আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
১.কোনো শিক্ষক যদি বই অনুযায়ী,  জনসংখ্যা সমস্যা, অধিক বাচ্চা নেওয়ার বিরুদ্ধে,  বাল্যবিয়ের কুফল, গনতন্ত্র, বিবর্তন এসব নিয়ে পড়ান,কিন্তু বাচ্চা দের এইসব বিষয়ে ইসলামি সঠিক আকিদার পরিচয় না করিয়ে দেন এতে কি উনি কাফের হয়ে যাবেন? (উনি এসব বিশ্বাস করেন না, ইসলামী আকিদায় বিশ্বাসী বইয়ে আছে, টিউশনি বা স্কুলে বা মাদরাসায় পড়ানো লাগে হিসাবে পড়ান)

২.আমার বউ এর সাথে ভালো কথা বললেও মাঝে মাঝে মনে মনে তালা* এর কথা চলে আসে মুখ দিয়ে উচ্চারন হয়না, কোনো কিছু কথা বললেও তালা* এর ভাবনা চলে আসে।  সেদিন স্কুলে এ্টা অংক করিয়ে বললাম শেষ, তখন ও তালা* এর ভাবনা চলে আসে, এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ো/ছাড়লাম/ এসব বললেও তালা* এর নিয়ত চলে আসে,  মুখে কিছু না বললেও আতঙ্গ লাগে খালি, কি করনীয় আমার?(আমি তো আমার বউএর সাথে থাকতে চাই তাও এসব ভাবনা কেনো যে আসে, মনে হয় এই কি মুখ থপকে বের হয়ে গেলো)

৩. কেও যদি দোয়া করার সময় হঠাৎ অনিচ্ছায় মনে মনে তালাকের শর্ত দিয়ে ফেলে, যে ওই কাজ করলে এমন হবে, কিন্তু সে মুখে বলেছে বলে মনে হচ্ছে না,  মুখে অন্য কথা বলেছে এই কথা মনে মনে বলেছে যদিও সে চায় না এরুপ শর্ত দিতে এতে কি, তালা* হবে? মনে মনে শর্ত দিলে কি তা দ্বারা ও তালা* পতিত হয়?

৪. ইচ্ছে করে কেও যদি মনে মনে এমন কথা বলে যা বাস্তবে বললে তার বিবাহ নষ্ট হয়ে যাবে, বা ইচ্ছে করে মনে মনে শর্তযুৃক্ত তালা* এর কথা বলে ফেলে এতে কি তার বিয়ে নষ্ট হবে?

৫.স্বামী যদি তার বউকে এমন কোনো কারো লেখা কোনো পোস্টে ম্যানশন করে পড়ে দেখার জন্য, বা ম্যাসেজে ছবি দিয়ে বা লিংক দিয়ে বলে লেখাটা পড়ো, সেই লেখায় যদি এমন কথা থাকে যা তার বউকে বললে তালা* হয়ে যাবে। এতে কি তাদের বিবাহে সমস্যা হবে? (যে পোস্ট করেছে সে হয়তো লিখেছে, আর স্বামী তার বউকে শুধু লেখা টা দেখার জন্য বলেছে)

৬. একটা গল্পের কাহিনি সুন্দর হওয়ার জন্য কেও যদি সেই গল্পটা কাওকে পড়তে বলে আর ওই গল্পে যদি কোনো কুফরী কথা থাকে, তবে কি সে ব্যাক্তি কাফের হবে?

৭.কাওকে মিলাদে যাওয়ার কথা বললে কি  গুনাহ হবে?

৮৷ কেও যদি মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত থাকতে চায়,  কিন্তু সে মিলাদ শুরু আর শেষের সময় দেখে দেখলো সে থাকতে পারবে না, তাই সে রাগে "শীট" বলে উঠে,  (শীট অর্থ মল) এতে কি কুফর হবে?

৯. কেও যদি কোনো ফাইটে বা কাজে বিষয়ে পটু বুঝনোর জন্য নিজেকে "কুংফু মাস্টার" "নিনজা" এসব বলে,  এতে কি কুফর হবে?(কাফের পরিচয় উদ্দেশ্য নয় শুধু তাদের মতো চালাক বা স্কিল বুঝানো উদ্দেশ্য)

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না। 
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(০২)
করনীয়, 
আপনি তালাক সংক্রান্ত কোনো বিষয় মাথাতেই আসতে দিবেননা। 
তালাক সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা পড়বেননা। 
এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা। 

এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় মাথায় আসলেই বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

(০৩)
 এতে তালা* হবেনা।
মনে মনে শর্ত দিলে তা দ্বারা তালা* পতিত হয়না।

(০৪)
এতে তার বিয়ে নষ্ট হবেনা।

(০৫)
এতে তাদের বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৬)
সে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৭)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
কেননা তাহা বিদ'আত,আর বিদ'আতী কাজের দিকে আহবান করাও গুনাহ।

(০৮)
এতে কুফর হবেনা। 

(০৯)
এতে কুফর হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...