আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
225 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
১। ট্রেনে নামাজ পড়ছিলাম। ট্রেন বামে মোড় নেয়ার সময় আমি রুকুতে ছিলাম। তখন বামে ঘুরতে গিয়ে হাত হাটু থেকে ছুটে যায়। হালকা উপরে উঠতে নেই, কিন্তু পুরোপুরি সোজা হই না। আবার রুকুতে চলে যাই।

এটা কি ২টা রুকু হয়ে গেল? আমার নামাজ কি হবে? নাকি বাসায় গিয়ে কাজা পড়ব?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

রুকুতে হাটুর উপর হাত রাখা,এবং পুরুষদের জন্য হাত দ্বারা হাটু চেপে ধরা সুন্নাত। 
,
সুন্নাত ছেড়ে দিলে নামাজের কোনো সমস্যা হয়না।
তবে সুন্নাত ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা গুনাহ।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাটু থেকে হাত ছুটে গিয়েছিলো,এটার কারনে নামাজের কোনো সমস্যাই হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
,
তিরমিজি শরীফে এসেছে     
80. باب مَا جَاءَ فِي وَضْعِ الْيَدَيْنِ عَلَى الرُّكْبَتَيْنِ فِي الرُّكُوعِ حدیث نمبر: 258:
" عن أبي عبد الرحمن السلمي، قال: قال لنا عمر بن الخطاب رضي الله عنه: " إن الركب سنة لكم فخذوا بالركب". قال: وفي الباب عن سعد، وأنس، وأبي حميد، وأبي أسيد، وسهل بن سعد، ومحمد بن مسلمة، وأبي مسعود. قال أبو عيسى: حديث عمر حديث حسن صحيح، والعمل على هذا عند أهل العلم من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم والتابعين، ومن بعدهم لا اختلاف بينهم في ذلك، إلا ما روي عن ابن مسعود وبعض أصحابه، أنهم كانوا يطبقون والتطبيق منسوخ عند أهل العلم.
সারমর্মঃ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ বলেছেন রুকুতে হাত দ্বারা হাটু ধরা সুন্নাত।
۔
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 447):
"(قوله: بحيث لو مد يديه إلخ) كذا في السراج. وفي شرح المنية: هو طأطأة الرأس أي خفضه، لكن مع انحناء الظهر؛ لأنه هو المفهوم من موضوع اللغة، فيصدق عليه قوله تعالى: {اركعوا} [الحج: 77]، وأما كماله فبانحناء الصلب حتى يستوي الرأس بالعجز، وهو حد الاعتدال فيه اهـ لكن ضعفه في شرح المختار، حيث قال: الركوع يتحقق بما ينطلق عليه الاسم؛ لأنه عبارة عن الانحناء، وقيل: إن كان إلى حال القيام أقرب لايجوز، وإن كان إلى حال الركوع أقرب جاز. اهـ. وتمامه في الإمداد، وما اختاره في شرح المختار هو الموافق لما قرره علماؤنا في كتب الأصول. وفي شرح الشيخ إسماعيل عن المحيط وإن طأطأ رأسه في الركوع قليلاً ولم يعتدل فظاهر الجواب عن أبي حنيفة أنه يجوز. وروى الحسن أنه إن كان إلى الركوع أقرب يجوز، وإن كان إلى القيام أقرب لايجوز اهـ. وفي حاشية الفتال عن البرجندي: ولو كان يصلي قاعدًا ينبغي أن يحاذي جبهته قدام ركبتيه ليحصل الركوع. اهـ. قلت: ولعله محمول على تمام الركوع، وإلا فقد علمت حصوله بأصل طأطأة الرأس أي مع انحناء الظهر، تأمل". 
সারমর্মঃ কেহ যদি এই পরিমান ঝুকে যে রুকুর নিকটতম ছিলো,তাহল রুকু আদায় হয়ে যাবে।
আর যদি এই পরিমান ঝুকে যে দাড়ানোর নিকটতম ছিলো,তাহলে রুকু আদায় হবেনা।   
۔
 
ترک السنۃ لا یوجب فساداً ولا سہوا؛ بل إساء ۃ لو عامداً غیر مستخف، وقالوا: الإساء ۃ أدون من الکراہۃ۔ (درمختار) وحکی في الخلاصۃ أولاً خلافا: وقیل یأثم، وقیل لا۔ ثم قال: والمختار إن اعتادہ أثم لا إن کان أحیانا وجزم بہ في الفیض۔ وکذا في المنیۃ۔ قال شارحہا: یأثم لا لنفس الترک؛ بل لأنہ استخفاف وعدم مبالاۃ بسنۃ واظب علیہا النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم۔ (درمختار مع الشامي / مطلب: في قولہم الإساء ۃ دون الکراہۃ ۲؍۱۷۱ زکریا)
সারমর্মঃ নামাজে সুন্নাত তরক করলে নামাজ ফাসেদ হবেনা।
তবে সুন্নাত ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা গুনাহ।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার রুকু আদায় হয়ে গিয়েছিলো।
এখন আপনি যে সামান্য উঠে আবার রুকুতে গিয়েছেন,এক্ষেত্রে তাকবির যদি আবার বলে থাকেন,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
অথবা সেক্ষেত্রে দাড়ানোর নিকটতম হয়ে গিয়ে থাকেন,তাহলেও 
সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আদায় না করলে নামাজটি পুনরায় আদায় করতে হবে।     
,
আর যদি রুকুরই নিকটতম হয়ে থাকেন,এবং তাকবির যদি না বলে থাকেন, তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
নামাজ আর আদায়  করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...