলিট করে দি।কারণ এইগুলো থাকলে আমি বারবার চেক করতে যাবো বার বার ব্যর্থ হবো,বার বার হতাশ হবো আর এইভাবে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যাবো।মেসেজ সব পড়তে পারলে আমি নিজেই চিন্তামুক্ত হতাম।চ্যাটিং এর পরিমাণ ও এতো বেশি যে বলার বাইরে।এখন আমি এইসব ভাবতে ভাবতে খুব অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন ১)আমি জানি আমি নিয়ত ছাড়া রাগ অভিমানে কখনো তালাক চাওয়া বা সংসার না করা সংক্রান্ত কোন কিছু লিখলেও আমার স্বামী কখনো আমাকে কোন কেনায়া বাক্য ও বলেনি।সেই বিশ্বাস থেকেই ডিলিট করে দেওয়া।এমন কিছু লিখছে বলেও মনে পড়েনা যেটা ওকে জিজ্ঞেস করবো। তবে আগে জিজ্ঞেস করছিলাম ও এমন কিছু কখনে লিখেনি বলছিলো।আর আমিও জানি ও এমন কখনো কিছু উত্তরে লিখেনি আমাকে।এইসব বিষয় ও ইগনোর করতো।
এখন সন্দেহ হচ্ছে যদি নিজের অজানতে লিখছে কিনা।এখন সন্দেহ থাকলে ডিলিট করে দেওয়াতে কি আমি গুনাহগার হবেো?
প্রশ্ন ২)আমাদের সংসার করতে কোন সমস্যা নেইতো??